দুধ + ওট (যব) + কলা + খেজুর + বাদাম + ব্রেড = সুপার ফুড
আগে সকালের ব্রেকফাস্ট আর সন্ধ্যার সাফারে খেতাম। এখন থেকে সপ্তায় দুইদিন লাঞ্চেও খাবো। প্রোটিন নিয়ে যাবো ব্রেকফাস্ট আর সাফারে। তারমানে এখন থেকে সপ্তাহে পাঁচদিন পাঁচবার ভাত খাওয়া হবে। এটা সপ্তাহে দুইবারে নামিয়ে আনবো। ভাত থেকে বের হয়ে আসতেছি।
প্যারেন্টিং - ৬৩
বছরের প্রথম দিনে আপনার বাচ্চাদের ডেইলি প্ল্যানার কিনে দিন। এখানে তারা প্রতিদিনের প্রায়োরিটি, টু-ডু এবং কোন ঘন্টায় কী করেছে লিখে রাখা শুরু করবে। প্রথমে কিছুদিন আপনি সাজেশন দিতে পারেন কিভাবে লিখবে। পরে তারা নিজেরাই নিজেদেরটা মেনটেইন করতে পারবে।
এর একটা ইন্টারেস্টিং সাইকোলজিক্যাল দিক আছে। দেখা যাবে কোন ঘন্টার ঘর খালি যাতে না থাকে, এজন্য সে কিছু না কিছু করতে চাইবে। আবার টু-ডু লিস্টের কাজগুলো শেষ করতে চাইবে। আবার দিন শেষে বা সপ্তাহ শেষে নিজেই দেখতে পাবে কী কী করেছে। সেটা তার প্রায়োরিটি ও টু-ডু এবং কাজকর্ম সাজাতে, করতে এবং চিন্তাশীল হতে সাহায্য করবে।
নানরুটি আর হালিম খাওয়ার পর কোকে চুমুক দিয়ে হঠাৎ মনে হলো— নাহ! জীবনটা ভালোই।
তবে, এই কোক খাওয়ার নিয়ম আছে। এদেশের প্রায় সকল প্রোডাক্টের মত কোকেরও কোয়ালিটি লো করে ফেলা হয়েছে। কিন্তু একটা ট্রিক ফলো করলে এই লো-কোয়ালিটি কোকও আপনার ভালো লাগবে। করবেন কী— ৬০০ মিলি একটা কোকের বোতল কিনে ডিপে রেখে দিবেন। যখন জমে পুরোপুরি বরফ হয়ে যাবে, তখন বের করে পাঁচ/ছয় মিনিট কুসুম গরম পানিতে বোতলটা ডুবিয়ে রাখবেন। এতে যেটুকু কোক গলে যাবে, সেটুকু একটা গ্লাসে ঢেলে খেয়ে দেখবেন অন্যরকম টেস্ট।
এর রহস্য বুঝতে পারবেন বোতলটার দিকে তাকালেই। দেখবেন বোতলের ভেতরে সাদা বরফ দেখা যাচ্ছে। ঘটনা হচ্ছে, কোকের ভেতরের পানি বরফ হয়ে থাকায় যে কোকটুকু আপনি গ্লাসে ঢালবেন, সেটা অনেক ঘন হবে, তাই টেস্ট বেড়ে যায়। মিস্টিও কিছুটা কম থাকে। ৬০০ মিলি বোতল থেকে এভাবে আপনি ছোট দুই গ্লাস কোক পাবেন।
পুনশ্চঃ কোক খাওয়া উৎসাহিত করছি না। এধরনের কোমল পানীয়গুলো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আমি নিজেই ৩/৪ মাস পরপর এক/দুইবার খাই। আজকে প্রায় দুইমাস পর খেলাম।
ভার্সিটিয়ান-থিংকার প্রজেক্ট একটা স্টেজে চলে আসার পর এগ্রোতে ইনভেস্ট করবো। তখন এরকম একটা সেটাপ তৈরি করবো। চারপাশে বিস্তীর্ণ চাষের জমি + দীঘি আর মাঝখানে এরকম নিজের বাসা ও ফুড প্রসেসিং প্ল্যান্ট। থিংকারের সদস্যদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে রিসোর্ট টাইপ এই সেটাপ। ইলন মাস্কের স্টার লিংক ও সোলার সিস্টেম লাগাবো। পুরোপুরি অফ গ্রিড!
