চিন্তা ভাবনা

অনলাইনে প্রকাশিত চিন্তা-ভাবনা সমগ্র

তাতিয়ানার আজকে ফাইনাল পরিক্ষা শেষ হয়েছে। আগামী বছর থেকে সে ক্লাশ ওয়ানের ছাত্রী হবে। আমি ঠিক করেছি তাতিয়ানাকে এখন থেকেই স্বনির্ভরতা ও বাস্তব জ্ঞান অর্জনের শিক্ষা দেব। বাসার ভেতরে ওকে একটা স্মল বিজনেস খুলে দেব। সেখানে আমি এক হাজার + ফারাহ এক হাজার = দুই হাজার টাকা ইনভেস্ট হবে। তাতিয়ানা ওয়ার্কিং পার্টনার হিসেবে কাজ করবে। তিনজনের ৩০% করে শেয়ার, কোম্পানীর শেয়ার ১০%।

দুই হাজার টাকা ক্যাপিটাল দিয়ে তাতিয়ানা একটা বক্স, চা, কফি, শ্যাম্পু মিনি প্যাক ও এটা সেটা কিনবে, যেগুলো আমাদের প্রায়ই কিনতে হয়। বাইরে থেকে এসব জিনিষ আমরা আর না কিনে ২০% বেশী প্রাইসে ওর কাছ থেকে কিনবো। যতদিন পর্যন্ত % হিসাব ও করতে পারবে না, ততদিন আমরা প্রাইসট্যাগ লিখে দেব। কিন্তু, কোন জিনিষ কত টাকায় কিনলো এবং কতটাকায় বিক্রি করলো, এই হিসাব এখন থেকেই ওর নিজের করতে হবে। যোগ-বিয়োগ করে বের করবে, কত টাকা প্রফিট হলো। এতে যোগ-বিয়োগের বাস্তব প্রয়োগ সম্পর্কে ওর ধারণা পরিষ্কার হবে। তারপর প্রতি মাসের প্রফিটকে তিন ভাগ করে তিন পার্টনারের মাঝে বন্টন করবে। ভাগ করার ব্যপারটা কিভাবে কাজে আসে, এটা ওর কাছে পরিষ্কার হবে তাতে।

প্রতি মাসে ওর নিজের ভাগের টাকাগুলো জমিয়ে রাখবে অথবা রি-ইনভেস্ট করবে। টাকার পরিমান যথেষ্ঠ হলে একটা ব্লেন্ডার ও আনুসাঙ্গিক জিনিষপত্র কিনে জ্যুস কর্ণার খুলতে বলবো। এই জ্যুস কর্ণার যেহেতু পুরোপুরি ওর নিজের প্রফিটের টাকায় গড়া, তাই এর পুরো মালিকানা ওর নিজের হবে। ফলে, জ্যুস কর্নার থেকে যা যা বিক্রি করবে তার পুরো প্রফিট ওর নিজের হবে। এতে বিজনেস ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে ওর ধারণা তৈরি হবে। সেই সাথে বিভিন্ন ধরনের জ্যুস, লাচ্ছি, স্যান্ডউইচ বানানো শিখবে। এই ব্যবসা থেকে টাকা জমাতে থাকবে আরো বড় কোন বিজনেস করার জন্য।

নিজের ছোট খাবারের দোকান চালানোর জন্য সেলফ সোর্সিং শেখাবো। বারান্দায় দুই/তিনটা টবে আলু গাছ লাগিয়ে সেই গাছের আলু ভেজে বিক্রি করে দেখবে, কেমন প্রফিট হয়। বাজার থেকে আলু কেনার খরচ বেঁচে যাওয়াতে কিভাবে প্রফিট বেড়ে গেল, সেটা ও নিজেই বুঝতে পারবে। এতে রিটেইলের পাশাপাশি প্রোডাকশন ব্যপারটা বুঝতে পারবে, সেই সাথে আলু চাষ করতে গিয়ে কৃষি বিজ্ঞানের হাতে-খড়ি হবে।

