বাংলাদেশে পার্সোনাল ইনকাম ট্যাক্স ৫ থেকে ২৫ পার্সেন্ট। মানে, একটা লেভেল এর ইনকামের পর আপনার প্রতি এক লাখ থেকে সরকার ২৫ হাজার টাকা নিয়ে যাচ্ছে। তখন আপনার হাতে থাকে ৭৫ হাজার টাকা। যদি ৫% ইনকাম ট্যাক্সও দেন, তাহলে ৯৫ হাজার টাকা।
এবার এই ৯৫ বা ৭৫ হাজার টাকা ব্যাংকে রাখতে যান, সরকার সেখান থেকেও কাটবে। গাড়ি কিনলে তো ১০০ থেকে ৫০০ পার্সেন্ট পর্যন্ত ট্যাক্স দিতে হয়। যাক অতদূর না যাই, সাধারনের ভেতরেই থাকি। ধরি আপনি একটা মোবাইল ফোন কিনতে গেলেন। সেখানেও সরকার ৫০% থেকে ১০০% পর্যন্ত ট্যাক্স নেয় (ইমপোর্ট করার সময়), ফলে যে মোবাইল পাশের দেশ ভারতে ২০ হাজার টাকা সেটা বাংলাদেশে বসে আপনি ৩০ থেকে ৩৫ হাজারে কিনতে হয়। তাহলে ঐ ৯৫ বা ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে আপনি একটা ফোন কিনলে সেখানে আরো ২০-৩০ হাজার টাকার মত সরকাররে দিয়ে দিলেন। আপনি এক কাপ চা, একটা বন রুটি ও কলা খেলেও সরকার সেখান থেকে ট্যাক্স নিচ্ছে। এভাবে আপনার প্রতিটা অর্থনৈতিক কর্মকান্ড থেকে সরকার টাকা কেটে নিচ্ছে প্রত্যক্ষ্য ও পরোক্ষভাবে। খেয়াল করেন, আপনার ইনকাম ট্যাক্স দেয়ার পরে হাতে থাকা ৭৫ হাজার থেকে নিচ্ছে এই টাকা।
ভালো করে হিসাব করলে দেখবেন আপনার উপার্জনের অর্ধেকরও বেশী টাকা নিয়ে নিচ্ছে সরকার । এই টাকা তো জনগনের। তাই, দেশ ও জনগনের জন্য যেটা সবচাইতে ভালো, সেখানেই সবচাইতে বেশী খরচ করা উচিত। আর সেই সব চাইতে ভালো খাতের একটা হচ্ছে শিক্ষা খাত। শিক্ষা খাতে বরাদ্দ এত কম কেন? পাবলিক ভার্সিটির হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের মানবেতর জীবন যাপন করতে হবে কেন?
আমার ট্যাক্সের টাকা কোথায় কিভাবে খরচ হবে, সেটা ঠিক করে দেয়ার অধিকার আমার আছে। সেই অধিকার থেকে বলছি—শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেয়া হোক। সর্বোচ্চ না হলেও, কমপক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ যেন থাকে।
কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।