যাদের ডিপ্রেশন আছে তারা ঠান্ডা পানি দিয়ে গোছল করে ১৫ মিনিট রইদে বসে থাকবেন।
এই টিপস কাজে লাগলে আমারে কফি খাওয়াবেন!
ত্রিশ দিনে ৭২০ ঘন্টা হয়। এই ৭২০ ঘন্টা কিভাবে কাটান বা কাটাতে চান, সেই প্ল্যান করতে পারবেন এই টুল ব্যবহার করে। এই যেমন— প্রতিদিন যদি ৮ ঘন্টা ঘুমান তাহলে মাসে ২৪০ ঘন্টা ঘুমানো হয়, হাতে থাকে ৪৮০ ঘন্টা। এভাবে হিসাব করে দেখতে পাবেন আমাদের সময় আসলে কত কম।
আপনার বাচ্চাদের নিয়ে বসেন। তাদের সময় হিসাব করে দেখান, নিজেরাই বুঝতে পারবে কত কম সময় আছে খরচ করার মত। এরপর পিডিএফ নামিয়ে প্রিন্ট করে তাদের পড়ার টেবিলের সামনে লাগিয়ে দিতে পারেন। এই চার্ট চোখের সামনে থাকলে সময় সচেতনতা বাড়বে। টুলটা একসেস করতে এখানে ক্লিক করুন।
এনালগ ঘড়ি, ক্যালেন্ডার, টু-ডু লিস্ট, স্টিকি নোট ও ক্যালকুলেটর— এগুলো প্রতিদিন কাজে লাগে আমাদের। এর জন্য আলাদা আলাদা অ্যাপ সেটাপ করার প্যারা থেকে বাঁচতে CSAI-এ সবার জন্য ফ্রি টুল হিসেবে CS DESK রিলিজ দিলাম।
এখানে সেভ করা আপনার টুডু লিস্ট কিংবা স্টিকি নোটের ডাটা আমাদের সার্ভারে সেভ হবে না, সরাসরি আপনার নিজের কম্পিউটারে সেভ হবে। তাই প্রাইভেসি নিয়ে ভাবতে হবে না। নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন। CS DESK ব্যবহার করতে এখানে ক্লিক করুন।
জীবনের জন্য প্রযুক্তি - ৫
পচনশীল খাদ্যদ্রব্য ভালো রাখার জন্য ফ্রিজে রাখা হয় সাধারণত। কিন্তু এই খাবার একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ভালো থাকে, এরপর নষ্ট হয়ে যায়।
বাংলাদেশে দুই ধরনের ফ্রিজ দেখা যায়- ১) রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ ও ২) ফ্রিজার বা ডিপ ফ্রিজ।
সাধারণ ফ্রিজে খাবার খুব অল্প সময়ের জন্যই ভালো থাকে। কত সময় পর্যন্ত ভালো থাকবে তা কয়েকটা বিষয়ের উপরে নির্ভর করে। সাধারণত ৩ দিন পর্যন্ত এতে খাবার ভালো থাকে।
ফ্রিজার বা ডিপ ফ্রিজে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে পারলে (এবং ফ্রিজারটা অনেক ভালো/দামী হলে) সর্বোচ্চ ৮ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত ভালো থাকতে পারে। কিন্তু ২-৩ মাসের বেশী সময় ডিপ ফ্রিজে খাবার না রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।
আপাতত কোরবানীর গরু যারা ফ্রিজে রাখছেন, তারা ২/৩ মাস পর্যন্ত টার্গেট করে রাখেন। সবচাইতে ভালো হচ্ছে ডিপে কিছু না রেখে বিলিয়ে দিলে, কারণ ফ্রিজের খাবার সবসময়ই স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। এই বিষয়গুলো নিয়ে আরেকদিন বিস্তারিত আলাপ করবো।