আরেকটু বড় হওয়ার পর তার এই আলু ক্ষেতের কষ্টিং ক্যালকুলেট করতে বলবো। আমাদের বাসার প্রতি স্কয়ার ফিটের ভাড়া + আলুর বীজ + সার (যদি লাগে) + ডেইলি বা উইকলি লেবার ক্যালকুলেট করে ও প্রোডাকশন কষ্ট বের করবে। বাজারে আলুর কেজি এবং বারান্দার ছোট আলুক্ষেতে উৎপাদিত আলুর কেজি তুলনা করে ও বুঝতে পারবে এভাবে আলু চাষ করাটা লাভজনক কিনা। ফিজিবিলিটি স্টাডির হাতে-খড়ি হবে তাতে।

আরেকটু বড় হলে ওকে ওয়েব ডিজাইন এবং প্রোগ্রামিং শেখাবো। ও নিজের শেখা জ্ঞান ব্যবহার করে নিজের ই-কমার্স সাইট তৈরি করবে। সেই সাইট থেকে শুধুমাত্র আমরাই না, আমাদের ফ্যামিলির সবাই এবং ওর বন্ধু-বান্ধবরা কিনতে পারবে। বিজনেস স্কেল বাড়বে সাথে টেকনোলজি কিভাবে বিজনেসে হেল্প করছে, বুঝতে পারবে। তখন কফি, চকলেট, জ্যুস, স্যান্ডুইচের পাশাপাশি জামা-কাপড়, জুতাও এবং আরো অনেক কিছু বিক্রি করতে পারবে। এগুলোর মার্কেটিং করতে হবে কিভাবে শেখাবো। তাতে মার্কেটিং এর হাতে-খড়ি হবে। আবার— ভেন্ডর, কাস্টমার, ইনভেন্টরি, রেভিনিউ, প্রফিট, লস ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারবে।

যেহেতু ই-কমার্সের প্রোডাক্ট ডেলিভারীর ব্যপার আছে, তাই থার্ড পার্টি কোন সার্ভিস ব্যবহার করা শেখাবো। রিয়েল লাইফ বিজনেস ও ইন্টিগ্রেশনের ব্যপারে ধারণা তৈরি হবে তাতে। ব্যবসা আরেকটু বড় হলে বেতন দিয়ে দুই/চারজন লোক নেয়ার প্রসেসে কিভাবে আগাতে হয়, দেখিয়ে দেব। এটা ওর বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ও টীম ওয়ার্কের ধারণা পরিষ্কার করবে।

বছরের পর বছর ধরে এরকম টুকিটাকি অনেক ব্যপারের সাথে পরিচিত হতে থাকবে যা পড়ালেখার বিষয়গুলোর উপযোগীতা ওর কাছে পরিষ্কার করতে সাহায্য করবে। ক্লাশ টেন পার হওয়ার আগেই ওর ব্যবসা এমন একটা লেভেলে চলে যাবে যে— বাসা থেকে ওকে আর হাত খরচ নিতে হবে না। স্কুল-কলেজে যা পড়াচ্ছে, এগুলো ওর কাছে মিনিংফুল হবে। পড়ালেখা করে, অনলাইন রিসার্চ করে নিজের ব্যবসা নিজেই বড় করতে থাকবে এবং নিজেকে সমৃদ্ধ করতে থাকবে।

কমিউনিকেশন স্কিল ১০১

যতক্ষন পর্যন্ত আপনি ভালোভাবে কমিউনিকেট করতে না শিখবেন, ততক্ষন পর্যন্ত কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে বেস্ট টিপস হচ্ছে নিজে থেকে কমিউনিকেট না করা।

দ্বিতীয় টিপস হচ্ছে, অন্য সবকিছুর আগে এই স্কিল বাড়ানো। কমিউনিকেশন স্কিল ভালো না হলে অন্য সব স্কিল কাজে লাগিয়ে উপরে উঠা কঠিন।

