আমি ভাবতাম এটা শুধু আমার সাথেই ঘটে। এজন্য ২০/৩০ মিনিট আগে উবার কল করি সবসময়। এটা তো দেখি জাতীয় সমস্যা।
উবারের উচিত যারা এই কাজ করে না তাদেরকে স্পেশাল রেটিং দেয়া এবং ট্রিপ জবগুলো তাদেরকে আগে দেখানো। এধরনের প্রায়োরিটি বেসিসে ট্রিপ/জব দেখানো শুরু হলে এই সমস্যা সমাধান হতে পারে।
It’s the end of November, no sign of winter!
হাইওয়ে ডাকাতদের থেকে বাঁচতে বেশ কয়েকজন আমারে রাতের বেলা ট্রাভেল করতে নিষেধ করেছে। ঢাকায়ও নাকি ওপেন ছিনতাই শুরু হয়েছে। এতে সন্ধ্যার পর রাস্তা-ঘাট ফাঁকা হতে শুরু হলে ব্যবসা-বানিজ্য আরো খারাপ দিকে যাবে। তাতে আরো বেশী লোক জব হারাবে যা পরিস্থিতি আরো খারাপ করে দিবে।
এটা একটা দুষ্ট-চক্র। একবার এই চক্রে পড়লে বের হওয়া কঠিন হবে।
মাটির চুলা। চিনে রাখা ভালো…
এই বাকী দেয়ার বিষয়টা নিয়ে ভাবছিলাম। পুরান ঢাকার এক সু ব্যবসায়ী আমাকে বলেছিলেন— মার্কেটে তাদের কোটি কোটি টাকা আটকে আছে। আর এই টাকা নাকি কখনোই তোলা যাবে না। এধরনের কথা আগেও শুনেছি কিন্তু বিষয়টা যে এতটা ভয়ংকর ও বাস্তব তা জানা ছিলো না। এই যে একজন গরীব হোটেল মালিকের দোকানে মাত্র ৪/৫ বছরে ৬ লাখ টাকা বাকী খেয়ে ফেললো, এই টাকাও তো উনি ফেরত পান নাই। সব ব্যবসায়তেই নাকি এই অবস্থা।
দেশের সার্বিক উন্নতির জন্য এই অবস্থার পরিবর্তন দরকার।
কিন্তু, কিভাবে এই পরিবর্তন আনা যায়?
কাস্টমারদের রাতারাতি বাকি খাওয়া থেকে বিরত রাখা যাবে? নাহ!
ব্যবসায় বাকী লেনদেন বন্ধ করা যাবে? নাহ!
এই পরিস্থিতির উন্নতি করার উপায় হচ্ছে- FinTech বা ফাইন্যান্সিয়াল বিষয়গুলোতে টেকনোলজির ব্যবহার। ১৭/১৮ কোটি লোকের দেশে রাতারাতি FinTech দিয়ে এই সমস্যার সমাধান আনা কঠিন হওয়ারই কথা। কিন্তু আমি একটা হাইব্রিড সলিউশনের কথা ভাবছিলাম, যেটা সম্ভব মনে হচ্ছে।
এই আইডিয়াগুলো নিয়ে আরো ভাবতে হবে তাই পরে কখনো শেয়ার করবো। আপাতত বাকী লেনদেনের বিষয়টা নিয়ে আরো তথ্য জানা দরকার। যাদের এরকম বাকীতে লেনদেন করতে হয়, তাদের কারো চোখে এই লেখা পড়লে ইনবক্সে আমাকে তথ্য দিয়ে সাহায্য করলে ভালো হতো। মানে, কিভাবে আপনারা লেনদেনটা করেন, কেন করতে হয়, এর থেকে বের হওয়ার পথের বাঁধাগুলো কী কী.. এসব আরকি।
প্রায় পনের আগে গর্ব করে লিখেছিমাম— ‘আমেরিকায় কারেন্ট চলে গেলে সব লুটপাট হয়ে যায় কিন্তু আমাদের এখানে হয় না এরকম কিছু। জাতি হিসেবে এটা নিয়ে আমরা গর্ব করতেই পারি।’
এই গর্ব আর করতে পারছি না চট্টগ্রাম বিশ্ব-বিদ্যালয়ের ছাত্রদের বাকী খেয়ে এক হোটেল মালিককে নিঃস্ব করে দিতে দেখে। এই লোকটা আপনাদের কাছে যে ৫/৬ লাখ টাকা পায় সেটা ফেরত দিয়ে দিয়েন আপনারা। এছাড়া আর কী বলবো!
বঙ্গোপসাগরে কি সীউইড (Seaweed) পাওয়া যায়? গেলে এটা হারভেস্ট করার কোন উদ্যোগ নেয়া যায়। আমরা যে বড় ধরনের বিপর্যয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, তখন আমাদের নিউট্রিশন সমস্যার একটা ভালো সমাধান হতে পারতো সীউইড।
আপাতত ঝড় নিয়া আর ভয় নাই। এটা এমনিতেই বড় কিছু ছিলো না।
খেয়াল করলে দেখবেন, ইদানিং অভাব-অনটন নিয়া মিম হইতেছে প্রচুর। অর্থনৈতিক দুরাবস্থার কথা তো সরাসরি বলাটা অস্বস্তিকর। মিম এখানে তাদের একটা উইন্ডো।
বিজ্ঞানরে কিছু লোক ধর্মে পরিনত করতেছে এই বঙ্গে।
ভেরী স্যাড!