হঠাৎ করে বাতাসের কোয়ালিটি এতটা খারাপ কেন হচ্ছে? ঢাকা সিটির ভেতরে AQI দেখলাম ৬০০ এর উপরে, উত্তরার দিকে ৪০০ থেকে ৫০০-তে উঠানামা করছে। AQI ৩০০ এর বেশী হওয়া মানেই হ্যাজার্ড সিচ্যুয়েশন, তখন গ্যাস মাস্ক পড়ে থাকতে হয়। আমার এয়ার পিউরিফায়ার ২৪ ঘন্টা টানা কাজ করেও রুমের AQI ৫০ এর নিচে নামাতে পারছে না (AQI ৫০ এর নিচে থাকা হচ্ছে স্বাস্থ্যকর অবস্থা)।
ইন্টেলেক্ট আর ইনটুইশন এক হয় যখন, তখন কী হতে পারে তার একটা বাস্তব প্রমাণ স্টিভ জবস। স্টিভ জবস নিজে বলে গেছেন, পশ্চিমারা শুধুমাত্র ইন্টেলেক্ট দিয়ে চলে আর দক্ষিন এশিয়ার লোকজন ইনটুইশন দিয়ে। অ্যাপলের প্রোডাক্টগুলো ডিজাইন করার সময় তিনি শুধুমাত্র ইন্টেলেক্টের উপরে ভরসা করেন নাই, ইনটুইশন ব্যবহার করেছেন। মাইক্রোসফট ও গুগলের সাথে অ্যাপলের প্রোডাক্টের পার্থক্যের জায়গাটা তৈরি করেছে এই বিষয়টা।
বাংলাদেশীদের নিয়ে আমি এত আশাবাদী হওয়ার কারণও এটা। গড় বাংলাদেশীদের ব্রেইন অনেক ভালো এবং ইনটুইশন ও অসাধারণ কিন্তু ইন্টেলেকচ্যুয়ালি পিছিয়ে আছে। এই জায়গাটা নিয়ে আমি কাজ করতে চাই। এটা নিয়ে আমাদের অনেক কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশে পার্সোনাল ইনকাম ট্যাক্স ৫ থেকে ২৫ পার্সেন্ট। মানে, একটা লেভেল এর ইনকামের পর আপনার প্রতি এক লাখ থেকে সরকার ২৫ হাজার টাকা নিয়ে যাচ্ছে। তখন আপনার হাতে থাকে ৭৫ হাজার টাকা। যদি ৫% ইনকাম ট্যাক্সও দেন, তাহলে ৯৫ হাজার টাকা।
এবার এই ৯৫ বা ৭৫ হাজার টাকা ব্যাংকে রাখতে যান, সরকার সেখান থেকেও কাটবে। গাড়ি কিনলে তো ১০০ থেকে ৫০০ পার্সেন্ট পর্যন্ত ট্যাক্স দিতে হয়। যাক অতদূর না যাই, সাধারনের ভেতরেই থাকি। ধরি আপনি একটা মোবাইল ফোন কিনতে গেলেন। সেখানেও সরকার ৫০% থেকে ১০০% পর্যন্ত ট্যাক্স নেয় (ইমপোর্ট করার সময়), ফলে যে মোবাইল পাশের দেশ ভারতে ২০ হাজার টাকা সেটা বাংলাদেশে বসে আপনি ৩০ থেকে ৩৫ হাজারে কিনতে হয়। তাহলে ঐ ৯৫ বা ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে আপনি একটা ফোন কিনলে সেখানে আরো ২০-৩০ হাজার টাকার মত সরকাররে দিয়ে দিলেন। আপনি এক কাপ চা, একটা বন রুটি ও কলা খেলেও সরকার সেখান থেকে ট্যাক্স নিচ্ছে। এভাবে আপনার প্রতিটা অর্থনৈতিক কর্মকান্ড থেকে সরকার টাকা কেটে নিচ্ছে প্রত্যক্ষ্য ও পরোক্ষভাবে। খেয়াল করেন, আপনার ইনকাম ট্যাক্স দেয়ার পরে হাতে থাকা ৭৫ হাজার থেকে নিচ্ছে এই টাকা।
ভালো করে হিসাব করলে দেখবেন আপনার উপার্জনের অর্ধেকরও বেশী টাকা নিয়ে নিচ্ছে সরকার । এই টাকা তো জনগনের। তাই, দেশ ও জনগনের জন্য যেটা সবচাইতে ভালো, সেখানেই সবচাইতে বেশী খরচ করা উচিত। আর সেই সব চাইতে ভালো খাতের একটা হচ্ছে শিক্ষা খাত। শিক্ষা খাতে বরাদ্দ এত কম কেন? পাবলিক ভার্সিটির হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের মানবেতর জীবন যাপন করতে হবে কেন?
আমার ট্যাক্সের টাকা কোথায় কিভাবে খরচ হবে, সেটা ঠিক করে দেয়ার অধিকার আমার আছে। সেই অধিকার থেকে বলছি—শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেয়া হোক। সর্বোচ্চ না হলেও, কমপক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ যেন থাকে।
হো লাল মেরি (পাট) রাখিও বালা ঝুলে লালরে
সিন্দিরিদা সেবর দা সাকি সাবাস কালান্দার
দমাদম মাস্ত কালান্দার আলীদা বম্বে আন্দার
দমাদম মাস্ত কালান্দার আলীদা প্যায়লা নাম্বার।।
কনটেক্সটঃ ঢাকা ভার্সিটিতে কাওয়ালী ইভেন্টে ভাঙচুর চালায় ছাত্রলীগ, এজন্য ফেসবুকে আমরা এই কাওয়ালী পোস্ট করেছি সবাই মিলে।
Air Matters অ্যাপটা সেটাপ করার পর থেকে প্রতিদিন আইওয়াচে বাতাসের কোয়ালিটি নিয়ে সতর্ক করে যাচ্ছে। ঢাকার বাতাস এত বেশী খারাপ যে- অ্যাপ আমাকে সাজেশন দিচ্ছে রুমের দরজা-জানালা সব বন্ধ করে এয়ার পিউরিফায়ার অন করে দিতে।
এত খারাপ অবস্থা কিভাবে হলো আমাদের?