তৃতীয় ব্যপার হচ্ছে⁠— যার কমিউনিকেশন স্কিল ভালো, তিনি আপনার কমিউনিকেশন স্কিলের সমস্যাটা কখনো দেখিয়ে দিবে না (আনলেস ক্লোজ কেউ হয়)। কারণ, এই ভুল ধরিয়ে দেয়াও কমিউনিকেশন স্কিল খারাপ থাকার লক্ষণ। ফলে, কমিউনিকেশন স্কিল ব্যপারটা আপনি অভিজ্ঞতা থেকে খুব কমই শিখতে পারবেন। ফ্যামিলি এডুকেশন আর প্রাইমারী/সেকেন্ডারী এডুকেশনের পর থেকে এটা সবসময় নিজে থেকে শেখার চেষ্টা করা লাগে।

চতুর্থ ব্যপার হচ্ছে— আপনি কাউকে যতই ক্লোজ ভেবে তার ভুল ধরিয়ে দেন না কেন, সে আর আপনার ভালো বন্ধু থাকবে না। কোনদিন সে নিজের সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে পারলেও আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ হবে না।

ব্যবসার কাছে রাজনীতি আর দেশের কোন অস্তিত্ব নাই। ব্যবসার জন্যই রাজনীতি, রাজনীতির জন্য ব্যবসা না।

থিংকিং আউট লাউড

ক) ফেসবুকে সারাদিন বসে থাকা বাংলাদেশী লোকদের দুইটা গ্রুপ দেখা যায়—

১) বয়স্ক, যাদের ক্যারিয়ার অলরেডি স্যাটেলড। অথবা, কবি-সাহিত্যিক বা দার্শনিক টাইপ লোকজন।
২) অল্প-বয়স্ক, যাদের ক্যারিয়ার নিয়া তেমন চিন্তা-ভাবনা নাই।

বয়স কম এবং ক্যারিয়ার ফোকাসড লোকের ভেতরে যারাই এখানে আসছে, তাদের একটা বড় অংশ আসে ভার্সিটির ফেসবুক গ্রুপের একটিভিটস দেখতে। বাকীরা হতাশা কাটাতে কিংবা বিনোদন নিতে আসে।

বয়স কম এবং ক্যারিয়ার ফোকাসড, এধরনের পাবলিকরা ফেসবুকে সারাদিন বসে থাকে না (বা একটু পর পর ফেসবুক চেক করে না)।

খ) একজন মানুষ বাস্তব জীবনে যত বেশী সফল ও পরিচিত, ফেসবুকে সে ততই অসফল (লাইক/কমেন্টের বিচারে) ও অপরিচিত। তবে, কবি-সাহিত্যিক-থিংকার-দার্শনিক ও সেলিব্রেটিদের ব্যপারে এটা উলটা।

গ) ফেসবুকের বেশীরভাগ ভালো লেখকদের কেউ লাইক/কমেন্ট দেয় না। এতে তারা উৎসাহ হারিয়ে লেখা অফ করে দেয় এখানে। ফেসবুকের অডিয়েন্স তাদের উপযোগী না। লেখক-চিন্তকদের জন্য আলাদা প্লাটফর্ম থাকা জরুরী।

ঘ) ফেসবুকে হতাশ পাবলিক বেশী। একারণে এখানে মোটিভেশনাল স্পিচের মার্কেট ভালো। সুডো বিপ্লবও এখানে ভালো জমে।

ঙ) সিরিয়াস নেটওয়ার্কিং এর জন্য ফেসবুক ভুল জায়গা।

চ) রাজনৈতিক নেতাদের জন্য ফেসবুক বিপদজনক জায়গা। একটিভিস্ট ও ছাত্রনেতাদের ভালো জায়গা।

সিমুলেশন গেম আমার খুব প্রিয়। তো, একটা লাইফ সিমুলেটর খেলতে শুরু করলাম। গেমটা শুরু করে প্রথম কিছুক্ষন কিছুই বুঝি না... ঐদিকে সময় চলে যাচ্ছে। ১৬ বছর বয়স থেকে শুরু, ২১ হলে বাসা থেকে বের করে দিবে.. ঐদিকে আমি কিছুই করি না। এক বছর চলে গেছে, হঠাৎ আবিষ্কার করলাম পজ বাটন আছে, মানে সময় আটকে দেয়ার ব্যবস্থা আছে (ইশ... রিয়েল লাইফে যদি থাকতো)। তো, পজ করে কিছুক্ষন ঘাঁটাঘাটি করে মোটামুটি বুঝলাম। স্কুল-কলেজে পড়ে ডিগ্রী নিতে হবে, পাশাপাশি পার্ট টাইম জব করে কিছু উপার্জন করতে হবে।

