অনলাইনে প্রকাশিত চিন্তা-ভাবনা সমগ্র
আপনার যে অন্যায়ের জন্য কারো কাছে জবাবদিহি করতে হয় না বা কেউ অভিযোগ করে না, সেই অন্যায়ের জন্য আপনি কারো কাছে ক্ষমা চাইতেও পারবেন না বা অন্য কেউ ক্ষমা করতে আসবে না।
আর, নিজেরে নিজে ক্ষমা করা হচ্ছে জগতের সবচাইতে কঠিন কাজগুলোর একটা।
I want to go here right now! What if people could go places like this anytime they want? Maybe in real or using VR? I won't mind if it's even VR! I want to sit down there and watch the sunset. I can use my imagination to fill the gap between reality & VR. After all, whatever we see is nothing but some electric signal & processing inside the brain.
সময় একটা কারেন্সী। আমরা প্রতি মাসে মাত্র ৭২০ ঘন্টা পাই খরচ করার জন্য। আমার বর্তমান টাইম প্ল্যানার এটা। কতটা কম সময় যে আমাদের হাতে! নিজের জন্য মাত্র ৩ ঘন্টা সময় বরাদ্দ। এর মাঝেই সব করতে হয়। ফ্যামিলি, বন্ধু-বান্ধব, সোশ্যাল মিডিয়া ও নিজেরে সময় দিতে হয়।
যখন স্কুলে পড়ি, এক বড় ভাই বলছিলেন—ভার্সিটিতে পড়ালেখা করে যতটুকু শেখা যায়, হলে থেকে তারচাইতে বেশী শেখা যায়। ভাবতাম, এটা কিভাবে সম্ভব? যখন থেকে বাসার বাইরে থাকা শুরু করলাম, তখন থেকে উনার এই কথার মর্ম উপলদ্ধি করতে শুরু করলাম।
বাসার বাইরে থাকতে গিয়ে প্রথমেই সমস্যা দেখা দিলো খাবার নিয়ে। রেস্টুরেন্ট/ক্যাফের খাবার সবসময় আমার প্রিয় ছিলো। কিন্তু দিনের পর দিন যে এগুলো খাওয়া যায় না, সেটা আবিষ্কার করতে একমাসও লাগেনি। তখন আমি ফ্ল্যাট নিয়ে থাকি, একা। রান্নার জন্য বুয়া রাখা শুরু করলাম। বুয়াদের রান্নাও খাওয়া যায় না। বেশ কয়েকজন বুয়া ও দু'জন কাজের মেয়ে চেঞ্জ করেও যখন খাওয়ার বিষয়টা সমাধান করা গেল না তখন ভাবলাম ফ্ল্যাট মেট নেব। রান্না করতে পারে এরকম কাউকে খুঁজতে লাগলাম এবং পেয়েও গেলাম। ভার্সিটি হলে থাকার বাদবাকী জ্ঞানপর্বের শুরু তখন থেকে।
আপনি যে পরিবেশে বড় হয়েছেন ও যে কালচারে অভ্যস্থ, তা থেকে ব্যতিক্রম কালচারের কারো সাথে থাকা ও খাপ খাওয়ানো যে খুবই চ্যালেঞ্জিং একটা বিষয়, এই জ্ঞানের শুরু তখন থেকে। চ্যালেঞ্জ গ্রহন করবো ঠিক করলাম।
যে ছেলেটাকে ফ্ল্যাট মেট হিসেবে নিলাম, তার সেন্স অব ক্লিনলিনেস ছিলো অকল্পনীয় খারাপ। কোন মানুশের পক্ষে এতটা অগোছালো ও নোংরা কিভাবে থাকা সম্ভব, সেটা নিয়ে আমি আজো ভাবি। যাহোক, উনার রান্না মোটামুটি ভালোই ছিলো কিন্তু আলু দিয়ে কিছু রান্না করলে আধা-সেদ্ধ থেকে যেত আলু। পরে আবিষ্কার করলাম, উনি আলু অর্ধেক সেদ্ধ করে তুলে রাখে এবং পরে তরকারীতে দেয়। আলু অর্ধেক সেদ্ধ করে রেখে দিলে যে বাকী জীবনেও তা আর সেদ্ধ হবে না, এই সত্য উনাকে আমি কখনো বুঝাতে পারি নাই। উনি বলতো- 'তুমি কত বছর ধরে রান্না করো? আমার দশ বছরের অভিজ্ঞতা!'
