অনলাইনে প্রকাশিত চিন্তা-ভাবনা সমগ্র

মিডিয়া তো ইলন মাস্করে ধুয়ে দিছিলো ৮ ডলারের টুইটার ব্লু ভেরিফিকেশন টিকের জন্য। অথচ, ইলন টুইটার কেনার অনেক আগে থেকেই টুইটার ব্লু পেইড ছিলো। এখন ফেসবুক নিয়া দেখেন, স্পিকটি নট! যাহোক, ওয়েলকাম টু পেইড সোশ্যাল মিডিয়া এরা।
বোরিং লাগলে আঁকিবুকি হেল্প করে মাঝে মাঝে। এছাড়াও হোয়াইট বোর্ডের তো আরো অনেক কাজ আছে। এইসব কারণেই একটা হোয়াইট বোর্ড ব্যবহার করি। এটা একটা ওপেনসোর্স টুল। ব্যবহার করার জন্য এখানে ক্লিক করুন। শুধুমাত্র কম্পিউটারে ব্যবহারযোগ্য।

Ai (ChatGPT) রে তাতিয়ানা এগুলো জিজ্ঞেস করছে বসে বসে। ক্লাশ থ্রিতে থাকতেও ওর জিজ্ঞাসা, আমাদের বইয়ে বিজ্ঞানের কিছু নেই কেন? আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স এখন ওর সেই জানার অভাব পুরণ করতেছে।
সামনের দিনগুলোতে Ai পড়ালেখার ক্ষেত্রে যে যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসতেছে, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষকরা কি তার জন্য প্রস্তুত? সেরকম মনে হচ্ছে না এখন পর্যন্ত। আর কিছুদিনের ভেতরেই ক্লাশরুমে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের এমন সব প্রশ্ন ও আলোচনার সন্মুখীন হতে যাচ্ছেন যা সম্পর্কে তারা হয়তো এখনো ভাবছেন না।
বাচ্চারা কিন্তু Ai ব্যবহার করে খুব দ্রুত অনেককিছু শিখে যাবে এখন। এরপর ওরা ক্লাশরুমে বোর হবে এবং শিক্ষকরা কিছুই জানে না ভাবতে শুরু করবে। সুতরাং নিজেদের আপডেট করতে শুরু করেন আপনারা। আমাদের পাঠ্যবই এই জেনারেশন এক্সরে কিন্তু স্যাটিসফাই করতে পারবে না।
Happiness is...
স্টিকি নোট, টু-ডু লিস্ট, ক্যালকুলেটর, এনালগ ক্লক ও ক্যালেন্ডার। এই কয়েকটা জিনিষ আমি প্রতিদিন ব্যবহার করি। তাই আমার এক স্টুডেন্ট ও Thinkr Cloud এর ইন্টার্ন Sazid Mostafiz আমার জন্য নোট, টুডু ও ক্যালকুলেটরের ওয়েব ভার্সন বানিয়ে পাঠিয়েছে। এই টুলগুলোরে একটু পলিশ করে একটা পেজে জুড়ে দিলাম।

সাথে ক্যালেন্ডার ও এনালগ ক্লকও যোগ করলাম। এই টুলগুলোর একটা বিশেষত্ব হচ্ছে ডাটা ক্লায়েন্ট সাইডে সংরক্ষিত হয়, আমাদের সার্ভারে পাঠায় না। ফলে, কোন প্রাইভেসী ইস্যু নাই।
টাউন-সেন্টার থেকে এই টুলগুলো সকলের ব্যবহারের উন্মুক্ত করে দেব রাতে। আগ্রহীরা Town-Center.net পেজে চোখ রাখতে পারেন, ওখানে আপডেট দেয়া হবে।

ইন্টেলেক্ট দিয়া ইমোশন ব্যাখ্যা করা যায় না, ইনটুইশন লাগে। এজন্যই দেখবেন ইমোশনরে ইন্টেলেক্ট দিয়া হ্যান্ডেল করা যায় না। জেনেশুনেই লোকে বিষ করে তাই পান।
স্টিভ জবস এশিয়া ভ্রমণ করে বলেছিলেন— এশিয়ার লোকজন ইন্টেলেক্টের চাইতে ইনটুইশন দিয়া সিদ্ধান্ত বেশী নেয়। ইনটুইশন ইন্টেলেক্ট থেকে পাওয়ারফুল জিনিষ। এজন্য দেখবেন আমাদের এই অঞ্চলে লোকের ইমোশন বেশী এবং এখানকার মুভি সাহিত্য সব আলাদা। পশ্চিমাদের ইনটুইশন দুর্বল। তাই ওদের লাভ স্টোরিগুলোও দেখবেন আমাদের টাচ করতে পারে না ওভাবে (মিডিয়া জম্বিদের বাদে, অরা পানি খেয়েও মাতাল হয়ে যাবে যদি মিডিয়া ঐটারে শরাব বইলা প্রচার করে)। একই কারণে ইউরোপিয়ান দর্শন লইয়া সাহিত্য করা লেখকরা এখানে পাত্তা পায় না।
ইমোশনরে ইন্টেলেক্ট দিয়া বুঝতে গেলে যা হয়, ভ্যালেন্টাইনস ডে হইতেসে তার একটা উৎকৃষ্ট উদাহরণ। ভালোবাসারে এরা বানিজ্যিকরণ করে ফেলছে। ভালোবাসা বস্তুবাদী জিনিষ না। ভালোবাসা বুঝার ক্ষমতা বস্তুবাদীদের নাই, কখনো হবেও না।