তো, ভর্তি হলাম একটা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোর্সে। পাশাপাশি থালা-বাসন মাজি, তাতে মাসে ৩৫০ ডলার উপার্জন হয়। যেহেতু বাপের হোটেলে খাই-দাই, তাই টাকা জমতে শুরু করলো। দুই বছর ধরে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোর্স করার পর মনে হলো, ধুর..... ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করতে গেলাম কেন? সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কোর্স করি। এই দিকে বয়স ১৯ পার হয়ে গেছে। ভর্তি হলাম সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কোর্সে। এর মাঝে এক বালিকার সাথে রিলেশন হলো। জমানো টাকা থেকে তারে গিফট টিফট করি। টেকা-পয়সা বেশী না থাকায় বেশী গিফট করতে পারি না। থালা-বাসন মাইজা আর কতই বা পাই! বেটি গেল ভাইগা (স্যাঁকা খাওয়ার ইমো হপে)।

ভাবলাম, ধুর... আগে ক্যারিয়ার ঠিক করি। ঐদিকে সফটওয়্যার ডেভেলপার কোর্স তো এখনো শেষ হয় নাই কিন্তু এক বছর থালা-বাসন মেজে অভিজ্ঞতা হইছে... একটা প্রমোশন নিলাম। এখন পাই ৪৫০ ডলার প্রতি মাসে। এর মাঝে কলেজ ডিগ্রী কমপ্লিট হওয়ার দুই মাস আগে বাসা থিকা দিলো বাইর কইরা :( .... এবার দেখি ম্যালা খরচ। এক রুমের ভাড়া মাসে ২৫০ ডলার, খাবার কিনতে হয় আরো ১৫০ ডলারের। মেডিক্যাল ইন্সুরেন্সের জন্য আরো ১০০ ডলার। সব মিলায়া ৫০০ ডলার প্রতি মাসে খরচ। জমানো টাকা ভাঙিয়ে খাই.. এর মাঝে আরেক বেটি আসছে রিলেশন করতে। আমার খাওয়ার টেকা নাই, রিলেশনশীপ কেমনে হবে? কইলাম, ভাগ!

তারপর দুই মাস অতি কষ্টে পার করলাম। সফটওয়্যার ডেভেলপার কোর্স শেষ। ট্রেইনি সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে জয়েন করলাম এক জায়গায়.. মাসে পাই ১৬০০ ডলার। ১৬০০ ডলার অনেক টেকা মনে হইলো। কিন্তু ভার্সিটিতে ভর্তি হতে গিয়া দেখি ৭৫০ ডলার প্রতি মাসে খরচ। প্রমোশন নিতে হলে ডিগ্রী লাগবে, তাই ভর্তি হয়া গেলাম। এইদিকে সময় তো চইলা যাইতছে। প্রথমেই দুই বছর ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোর্সে খরচ করে ফেলার জন্য নিজেরে গাইলাইতেছি আর মাসে ২০০ ডলার কইরা জমাইতেছি। কারণ, মাস্টার্স ডিগ্রীর জন্য মাসে আবার ১০০০ ডলার খরচ! বয়স বেড়ে যাইতেছে ঐদিকে টেকা-পয়সাও নাই... তাই বালিকারাও আসে না গার্লফ্রেন্ড হইতে। হিসাব করে দেখলাম, মাস্টার্স কমপ্লিট করে জবে প্রমোশন নিতে নিতে বয়স হয়ে যাবে ২৯। হইলোও তাই। ততক্ষনে মাস্টার্স কমপ্লিট। জুনিয়র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার থেকে সিনিয়র পর্যন্ত গেলাম। মাসে পাই ৩১০০ ডলার।