দশ বছরের অভিজ্ঞ কুকের আধা সেদ্ধ আলু না হয় খাওয়া গেল, কিন্তু সবকিছু ডিপ ফ্রিজে রেখে স্বাদ নষ্ট করার বিষয়টা মানা কষ্টকর ছিলো। উনি রান্না করা খাবার ডিপে রেখে দিতেন, মাসের পর মাস। উনার ধারণা ছিলো ডিপে খাবার কখনো নষ্ট হয় না। খাবার একদমই নষ্ট হবে না, এরকম ফ্রিজ যে শুধুমাত্র ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল ইউজের জন্য বানানো হয় এবং কর্মার্শিয়াল মার্কেটে পাওয়া যায় না, এই সত্য উনারে কখনো বুঝাতে পারি নাই। উনার এই ডীপ ফ্রিজ প্রীতির যন্ত্রনা থেকে বাঁচতে মাঝে মাঝে বাইরে খাওয়া শুরু করতে হলো।
প্লাস্টিকের প্রতি ছিলো উনার অগাধ ভালোবাসা। কিছুদিনের ভেতরে প্লাস্টিকের তৈরি জিনিষপত্র দিয়ে উনি কিচেন ভরে ফেললেন। আমি বেশ কয়েকবার বুঝানোর চেষ্টা করেছি যে—প্লাস্টিক ক্যান্সার সৃষ্টি করে, উনি মানতেন না। উনার দৃষ্টিতে প্লাস্টিক ছিলো বিজ্ঞানের এক মহান আবিষ্কার। উনার এই বিজ্ঞানপ্রীতি থেকে বাঁচতে সবকিছু আলাদা করে কিনতে হলো আমাকে।
এতটুকু পর্যন্ত সব মেনে নেয়ার মত ছিলো। কিন্তু যেদিন আবিষ্কার করলাম, রান্না করার পর উনি হাড়ি পাতিল না ধুয়ে দিনের পর দিন রেখে দেন এবং পরে পানি দিয়ে কোনরকমে একটু ওয়াশ করেই সেটায় খাবার রাখেন, এরপর আর উনার রান্না খাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি। আবার শুরু করলাম বাইরে খাওয়া। মাঝে মাঝে আম্মু বিফ রান্না করে পাঠাতো। বন্ধু-বান্ধবরাও রান্না করে দিয়ে যেত। কিন্তু উনি সেগুলোও নষ্ট করে ফেলতেন পানি মিশিয়ে। আমার প্রিয় গরুর মাংস উনি ডিপে রেখে দিতেন এবং সেখান থেকে বের করে ঠান্ডা পানি মিশিয়ে গরম করে এর বারোটা বাজাতেন। মাংসে এভাবে পানি মিশিয়ে গরম করা যে উচিত না, দশ বছরের অভিজ্ঞ কুকরে আমি কোনভাবেই বুঝাতে পারিনি।
চাঁদপুরে আমার দাদা বাড়িতে কাচারি ঘর নামে একটা ঘর ছিলো যেখানে মুসারফিররা থাকতো। তাদের থাকা-খাওয়া, সুবিধা-অসুবিধা বাড়ির লোকরা দেখতো। এই কালচার এখন আর নেই কোথাও।
বাংলাদেশে প্রতি ১৩ লাখ ৫৫ হাজার লোকের জন্য একটা ভার্সিটি আর আফগানিস্থানে চার লক্ষ তেতাল্লিশ হাজারের জন্য একটা। বাংলাদেশে ৫৫০ দিনের বেশী সময় ধরে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আর আফগানিস্থানে এই যুদ্ধাবস্থায়ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা।
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অধঃপতন কোন অবস্থায় আছে সেটা বড় বড় কোম্পানীগুলোতে বিদেশীদের (বিশেষ করে ভারতীয়দের) নিয়োগ দেখলেই বুঝতে পারবেন।
এরকম একটা অবস্থায় বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়া কথা না বলে আফগানিস্থান নিয়া কথা বলাকে আপনি কিভাবে দেখেন?