মাসখানেক আগে দুইজনরে দায়িত্ব দিয়েছিলাম টাউন-সেন্টারের জন্য যারা এপ্লিকেশন করেছে তাদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করতে। প্রায় শ'খানেক লোকের সাথে কথা বলার পর দুইজন টায়ার্ড হয়ে বলে- ভাইয়া, টাউন-সেন্টার রিলিজ না হওয়া পর্যন্ত কথা বলা কঠিন। অনেক এক্সপ্লেইন করতে হয়। আবার বুঝানোও কঠিন। তাই রিলিজের পর যোগাযোগ শুরু করার পরিকল্পনা নিয়ে আমরা যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিলাম।
কিন্তু এর মাঝে আবার টাউন-সেন্টারের নেটওয়ার্কিং পদ্ধতি পরিবর্তন করে ফেলি। প্রথমে ভেবেছিলাম একটা একটা করে জেলায় যাবো আর সেখানে টাউন-সেন্টার ওপেন করবো। কিন্তু পরে দেখলাম এভাবে আসলে প্রায় দেড় বছর লেগে যাবে। তারচাইতে আগে লোকজন সেট করে টাউন-সেন্টার ওপেন করে পরে ভিজিট করা ভালো। এতে এবছরের ভেতরেই আমরা ৬৪ জেলায় শুরু করে দিতে পারবো।
এরপর দু'টো জেলার টীম তৈরি হওয়ার পর দেখা গেল ওদের রেফারেন্সেই অন্য জেলাগুলোতে লোকজন পেয়ে যাচ্ছি। ফলে যারা এপ্লিকেশন করেছিলেন, তাদের সাথে আর যোগাযোগ করা হয়নি। কিন্তু, যারা কষ্ট করে এপ্লিকেশন করেছেন তাদের সাথে যদি একবারো যোগাযোগ করা না হয় তাহলে তাদেরকে অসম্মান করা হয় ভেবে আজকে আমি নিজে কল করা শুরু করেছি। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত ৪৪ জনের সাথে কথা বললাম। অভিজ্ঞতা ইন্টারেস্টিং...!
আচ্ছা যে জন্য এই গরু রচনা। আপনারা যারা এপ্লিকেশন করেছিলেন তাদের ভেতরে যাদের চোখে এই লেখাটা পড়বে তারা যদি কষ্ট করে ইনবক্সে একটু টোকা দিতেন, তাহলে ফোন করে আপনাদের মূল্যবান সময় নিতে হতো না। এই ফেব্রুয়ারি থেকেই আমরা ডেপ্লয় শুরু করছি।
প্রথম খন্ড পড়েছিলাম। দুই খন্ড একত্রে কিনলাম এবার। এত ব্যস্ততার ভেতরেও প্রতিদিন এক ঘন্টা বরাদ্দ করলাম। তবে শুরু করার পর কী হবে বলতে পারছি না।
চমৎকার বাঁধাই, মলাট ও ছাপার জন্য গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স রে প্রথমেই ধন্যবাদ। আর Kai Kaus, আপনার ব্যাপারে বলার কিছু নেই। বাংলার ইতিহাস পালন করুক সেই দায়িত্ব।
মাইক্রোসফট আজকে Bing-এ ChatGPT-র বেটার ভার্সন যুক্ত করে রিলিজ দিয়েছে। হুররররে!
আমার ব্রাউজারের একটা ট্যাবে সবসময় ChatGPT ওপেন থাকে এবং সারাদিনই এটা ব্যবহার করা হয় বলতে গেলে। বেশী ব্যবহার করলে এরা ঘন্টা খানেকের জন্য আর ব্যবহার করতে দিতো না, বলতো- আপনি গত এক ঘন্টায় খুব বেশী ব্যবহার করে ফেলছেন। গত দুইদিন ধরে একবারেই ঢুকতে দিচ্ছে না। এবং পাশে পেইড সাবসক্রাইবারদের জন্য লগইন অপশন দেখাচ্ছে। ChatGPT আমার এতই কাজে লাগে যে বছরে ২৪০ ডলার দিয়ে আমি এটা সাবসক্রাইব করার কথা ভাবছি।

"If something is free, ‘you’ are the product" বলে বেড়ানো লোকগুলো কী ভাবছে জানা গেলে ভালো হতো। আপনাদের এইসব কনস্পিরেসি আর ফালতু একটিভিজমের জন্য ফেসবুকের মত ফ্রি প্লাটফর্মগুলোও একদিন বন্ধ হয়ে যাবে এবং কোন কিছু্ই আমরা আর ফ্রি পাবো না। সেইদিনের জন্য রেডি থাইকেন আপনারা।