ভাবলাম এইবার রিলেশনশীপ করা যাক। করলাম। বালিকার পেছনে অনেক খরচ টরচ করে প্রপোজ করলাম। রাজী হইলো। সেও সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার.. ৩১০০ পায় মাসে। সেখান থেকে আমার একাউন্টে যোগ হয় ৬০০ ডলার। কিন্তু বউয়ের জন্য ফুড আর হেল্থ ইন্সুরেন্সের খরচও বাড়ছে। তারপরেও, ভালোই চলতেছিলো। ঝামেলা লাগলো বাচ্চা হওয়ার পর থিকা। উন্নত বিশ্বে বাচ্চা পুষতে যে মাসে ম্যালা টাকা লাগে এইটা ভুলে গেছিলাম। আবার গরীব হয়ে গেলাম। ঐদিকে পাঁচবছর সিনিয়র হিসেবে কাজ না করলে প্রমোশনও নাই। এইদিকে বউয়ের সাথে রিলেশনশীপ ঠিক রাখতে গিফট করতে গিয়া জমানো টাকা সব খরচ হয়ে যায়...‍! কয়েক বছরের ভেতরে বাচ্চা বড় হয়ে স্কুলে যাওয়া শুরু করবে, তখন খরচ আরো বাড়বে। কী-যে হবে.. ভাবতে ভাবতে ঘুমাসে না। হিসাব করে দেখলাম, প্রথম থেকেই যদি সময় হিসাব করে চলতাম, তাহলে এই অবস্থায় পড়তে হতো না। তারপর যা হওয়ার তাই হইলো.. বাচ্চা বড় হইলো কিন্তু আমার প্রমোশন তো হয় নাই। এর মাঝে বাচ্চার জন্য আলাদা রুমওয়ালা বাসা নিতে গিয়ে পুরাই ঋণগ্রস্থ হয়ে গেলাম। আর এইসব চিন্তায় স্বাস্থ্য খারাপ হইতে শুরু করলো। স্বাস্থ্য খারাপ হইতে হইতে শ্যাষে মইরাই গেলাম :(

মরাল অব দ্য স্টোরিঃ আপনে যদি পরিনত বয়সের কেউ হয়ে থাকেন, তাইলে এইটার মরাল দিয়া আপনার কোন উপকার হইবো না। খামোখাই সময় নষ্ট করলেন।

আর যদি স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার কপালে দুঃখ আছে। পড়ালেখা বাদ দিয়া এত বড় পোস্ট পড়ে সময় নষ্ট করলে কপালে দুঃখ ছাড়া আর কী আছে? সময় গেলে সাধন হপে না!

এডুকেশন সিস্টেম কেমন হওয়া উচিত? (প্রথম পর্ব)

ক্লাশ-১ ২ ৩ ... ১০ ... ভার্সিটি ফার্স্ট ইয়ার, সেকেন্ড ইয়ার, সেমিস্টার ১ ২ ৩... এসব কম কার্যকরী সিস্টেম। বিশেষ করে, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে এসব আর চলবে না। নতুন একাডেমিক সিস্টেম দাঁড় করাতে হবে আমাদের। আমি একটা সিস্টেম নিয়ে দীর্ঘদিন ভাবছি। এর আগে বেশ কয়েকবার ফেসবুকে আর ব্লগে শেয়ার করেছিলাম, আমার পুরানো পাঠকরা হয়তো মনে করতে পারবেন। আবার বলি—

বর্তমান একাডেমিক সিস্টেমে একটা ক্লাশে সব সাবজেক্ট থাকে। সেই সাবজেক্ট ভালোভাবে বুঝার আগেই অনেক শিক্ষার্থী পরের ক্লাশে উঠে যায়। ফলে, তারা পরের ক্লাশের আরো কঠিন পড়া বুঝতে পারে না, পড়ালেখায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। এছাড়াও, প্রচলিত পরিক্ষা পদ্ধতি অনেক দূর্বল। এতে যথাযথ মূল্যায়ণ সম্ভব না। আরেকটা বড় সমস্যা হচ্ছে- শিক্ষার্থী কোন দিকে পটেনশিয়াল, সেটা সহজে ধরা যায় না। ফলে, সময় নষ্ট হয়। এরকম অনেক সমস্যা আছে। তাই, এই শ্রেণী সিস্টেম এবং এক্সাম সিস্টেম তুলে দিতে হবে। এবং প্রতিটা বিষয়ের উপরে আলাদা করে লেভেল ডিজাইন করতে হবে। বিষয়টা এরকম হবে:

