অনলাইনে প্রকাশিত চিন্তা-ভাবনা সমগ্র
আমার পার্সোনাল সোশ্যাল মিডিয়াতে যারা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দিয়েছেন, তাদের অনেকে How do you know Trivuz? প্রশ্নের জবাবে 'কেন ভালো লাগে' তাও জানিয়েছেন।
লেখালেখি তো আমার প্রফেশনের অংশ না, কিছু আর্ন করার জন্যও লেখালেখি করি না। এমনকি জনপ্রিয়তা পাওয়াও আমার উদ্দেশ্য না। তারপরেও লোকজনের ভালোবাসা পেতে তো ভালো লাগে।
ভালোবাসা প্রকাশ করা লাগে। সেই প্রকাশের একটা উপলক্ষ্য হয়ে উঠলো আরকি এই সাইট। আপনাদের জন্যও অনেক অনেক ভালোবাসা।
সময়ের অভাবে ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টের তালিকা চেক করা হয় না। অনেকে কষ্ট পান এতে, কেউ কেউ রেগেও যান শুনেছি। কিছু হেটারও তৈরি হয়েছে এভাবে। আবার ফেসবুকের ফ্রেন্ডলিস্টে পাঁচ হাজারের বেশী যোগও করা যায় না, যেটা আরো প্রায় দশ বছর আগেই ফিলআপ হয়ে আছে। তাছাড়া, যেকোন সময় ফেসবুকে একাউন্ট ডিলিট/ব্যান খাওয়ার সম্ভবনা তো আছেই। এসমস্ত বিষয় চিন্তা করে একটা পার্সোনাল সোশ্যাল নেটওয়ার্ক ফ্রেমওয়ার্ক দাঁড় করিয়েছি। থিংকার ক্লাবের সকল সদস্য (ফ্রি কিংবা পেইড) একে অপরের সাথে যুক্ত হতে পারবে এই ব্যবস্থায়। ফলে ফেসবুক না থাকলেও কানেকটেড থাকতে পারবে সবাই।
এটা এখনো আলফা স্টেজে শুধুমাত্র পেইড ইউজারদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে, পরে ফ্রি ইউজাররাও ব্যবহার করতে পাবেন। তো, এই পার্সোনাল সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং প্লাটফর্ম Thinkr CMS-এও যোগ করেছি।
কানেক্টেড হওয়ার জন্য trivuz.net -এ গিয়ে আপনার থিংকার ক্লাব অথবা ভার্সিটিয়ান আইডি দিয়ে লগইন করলে এই ফর্মটা দেখতে পাবেন। ফিলআপ করে রাখুন, পরের উইকেন্ডে আবার যখন বসবো সাইট নিয়ে তখন রিকোয়েস্টগুলো একসেপ্ট করা শুরু করবো। ফেসবুকে এখন যারা ফ্রেন্ড আছেন কিংবা ফলোয়ার, সকলেই আবেদন করতে পারেন। ভার্সিটিয়ান বা থিংকারে একাউন্ট না থাকলে ত্রিভুজ ডট নেট থেকেও তৈরি করে নিতে পারবেন।
পুনশ্চঃ ফর্মের ফেসবুক আইডি ঘর খালি রাখলে কিংবা ফেসবুকে লকড প্রোফাইল হলে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করা হবে না।
পার্টনারশীপ - ৪
প্যারেন্টিং বইটা লিখতে গিয়ে মূলত পার্টনারশীপ নিয়ে আলাদা একটা বই লেখা দরকার মনে হলো, সেখান থেকে এই পার্টনারশীপ সিরিজের শুরু। তো, প্যারেন্টিং এর সাথে পার্টনারশীপের সম্পর্কটা কতটা গভীর তার একটা উদাহরণ দেই-
মনে করেন আপনার বাচ্চাকে শব্দ করে দরজা বন্ধ করা যে খারাপ, এটা শেখাতে চাচ্ছেন। কিন্তু, আপনার পার্টনারও এই কাজ করে। মানে, শব্দ করে দরজা বন্ধ করে। এখন আপনি যদি বাচ্চাকে শেখাতে যান, পার্টনার ভাববে ইনডাইরেক্টলি তাকে ইনসাল্ট করছেন। ফলে সম্পর্কে নেগেটিভ প্রভাব পড়বে। আবার যদি গোপনে বাচ্চাকে শেখান, সেটা অতটা কার্যকরী হবে না। কারণ, বাচ্চা দেখবে বাসায় অন্যরা শব্দ করে দরজা বন্ধ করছে।
তো, এক্ষেত্রে কী করবেন?
