অনলাইনে প্রকাশিত চিন্তা-ভাবনা সমগ্র
ক্যারিয়ার বিষয়ক ৩১-টা লেখা খুঁজে পেলাম (ক্যারিয়ার লিখে সার্চ দিয়ে)। সেগুলো সব 'ক্যারিয়ার' ক্যাটাগরিতে এড করে দিলাম। ভাবছিলাম ক্যাটাগরিতে যেসব লেখা এড করবো সেগুলো ফেসবুকে অনলী-মী করে দেব। কিন্তু মন্তব্যগুলোর জন্য করছি না আপাতত। মন্তব্যগুলো দেখার জন্য প্রতিটা পোস্টের নিচের ফেসবুক আইকনে ক্লিক করতে হবে।
আমার এক মেক্সিকান ফ্রেন্ডরে জিগাইছিলাম থিংকার কিডসের পেজটা কেমন হচ্ছে?

শে বললো— "গুড তবে রংটা বাচ্চাদের জন্য আরেকটু ফ্রেন্ডলি করতে পারো। বিশেষ করে কালো রং বাচ্চাদের সাথে যায় না।" তাই একটু বৈচিত্র আনলাম এবং দুই মিনিটের প্রচেষ্টায় এই নতুন নীল লোগোটা আসলো। এটা ফাইনাল না; ক্লাউড ও টেক্সটে মাল্টি কালার ট্রাই করে দেখবো পরে।
গত এক সপ্তাহ ধরে পেজের এই জায়গাটায় চোখ আটকে যাচ্ছিলো বারবার... মনে হচ্ছিলো কী যেন মিসিং! ধরতে পারতেছিলাম না।
আপনারা কখনো কোন সাজেশন থাকলে দিয়েন আমারে। কৃতজ্ঞ থাকবো। আফটার অল, আমি তো গ্রাফিক্স বা UI/UX ডিজাইনার না!
ইলন মাস্ক এখন পৃথিবীর সবচাইতে পাওয়ারফুল পলিটিক্যাল টুলের মালিক।
টুইটার!
আমার ভার্চুয়াল সেটেলমেন্ট।
ছোটবেলা আমার একটা শহর তৈরির স্বপ্ন ছিলো। ওয়েস্ট্রান বইগুলোতে সেটেলারদের কান্ড-কারখানা দেখে এই স্বপ্ন ঢুকেছিলো মাথায়। বাস্তবে তো এই ধরনের শহর তৈরি সম্ভব না এখন আর, কিন্তু ভার্চুয়ালি সম্ভব। একটা শহরে যা যা থাকে, থিংকার Town Center এর ভেতরে তার সব যোগ করবো ধীরে ধীরে। এর একটা হচ্ছে প্রয়োজনীয় দোকানপাট।
ছয় ধরনের ই-কমার্স থাকবে প্রতিটা টাউনসেন্টারের সাথে। কম্পিউটার, মোবাইল, ইলেক্ট্রনিক্স, বুকস, ফ্যাশন ও গ্রোসারী (বা মুদি দোকান)। টাউন সেন্টার যারা চালাবে, তারা এই দোকান/ই-কমগুলো পরিচালনা করবে।
সহজ জীবন - ২৮
পপুলিস্ট হওয়া স্ট্রেসফুল
পপুলিস্ট হবেন না। পপুলারিটি দিয়ে কিছুই হয় না আনলেস আপনার ক্যারিয়ার বা ব্যবসা ওটার উপরে নির্ভর করে।
নিজের নেগেটিভ ট্রেইটগুলো যদি আইডেন্টিফাই করে মিনিমাইজ করতে পারেন ও যথেষ্ঠ জ্ঞানী হতে পারেন তাহলে পাবলিক কী পছন্দ করে এসব নিয়ে না ভেবে আপনি কোনটা সঠিক ভাবছেন তা বলুন ও করুন। প্রথমে আপনার পরিচিত সার্কেল আপনাকে ছেড়ে চলে গেলেও কিছুদিনের ভেতরে দেখবেন নতুন সার্কেল তৈরি হয়েছে।
ইন দ্য কোর সকলেই আসলে ভালো মানুশ, নানা প্রতিকূলতার কারণে তারা সেই ভালোর চর্চা করতে না পারলেও আপনার ভালোটাকে সমর্থন দিবে। প্রকাশ্যে দেয়াটা রিস্কি হলে মনে মনে দিবে। একদিন পরিবেশ সঠিক হয়ে উঠলে দেখবেন হুট করে তারা সব আপনার সাথে হাঁটতেছে।
সহজ জীবন - ২৭
বি ইওরসেল্ফ হওয়া বা নিজের মত চলা জীবনকে সহজ করে।
আপনি যেমন যদি তেমন যদি চলতে পারেন তাহলে আপনার জীবনের স্ট্রেস অনেকখানিই কমে আসবে। স্ট্রেস খারাপ না, তবে অপ্রয়োজনীয় স্ট্রেস কমানো তো ভালো।
কী ঘটবে যখন আপনি এরকম হবেন?