ক) বাংলা-১, বাংলা-২, বাংলা-৩ .... বাংলা-১০০
খ) ইংরেজী-১, ইংরেজী-২, ইংরেজী-৩ ... ইংরেজী-১০০
গ) জেনারেল ম্যাথ-১, জেনারেল ম্যাথ-২, জেনারেল ম্যাথ-৩ ... জেনারেল ম্যাথ-১০০
ঘ) হায়ার ম্যাথ-১, হায়ার ম্যাথ-২, হায়ার ম্যাথ-৩ .. হায়ার ম্যাথ-১০০
গ) পদার্থ বিজ্ঞান-১, পদার্থ বিজ্ঞান-২, পদার্থ বিজ্ঞান-৩ ... পদার্থ বিজ্ঞান-১০০
ঘ) রসায়ন-১, রসায়ন-২, রসায়ন-৩ ... রসায়ন-১০০
ঙ) জীববিজ্ঞান-১, জীববিজ্ঞান-২, জীববিজ্ঞান-৩ ... জীববিজ্ঞান-১০০
চ) একাউন্টিং-১, একাউন্টিং-২, একাউন্টিং-৩ ... একাউন্টিং-১০০
ছ) ভূগোল-১, ভূগোল-২, ভূগোল-৩ ... ভূগোল-১০০
জ) জ্যামিতি-১, জ্যামিতি-২, জ্যামিতি-৩ ... জ্যামিতি-১০০
ঝ) কমনসেন্স এন্ড এথিকস-১, কমনসেন্স এন্ড এথিকস-২, কমনসেন্স এন্ড এথিকস-৩ ... কমনসেন্স এন্ড এথিকস-১০০ (ইয়েস, এরকম একটা সাবজেক্ট খুব দরকার)

তো, সব সাবজেক্টরেই এরকম লেভেল ডিজাইন করা হবে। একটা বাচ্চা প্রথমে কমিউনিকেশন স্কিল গোত্রের সাবজেক্ট দিয়ে শুরু করবে। এই যেমন- বাংলা-১ ও ইংরেজী-১। দেখা গেল এক মাসের মাথায় বাচ্চাটা বাংলা-১ শেষ করে ফেলেছে, তখন তাকে বাংলা-২-তে প্রমোশন দেয়া হবে। ইংরেজী-১ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইংরেজী-২-তে সে যেতে পারবে না। প্রতিটা লেভেলের যে দায়িত্বে যে শিক্ষক থাকবেন, তিনি ঠিক করবেন বাচ্চাটা ঐ লেভেল শেষ করেছে কিনা। মিডটার্ম বা ফাইনাল টাইপ কোন এক্সাম না। শিক্ষক প্রতিটা বাচ্চাকে আলাদাভাবে মূল্যায়ণ করে প্রমোশন দিবেন। ম্যাথ-১ থেকে যে প্রমোশন পেল না সে ম্যাথ-২-তে যেতে পারলো না.. ফলে না বুঝে আগানোর যে সমস্যা, সেটা কেটে গেল।

এভাবে দেখা যাবে, একজন শিক্ষার্থী হয়তো জীববিজ্ঞানের লেভেল ১০ এ চলে গিয়েছে কিন্তু ম্যাথের লেভেল ৫ও পার হতে পারে নাই। সমস্যা নাই, সে জীবনবিজ্ঞানে আগাতে থাকুক।