ছয়টি বেসরকারি ব্যাংক থেকে ১৯ মাসে ৩ হাজার ৩১৩ জন ব্যাংকার চাকরি ছেড়েছেন। দু’টি বেসরকারি ব্যাংক থেকে থেকে চাকরি ছেড়েছেন ২ হাজার ৩০৯ জন। বাকি ১ হাজার ৪ জন চাকরি ছেড়েছেন অন্য চারটি ব্যাংক থেকে।
২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৯ আগস্ট পর্যন্ত ১৯ মাস ৯দিনে বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক থেকে এসব কর্মী চাকরি ছেড়েছেন।
তথ্যসূত্রঃ ইনকিলাব, বাংলানিউজ২৪ ও বাংলা.রিপোর্ট
উত্তরার অধিকাংশ এক্সপেন্সিভ ফ্ল্যাটগুলো খালি হয়ে গিয়েছে কারণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বড় বড় পোস্টে জব করা লোকজন ওগুলোতে থাকতো। অন্য এলাকার কী অবস্থা জানি না। এমনিতে বিভিন্ন সূত্রে জব হারানোর যেসব পরিসংখ্যান জানি, সেগুলোও ভয়াবহ! বিশেষ করে উচ্চ বেতনের লোকজনের জব বেশী গিয়েছে শুনেছি, দেখছি।
ছোটখাটো ব্যবসায়ীদের অধিকাংশেরই খুব খারাপ অবস্থা। কতগুলো পরিচিত বড় রেস্টুরেন্ট বন্ধ হতে দেখলাম। আরো বিভিন্ন সেক্টরে নানা ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গিয়েছে গত দেড় বছরে। এগুলোর সাথে জড়িত বহু লোক জব হারিয়েছে।
পর্যটন সেবা ও বেসরকারী স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের অবস্থা তো আরো খারাপ। সংবাদপত্রগুলো সব বন্ধের পথে আছে। হাজার হাজার মিডিয়াকর্মীদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত।
এরকম একটা খারাপ সময়েও যদি পাবলিক রেস্পন্সিবল না হয়ে ফেসবুকে আজাইরা বিষয় নিয়ে মেতে থাকে, তখন তাদের দুর্দশা কে ঠেকাবে?
আরোপিত কিংবা নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিতে আটকে যাইয়েন না। আপনার দৃষ্টিভঙ্গি আপনারে যেন অন্ধ করে দিতে না পারে।
দ্যা ম্যাট্রিক্স হচ্ছে কম্পিউটার/আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স একদিন পৃথিবী দখল করে নিবে টাইপ হলিউডি প্রোপাগান্ডার একটা ইন্টারেস্টিং সংস্করণ, এর বেশী কিছু না। পৃথিবী দখলের লজিক হিসেবে দেখায় যে- কম্পিউটারের অনেক পাওয়ার দরকার তাই তারা হিউম্যান বডিরে পাওয়ার সেল/ ব্যাটারি হিসেবে ব্যবহার করে। আর মানুশদেরকে যখন এভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে তখন তাদেরকে একটা ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ভেতরে বসবাস করতে দিচ্ছে। VR হেডসেট দিয়ে যেটা আপনি এখনি পারবেন করতে। কিন্তু, VR চোখের ভেতর দিয়ে দৃশ্য গিয়ে ব্রেইনে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির উপলদ্ধি দেয় আর এটা সরাসরি ব্রেইনে জিনিষটা জেনারেট করে, এই পার্থক্য। এর বাইরে মুভিটায় যেসব থিওরী দেখায়, এগুলো তো মনে হয় কমবেশী সকলেই জানে। মানে, ২০২১ সালের জন্য এগুলো নতুন কিছু না আরকি।
তো, ম্যাট্রিক্স নিয়া অবশ্য আপনি চাইলে অন্যরকম ইন্টারেস্টিং ভাবনাও ভাবতে পারেন। এই যেমন ধরেন- আমরা এই যে পৃথিবীতে আছি, এটা আমাদের ব্রেইনে জেনারেটেড একটা সিমুলেশন মাত্র। আমরা হয়তো আমাদের দেখা মহাবিশ্বের বাইরে কোন একটা জায়গায় যাস্ট শুয়ে আছি, আমাদেরকে এই রিয়েলিটির ভেতরে নিক্ষেপ করা হইছে টেস্ট করার জন্য। পাবজি গেমে যেমন ৫০ জন প্লেয়ার একটা ভার্চুয়াল দুনিয়াতে ঢুকে মারামারি করে। মানে, প্রসেসটা এরকম আরকি। এইভাবে ভাবলে ম্যাট্রিক্স নিয়া অত বিতর্কের কিছু থাকে না আর।
যাহোক, The Matrix Resurrections হলে দেখার জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
তাতিনকে যখন স্কুলে ভর্তি করলাম তখন ও বললো— 'টিচার হবো।'
আমি বললাম, আচ্ছা।
তার কিছুদিন পর বলে— 'দোকানদার হবো'।
আমি হেসে বললাম, আচ্ছা!
এরপর আমার কিছু ফেসবুক স্ট্যাটাস পড়ে বলে—'লেখক হবো।'
আমি তখন নিজেকে নিয়ে গর্বিত হয়ে গেলাম।
আজকে বলে—'প্রেসিডেন্ট হবো।'
এখন আমি টেনশিতো!