এক্স্যাক্টলি! পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার সাথেও টাকা-পয়সার সম্পর্ক নাই তেমন।
সাতটা উপাদান আমাদের প্রতিদিন লাগে। একটা ফুড শপের ক্যাটাগরি সাজানো উচিত এই উপাদানগুলো দিয়ে। আমাদের টাউন-সেন্টারের ফুড শপে এভাবে থাকবে।
লোকজন এই উপাদানগুলো বিবেচনা করে গ্রোসারি কিনলে আমরা একটা সুস্থ-সবল ও বুদ্ধিমান জাতি তৈরি করতে পারবো। তাই, আইডিয়াটা ওপেন করে দিলাম। এই আইডিয়া অন্যরাও কপি করতে পারেন। এর ভেতরে আরো কিছু সুক্ষ বিষয়ও আছে, চাইলে পরামর্শ করতে আমার অফিসে আসতে পারেন।
বাংলাদেশে জন্ম হওয়াটা আমার কাছে ভাগ্যের ব্যাপার বলে মনে হয়। কয়েকটা কারণে, এর একটা হচ্ছে ফ্রেশ ফুড। ইউরোপের কিছু দেশ ও আমেরিকায় সেই লেভেলের পয়সাওয়ালা না হলে ফ্রেশ ফুড খাওয়ার কথা ভাবাও যায় না।
আমার ছোটবেলা কেটেছে চাঁদপুর শহরে। শহর থেকে চার/পাঁচ কিলোমিটার দূরেই ছিলো আমাদের গ্রাম যেখান থেকে নিজেদের জমিতে ফলানো ফসল, পুকুর ও নদীর মাছ, ফার্মের দুধ, ডিম, মাংস খেয়ে আমরা বড় হয়েছি। এখনো তো আমরা ফ্রেশ সবজি, মাছ, মাংস কিনতে পারি বাজার থেকে যা পাওয়ার জন্য আমেরিকায় মিলিওনিয়ার হতে হয়। এক্ষেত্রে আমরা লাকি না?
বাংলাদেশে কিছু লোক বাদে বাকীরা এখনো ফ্রেশ জিনিষই খেতে পারে। এই কিছু লোকেরা ফ্রেশ জিনিষ কিনে আনলেও সেটা কেটেকুটে ফ্রিজে রেখে (ফ্রেশনেসটা নষ্ট করে) কয়েকদিন পরে খায়। কেন, কে জানে!
আমেরিকায় অটিজমের হার এত বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য এই খাদ্য দূষণ একটা বড় ভূমিকা রাখছে। আমরা তো এখনো লাকি এক্ষেত্রে, তাই না?
সেহরীতে আমার সুপার মেনুর সাথে আরেকটা সুপার ফুড কিনোয়া (Quinoa) যুক্ত করলাম। বেশ ভালো। কিনোয়ার টেস্ট খারাপ না।
ওট + দুধ + কলা + খেজুর + আপেল + গাজর + কিনোয়া = সুপার ডুপার ফুড!
কিনোয়ার খাদ্য মান এত বেশী ভালো যে, আপনি যদি বাচ্চাদের প্রতিদিন কিনোয়া খাওয়ান; তারা আরো বেশী বুদ্ধিমান ও সুন্দরভাবে বেড়ে উঠবে। সমস্যা হলো এর দাম অনেক বেশী। বাংলাদেশে চাষ হলে দাম কমে আসবে সম্ভবত।
সহজ জীবন!
চোখ জ্বলতেছে সকাল থেকে, সারাদিন কোন কাজ করতে পারিনি। প্রতিদিন নয়টা থেকে চারটা পর্যন্ত ঘুমানোর ফল। মানে ইফতার আর সেহরী ছাড়া পানি খাওয়া হয়নি, পানি শুন্যতা থেকে হয়েছে এটা। এক ডাক্তার বন্ধু তাই বললো। যারা রোজা রাখছেন, খেয়াল রাইখেন পানি খাওয়ার বিষয়টা।
রোজায় ইফতার বা সেহেরীতে ওটস খেতে পারেন একবার। খেজুর + বাদাম + কলা + গাজর + দুধ + ওটস। সাথে প্রোটিনের জন্য চিকেন বা ডিম সেদ্ধ। আমার মনে হয় সেহেরীতে এটা খাওয়া বেস্ট। বিশেষ করে ঘুম থেকে উঠার এটা খেতে বেশ আরামদায়ক। পুষ্টিকরও!