প্রথম লাভ হচ্ছে আপনাকে মুখোশ পড়ে ঘুরতে হবে না। ডিপ্লোমেটিক হওয়া লাগবে না বেশী। ডিপ্লোম্যাটিক হওয়া জীবনকে কঠিন করে।
দ্বিতীয় লাভ হচ্ছে- আপনার ব্রেইন ফ্রি থাকবে। এক বালতি পানির মতন মনোযোগ-রে তখন আরো ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।
তৃতীয় লাভ হচ্ছে ক্রিয়েটিভিটি বাড়বে অনেক। ক্রিয়েটিভ হওয়ার জন্য মুক্ত হতে হয়। নিজের মত চলতে না পারলি মুক্তি আসে না সহজে।
এরকম আরো অনেক লাভ আছে। তবে সমস্যাও আছে। বি ইওরসেল্ফ হওয়ার আগে নিজেকে যতটা সম্ভব ভুল-ত্রুটি মুক্ত করে নিতে হয়, নয়তো বিষয়টা ক্ষতিকর। এবিষয়ে আগের পর্বে (গেট রিয়েল বিফোর বি ইওরসেল্প) আলাপ আছে।
সহজ জীবন - ২৬
গেট রিয়েল বিফোর বি ইওরসেল্প।
সহজ জীবনের জন্য বি ইওরসেল্ফ হওয়াটা সবচাইতে ভালো উপায়, যদি আপনি মানুশ হিসেবে ভালো হয়ে থাকেন। আপনি মানুশ হিসেবে খারাপ হলে বি ইওরসেল্ফ ও অকপট হওয়া আপনার জন্য আরো খারাপ হবে। দেখবেন বন্ধু হারাইতেছেন, সবার সাথে গ্যাঞ্জাম হইতেছে।
একজনরে বলতে শুনলাম— সত্যবাদী হওয়ার পর তার গার্লফ্রেন্ড ব্রেক-আপ করে ফেলছে, বন্ধুরা সরে গেছে।
এর জন্য কি সত্য কথা দায়ী?
নাহ!
সত্য কথা বলা তো ভালো ব্যাপার, কিন্তু একমাত্র ব্যাপার না আরকি। আপনার ভেতরে অনেক সমস্যা থাকলে তখন হুট করে সত্যবাদী হয়ে ওঠা আপনার জন্য সমস্যাজনক হওয়া স্বাভাবিক। সত্যবাদী চোর সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল ও পপুলার হতে পারে, বাস্তব জীবনে হয় না। তাই আগে বাস্তবতা উপলদ্ধি করেন, নিজেরে ঠিক করেন এবং সেই সাথে একটু একটু করে বি ইওরসেল্ফ হন। আত্মউন্নয়ন তো একটা চলমান প্রক্রিয়া।

একটা 74km (45 mile) গতির ঝড়রে সুপার সাইক্লোন/সিডরের চাইতে ভয়ংকর ঝড় বলে প্যানিক সৃষ্টি করা লোকজনের হয়তো মন খারাপ হয়ে যাবে এই নিউজ দেখে।
পাবলিক প্যানিক সৃষ্টি করতে পছন্দ করে। ব্যাড নিউজ স্পেড করা অনেকের কাছেই একটা বিনোদন। খেয়াল করলে দেখবেন— কোথায় কে মারা গেল, কার সর্বনাশ হয়ে গেল, এইসব নিউজ জনে জনে বলে বেড়াতে ভালোবাসে অনেকে। বিশেষ করে কাজের বুয়াদের খুব প্রিয় টপিক এগুলো। হিউম্যান সাইকোলজি নিয়ে হালকা স্টাডি করলেই এর ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।
একাডেমিক স্টাডি বাদ দিলেও এই ব্যাপারটা নিয়া দেশী বিদেশী বহু লেখকের গল্প-উপন্যাসে আলাপ পাবেন। আমাদের হুমায়ূন আহমেদের একটা গল্পে এরকম কাহিনী ছিলো যে— একটা মেয়ে সুইসাইড এটেম্প নেয়ার পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। মেয়েটা মারা যায়নি দেখে আত্মীয়-স্বজনদের মন খারাপ হয়ে গেছে… এরকম একটা বর্ণনা।
অনেক ঐতিহাসিক বিষয়েও এর বহু নজীর দেখতে পাবেন। এই যেমন বারোমুডা ট্রায়াঙ্গল। এখনো বহু লোক বিশ্বাস করে বারোমুডা ট্রায়াঙ্গল সত্যিকার জিনিষ। এটা নিয়া আমার একটা লেখা আছে, লিংক কমেন্টে।
যাহোক, এই পাবলিক সাইকোলজি সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরী। কোন বিষয় বিশ্লেষন করা, ইতিহাস স্টাডি থেকে শুরু করে ব্যাক্তিগত জীবনে স্ট্রেস কমানোতেও এই সচেতনতা কাজে লাগে।
আপাতত ঝড় নিয়া আর ভয় নাই। এটা এমনিতেই বড় কিছু ছিলো না।
সহজ জীবন - ২৫
পাবলিক আপনারে নিয়া খুব ভাবতেছে মনে করা ভুল। অধিকাংশ লোকই আপনার দোষ ধরতে চায় ও সমালোচনা করে কারণ এটা ওদের বিনোদন। আপনি না থাকলে অন্য কারো দোষ ধরবে, অন্য কারো সমালোচনা করবে। আপনি এখানে সাবজেক্টও না তাদের কাছে। ফলে, এদেরকে মুগ্ধ করার চেষ্টা করা সময়ের অপচয় মাত্র।
এদের থেকে প্যারা নেয়াও সময় নষ্ট। আজকে আপনি মারা গেলে কালকে এরা কেউ আপনার কথা মনে রাখবে না। প্রিন্সেস ডায়না যখন মারা গেলেন, পৃথিবীর কয়েক বিলিয়ন লোক শোক প্রকাশ করছে। এরপর কয়জন তারে মনে রাখছে? এভরিওয়ান ইজ রিপ্লেসেবল।
তাই এত প্যারা নেয়ার কিছু নাই। এবিষয়ে রুমির উক্তিটা মাথায় রাখতে পারেন―
“Half of life is lost in charming others.
The other half is lost in going through anxieties caused by others.
Leave this play. You have played enough.”
― Rumi