ব্রেইন মূলত একটা হার্ডওয়্যার। সেখানে পারিবারিক শিক্ষা ও প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা হচ্ছে আপনার অপারেটিং সিস্টেম ও সফটওয়্যার। এখন সুপার কম্পিউটারে যদি আপনি উইন্ডোজ ৯৫ ইন্সটল করেন, তাহলে এই কম্পিউটার দিয়ে কী হবে? আমাদের সমাজ ও শিক্ষা ব্যবস্থা তাই করছে। এরা বরং মেধাবীদের ধ্বংস করে যাচ্ছে। দুই/চারজন নিজের উদ্যোগে এখানে স্বশিক্ষিত হয়ে কিংবা দেশের বাইরে গিয়ে ভালো কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে কিছুটা বাঁচিয়েছে নিজেদের।
আর আমাদের দেশের ভেতরে নটরডেম বাঁচাচ্ছে অল্প কিছু শিক্ষার্থীদের। আপনি দেখবেন ঢাবি ও বুয়েটের অধিকাংশ ভালো ছাত্ররা নটরডেম থেকে আসা। কারণ, ওরা এদেশের আজগুবি শিক্ষা ব্যবস্থার অনেক কিছুই মানে না। সব কলেজে লটারি দিয়ে ভর্তি হয়, ওখানে লটারি দিয়ে হওয়া যায় না।
প্রথম আলো: তা বাঙালি মুসলমানের মধ্যে মননশীলতা তৈরি হলো না কেন?
বদরুদ্দীন উমর: শরীরে ইনজেকশন দিয়ে তো মননশীলতা তৈরি করা যায় না। রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করেও এটি পাওয়া যাবে না। এর জন্য চর্চা দরকার। আজ বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে দেখুন, জ্ঞানের চর্চা বলে কিছু নেই। কিন্তু ভারতে মোদি সরকার যতই দুর্বৃত্তায়ন চালাক না কেন, সেখানে প্রগতিশীলেরা, কমিউনিস্টরা ইতিহাসচর্চা করছেন। রোমিলা থাপার, ইরফান হাবিব, অমিয় কুমার বাগচীর মতো অনেক ইতিহাসবিদ আছেন। আর আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাকান, কোনো ইতিহাসবিদ নেই।
একটা দেশ বুদ্ধিবৃত্তিক দিক থেকে শত বছর পিছিয়ে থাকার নমুনা আপনি বিসিএস এক্সামের প্রশ্ন দেখলেই বুঝতে পারবেন।
দেড়-দুই কিলোমিটার পথ রিকশায় যাওয়া লাগে কেন? সময় বাঁচানো তো উদ্দেশ্য না, কারণ হেঁটে গেলে আরো কম সময় লাগে।
আমি ফ্লিম-মেকার হলে একটা টিভি সিরিজ বানাতাম যেটার প্লট হতো এরকম-
পোস্ট এপক্যালিপ্টিক এরা। পৃথিবীর কোন ইলেক্ট্রনিক্স আর কাজ করছে না। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে, নগর সভ্যতার পতন ঘটেছে। Revolution টিভি সিরিজটায় যেরকম দেখায় আরকি। কিন্তু, Revolution-এ যা দেখায় সেটা বাস্তব ভিত্তিক না। ভ্যালিড সায়েন্টিফিক ফ্যাক্ট আছে, এরকম ঘটার সম্ভবনা নিয়ে, সেটা দেখাতাম।
তো, যেহেতু যোগাযোগ নাই, নগর সভ্যতা নাই, মানুশ ফিরে গেছে কৃষি সভ্যতায়। কৃষি সভ্যতায় যাওয়াতে পৃথিবীর সবচাইতে সমৃদ্ধ এলাকা হয়ে উঠতে শুরু করেছে উর্বর পলল-ভূমির অঞ্চলগুলো। ফলে, বাংলাদেশ হয়ে গিয়েছে বসবাসের জন্য সবচাইতে উপযোগী ভূমি।
এখন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যে মাইগ্রেন্ট বাঙালিরা আছে, তারা বাংলাদেশে ফেরার স্বপ্ন দেখছে। অস্ট্রেলিয়ার, আমেরিকার অনুর্বর ভূমিতে অনেক কষ্ট করে কৃষি কাজ করে আর বাংলাদেশে স্মৃতিচারন করে। দেশে কিভাবে ব্যাক করা যায় সেই পরিকল্পনা করে। এদের ভেতরে একদল সাহসী লোক গাছ কেটে জাহাজ বানিয়ে রওনাও দিয়ে দেয়।
এরকম অনেককিছু নিয়ে অনেক ইন্টারেস্টিং সব ঘটনাবহুল একটা সিরিজ। মেকিং স্টাইলটা হলিউড টাইপ হবে। Revolution, LOST সিরিজগুলোর মত অ্যাকশন ড্রামা টাইপ।
যারা নাটক-সিনেমা-সিরিজ তৈরি করেন, তারা চাইলে এই প্লট-টা ব্যবহার করতে পারেন। আরো ডিটেইলস আইডিয়া ও ফ্যাক্ট লাগলে যোগাযোগ করতে পারেন। এরকম একটা সিরিজ দরকার আসলে।