বেঁচে থাকলে আগামী দশ বছরের ভেতরে এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে ফেলতে পারবো ইনশা'আল্লাহ। বাকী জীবন এরকম কিছুর সাথেই কাটানোর ইচ্ছা।
রিসেশনে কিভাবে সার্ভাইব করতে পারে পাবলিক, তা নিয়া ভাবতেছিলাম। আজকে বিপদের পূর্বাভাস দেয়ার পরিবর্তে এধরনের বিপদে করণীয় কী হতে পারে, তা নিয়ে কিছু নিয়ে কিছু ভাবনা শেয়ার করেছি ত্রিভুজ নেটওয়ার্কে। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
প্যারেন্টিং - ৫৫
বড়দের সাথে আপনারা ঠিক যেভাবে মনোযোগ ও গুরুত্ব দিয়ে আলাপ করেন ও আড্ডা দেন, বাচ্চাদেরকেও একইরকম গুরুত্ব দিবেন। এটা তাদের আত্ম-বিশ্বাস বাড়াবে এবং চিন্তাশীল হতে সাহায্য করবে।
তবে, বড়দের সাথে যা যা বলা যায়; বাচ্চাদের সাথে তার সব বলা যাবে না। এই যেমন— বাচ্চাদেরকে পৃথিবীর খারাপ ও জটিল বিষয়গুলো বলবেন না। মানুশ সম্পর্কে খারাপ ধারনা দিরেন না। তারা জানতে চাইলেও না।
আজকে বিদ্যুৎ কেন চলে যায় জানতে চাচ্ছিলো তাতিয়ানা।
বললাম— আমরা গরীব দেশ যে, এজন্য।
‘আমরা কেন গরীব’, এটা ছিলো তাতিনের পরের প্রশ্ন।
‘তুমি আরো বড় হলে বুঝতে পারবে’, বললাম আমি।
এরপর ছোটরা কেন জানতে পারবে না, বড় হতে হবে কেন এই টাইপ আরো বহু আলোচনা হলো। তারপর ওর নিজের গল্পে ফেরত গেলাম আমরা।
এখন আমি যদি ওকে বলি যে দূর্নীতিবাজদের কারণে আমরা গরীব, সেটা মানুষ সম্পর্কে ওর ভেতরে একটা নেগেটিভ ইমেজ তৈরি করবে। এসব ধারনা ওর সুন্দর পৃথিবীটা ধীরে ধীরে ধ্বংস করে দিবে যা ক্রিয়েটিভ হওয়ার পথে বাঁধা সৃষ্টি করবে।
১৬ বছরের নিচের যাদের বয়স, তাদের পৃথিবীটা সুন্দর ও স্বপ্নীল রাখা জরুরী।
প্যারেন্টিং - ৪৪
প্যারেন্টদের জন্য ফুড এন্ড নিউট্রিশনের বেসিক কোর্স করা বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত। অন্তত, সুষম খাবার সম্পর্কে তাদের জানা উচিত।
বাচ্চাদের শারীরিক, মানসিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক গঠনে সুষম খাবার গরুত্বপূর্ন। সুষম খাবারের অভাবে নিউট্রিশন ডেফিসিয়েন্সি দেখা দেয়, যা পরে আর ঠিক করা যায় না। নিউট্রিশন ডেফিসিয়েন্সি নিয়ে বেড়ে ওঠা শিশু সামাজিক, মানসিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকে সবসময়।
সুষম খাবার যে খুব দামী এমন কিন্তু নয়। বরং সুষম খাবারের মূল্য তুলনামূলকভাবে কম। শুধুমাত্র সচেতনতার অভাবে লোকজন সুষম খাবার নিতে পারে না।
বাংলাদেশে এক সময় কাউনের চাল চাষ হতো যা শুধুমাত্র গরীবেরা খেত। অথচ, এই শস্য সুপার ফুড হিসেবে পরিচিত এখন। মলা মাছে এত বেশী পুষ্টি উপাদান আছে যে, প্রতিদিন মাত্র ২/৩টা মলা মাছ খেলেই একটা বাচ্চা অনেক গুরুত্বপূর্ন সব উপাদান পেয়ে যায়। আমাদের খাল-বিল-পুকুরে এই মাছ এমনিতেই হয়। এরকম আরো অনেক খাবার আছে যেগুলোর মূল্য অনেক কম কিন্তু সুষম খাবার নিশ্চিত করার জন্য যথেষ্ঠ।
প্যারেন্টিং - ৪৩
বাচ্চারা যেন কোনভাবেই রাত দশটার পর জেগে না থাকে। রাত দশটার পর জেগে থাকা আমাদের শারীরিক, মানসিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
নাথিং ডে
মাঝে মাঝে পুরো একটা দিন কিছুই করবেন না। সারাদিন চুপচাপ বসে থাকুন বা শুয়ে। মোবাইলও ধরা যাবে না।
সহজ জীবন - ২৪
(ক্যারিয়ারে প্রবেশের আগে) স্মার্টফোন জিনিষটা পড়ালেখা, ক্যারিয়ার ও জীবনের জন্য ক্ষতিকর। এডাল্টদের জন্যও এটা ক্ষতিকর যদি কেউ এর সঠিক ব্যবহার না জানে।
আর ভার্সিটিতে উঠার আগে স্টুডেন্টদের স্মার্টফোন দেয়া উচিত না। যোগাযোগের জন্য বাটন ফোন দেয়া যেতে পারে।
অনলাইন ক্লাশের জন্য যে কয়জন আমার কাছে কী ফোন কেনা উচিৎ জানতে চেয়েছে, তাদের সবাইকে বলেছিলাম ট্যাবলেট কিংবা ল্যাপটপ কিনতে। একটা মিড রেঞ্জ ফোনের দামে কিন্তু একটা ল্যাপটপ পাওয়া যায়।
পড়ালেখা ও গবেষণার জন্য ল্যাপটপ যেমন সুবিধাজনক তেমনি সারাক্ষন ব্যবহারের জন্য অসুবিধাজনক। আর এজন্যই ল্যাপটপ ভালো।