পুনশ্চঃ এটা একটা কালচারাল সমস্যা। পার্টনারের সাথে আলাপ করে আপনি তার এই অভ্যাস দূর করতে পারবেন না। কালচারাল/রুচিগত ও অভ্যাসগত সমস্যাগুলো আলাপ-আলোচনা করে সমাধান হয় না সাধারণত বরং পার্টনার অফেন্ডেড হয়। এই বিষয়টা নিয়ে আরেকদিন আলোচনা করবো।
পার্টনারশীপ - ৩
একটা পার্টনারশীপে সততা অনেক গুরুত্বপূর্ন। অসততা বলতে শুধুমাত্র মিথ্যা কথা বলাকে বুঝায় না।
পার্টনারের বিষয়ে আপনি কিছু অভিযোগ করলেন। আপনি নিজেও জানেন অভিযোগটা মিথ্যা। তবুও সাইকোলজিক্যাল গেম বা অসুস্থ বিনোদনের অংশ হিসেবে যদি করে থাকেন, এটাও অসততা। বড় কোন ভুল করে মিথ্যা বলার চাইতে খারাপ ধরনের অসততা এটা। এগুলো সন্দেহ ও অপবাদের জন্ম দেয়, যা একটা সম্পর্ক ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ঠ। অপবাদের চাইতে বড় অসম্মান আর কিছু নেই।
কোন খেলোয়ার বা সিনেমা সেলিব্রিটিরে না চেনার যে অপরাধের পর্যায়ে চলে গেছে, এই ব্যাপারটা দিয়ে আপনি আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক উচ্চতা মাপতে পারবেন। এই পরিস্থিতি পরিবর্তনে আমাদের অনেক কাজ করতে হবে।
বেঁচে থাকলে আজ হতে ২০/৩০ বছর পর এই লেখা আবার শেয়ার করবো। তখন দেখা যাবে, আমরা কতটা কী করতে পারলাম।
পশ্চিমাদের হিপোক্রেসি এতটা স্পষ্ট এর আগে আর কখনো হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ার উত্থানে মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার প্রভাব কমে আসার নজীর এটা।
Zettelkasten Method বলে একটা নোট টেকিং পদ্ধতি আছে যেটা গবেষণা, চিন্তা-ভাবনা ও লেখালেখিতে অনেক হেল্প করে। ভার্সিটিয়ান ও থিংকার ক্লাবের KMS (Knowledge Management System)-এ এই জিনিষ ইমপ্লিমেন্ট করলাম।
গবেষক ও PhD স্টুডেন্টরা অবসিডিয়ান নামে একটা টুল ব্যবহার করে, অনেকটা ওটার মত। তবে অবসিডিয়ানের মত অত পাওয়ারফুল না এখন পর্যন্ত। ইমপ্রুভ তো করতে থাকবো, আশা করি একদিন অবসিডিয়ানকেও অতিক্রম করে যাবে (যেহেতু এখানো আরো অনেক জিনিষ আছে)।
এই ফিচার নন-ফিকশন লেখকদের জন্য একটা মহা আশীর্বাদ হতে যাচ্ছে। ফিকশন লেখকদের জন্যও এটার বিশেষ একটা সংস্করণ তৈরি করবো। এমনিতে ফিকশান লেখকদের জন্য তো আরো বেশ কিছু চমৎকার টুল তো অলরেডি বানিয়েছি। এগুলো দিনে দিনে আরো ইমপ্রুভ হবে।
আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, ২০/২৫ বছর আগে যদি থিংকার ক্লাবের মত একটা প্লাটফর্ম দুনিয়াতে থাকতো, তাহলে সারাজীবনে যত বই পড়েছি, যত লেখালেখি ও চিন্তা করেছি, সেগুলো কত দারুণভাবে ম্যানেজ করতে পারতাম। অন্তত কয়েক ডজন বই লিখে ফেলতে পারতাম এতদিনে।
পাভেল দুরভ। রাশান জাকারবার্গ বলা হয় এই জিনিয়াসরে। রাশিয়া ভিত্তিক সোশ্যাল মিডিয়া VK-র প্রতিষ্ঠাতা। বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় ম্যাসেজিং সার্ভিস Telegram-এর প্রতিষ্ঠাতাও উনি।
পাভেল দুরভকে মূল্যায়ণ করতে পারলে সোশ্যাল মিডিয়ার জগতে রাশিয়ানরা ফেসবুকের সাথে পাল্লা দিতে পারতো। প্রথম না হোক, অন্তত দ্বিতীয় অবস্থানে থাকতে পারতো যেটা গুগলের মত কোম্পানী অনেক চেষ্টা করেও পারেনি। পাভেলকে মূল্যায়ণ তো দূরের কথা, তার VK কেড়ে নিয়ে দেশান্তরি করেছে রাশান সরকার।
রাশিয়া আর চাইনিজরা ভাবে শক্তি দিয়েই সব হয়। তারা বিশাল অস্ত্র ভান্ডার গড়ে তুলেছে এজন্য। কিন্তু দেখেন, এখন যুদ্ধটা হচ্ছে মিডিয়া দিয়ে। এই মিডিয়ার যুদ্ধে রাশিয়া ও চায়না ব্লক নিধিরাম সর্দার হয়ে বসে আছে।
এইবার বইমেলায় এখনপর্যন্ত এই ছয়টা বই মাত্র হাতে পেলাম। প্রিন্টপুকুর প্রকাশনীর প্রকাশক জয়ন্ত জিল্লু-র ফেসবুক পোস্ট দেখে অর্ডার দিয়েছিলাম ইনবক্সে, উনি পাঠিয়ি দিলেন। রকমারীতে একগাদা বই কার্টে এড করা আছে। এক আপুর বই প্রকাশ হওয়ার কথা ২/৩ দিনের ভেতরে, ওটার জন্য অপেক্ষায় আছি, তাই অর্ডার কনফার্ম করিনি।
হাসান মাহমুদের 'বাঙালি মুসলমান প্রশ্ন' বইটার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। ওটা স্টক আউট হয়ে যায় কিনা ভয়ে আছি কিছুটা। প্রকাশক Abu Bokor Siddique Raju ভাইয়ের কাছে অনুরোধ, রকমারীতে স্টক আউট হয়ে গেলে আমার জন্য পার্সোনালি একটা কপি রাইখেন। আগামীকালের ভেতরে ঐ আপুর বই প্রকাশ না হলে অর্ডার প্লেস করে দেব।
একটা ব্যাপার খেয়াল করলাম। যেসব বই নিয়ে ফেসবুকে অনেক পোস্ট হয়েছে, সেগুলোই আমার লিস্টে। আরো তো অনেক ভালো বই প্রকাশ হয়েছে নিশ্চই। কিন্তু যদি খোঁজই না পাই, কিভাবে অর্ডার দেব বলেন? আমাদের লেখক-প্রকাশকরা বইয়ের মার্কেটিং করতে এত লজ্জা পায় কেন কে জানে!
বিশ্ব-ব্যবস্থা, রাজনীতি ও দেশ পরিচালনা সর্বপরি বিশ্ব-রাজনীতি বুঝতে হলে কী কী বিষয় সম্পর্কে গভীর জ্ঞান থাকতে হয়, কোন কোন বিষয়ে মোটামুটি জানতে হয় এবং কোন কোন বিষয় সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা রাখতে হয়, এরকম একটা তালিকা বানাচ্ছি গত ২১ বছর ধরে (৯/১১ এর পর থেকে)। এই তালিকা বানানো এখনো শেষ হয়নি।
এই তালিকার দিকে তাকালে যা বুঝতে পারি, একজন ব্যক্তির পক্ষে এই বিষয়গুলো পুরোপুরি বুঝা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। হাজার হাজার ফ্যাক্ট এখানে জড়িত। কিছু কিছু বিষয় একটার সাথে আরেকটার সম্পর্ক এতই গভীর যে আপনি যদি দুই/একটা ফ্যাক্টও মিস করে ফেলেন, আপনার পর্যবেক্ষন অসম্পূর্ণ এবং এনালিসিস ভুল হয়ে যেতে পারে।
এসব বিষয় নিয়ে সঠিক বা কাছাকাছি এনালিসিস দেয়ার জন্য বিশেষজ্ঞদের গ্রুপ লাগে।