পড়ালেখা নিয়ে তখন কেউ জিজ্ঞেস করবে না যে- তুমি কোন ক্লাশে পড়ো? বরং.. তোমার কী অবস্থা? উত্তর হতে পারে- 'আমি বাংলা-১৮, ইংরেজী-২২, জেনারেল ম্যাথ-৯, পদার্থ বিজ্ঞান-৩, রসায়ন-১৫ ও জীববিজ্ঞান-২৬ এ আছি.. বা এরকম। তাতে বুঝা যাবে, এই শিক্ষার্থী কোন দিকে শাইন করতে যাচ্ছে। ম্যাথে আগাতে পারছে না? রসায়ন আর জীববিজ্ঞান ভালো করছে? আচ্ছা.. সে মেডিক্যালের দিকে এগিয়ে যাক। ম্যাথ কোর্স টোটালি বাদ দিয়ে রসায়ন ও জীববিজ্ঞানে বেশী সময় দিক। ফলে, সময় বাঁচবে এবং শিক্ষার এফিশিয়েন্সি বাড়বে। দ্রুত একজন শিক্ষার্থী তার পছন্দের কিংবা তার জন্য সুবিধাজনক দিকে পড়ালেখা শেষ করে ফেলতে পারবে।

যেকোন বয়সের যেকেউ যেকোন সাবজেক্টের লেভেল-১ থেকে শুরু করতে পারবে। এই যেমন একজন হয়তো রসায়ন, জীববিজ্ঞানে ভালো করে মেডিক্যাল ট্রাকে চলে গিয়ে ভালো ডাক্তারও হয়ে গেল। তার হঠাৎ ইচ্ছে হলো ব্যবসা বুঝবে। তাহলে একাউন্টিং-১ লেভেলে ভর্তি হয়ে যাবে। ব্যবসা বুঝার জন্য যেসব সাবজেক্ট দরকার হয়, সেগুলোর লেভেল-১ থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে আগালো। কোন সমস্যা নাই! সকল লেভেল সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

এই শিক্ষা ব্যবস্থায় পড়ালেখার সাথে বাস্তব জীবনের যোগ থাকবে, যাতে শিক্ষার্থী বুঝতে পারে কেন সে একাউন্টিং পড়ছে.. এটা কী কাজে লাগবে, কিভাবে লাগবে.. ইত্যাদি। এই সংযোগ তৈরি করার পদ্ধতি নিয়ে পরবর্তীতে আলোচনা করবো।

সহজ জীবন - ১১

অন্যে আপনার ব্যাপারে কী ভাবে, সেটা তখনি ম্যাটার করে যখন অন্যের এই ভাবনাটা সঠিক বা সঠিকের কাছাকাছি হয়।

মনে করেন আপনার কোটি কোটি টাকা আছে। একজন ভাবলো আপনি ফকির। সে আপনারে ফকির ভাবতেছে দেখে আপনি তখন আর অফেন্ডেড হবেন না বরং মজা পাবেন। কিন্তু আপনি যদি আসলেই ফকির হয়ে থাকেন তখন আপনি রেগে যাবেন। কারণ, আপনার কোটি কোটি টাকা নাই কিন্তু নিজেরে কোটিপতি প্রমাণের জন্য নানা কাহিনী করতেছেন। ঐ লোক আপনারে ফকির বলায় আপনার এই এরেঞ্জমেন্ট হুমকির মুখে পড়ে যেতে পারে বলে আপনি ভাবতেছেন। আপনি বিপন্নবোধ করতেছেন। ফলে, আপনি এতে আপসেট হয়ে যাবেন।

একইভাবে আপনার জ্ঞানের অভাব থাকলে অন্যের বলা মূর্খ গালি শুনে রেগে যাবেন। আপনার সাহিত্য প্রতিভার অভাব থাকলে অন্যের সমালোচনায় মুষড়ে পড়বেন। আপনার বুদ্ধিশুদ্ধির অভাব থাকলে অন্যে বোকা বললে বা ভাবলে মন খারাপ করবেন। এরকম সকল ব্যাপারেই এটা খাটে।

পুনশ্চঃ আপনার কোন কিছুর অভাব থাকার পরেও যদি নিজেকে সেই বিষয়ে ধনী ভাবেন এবং অন্যরে পাত্তা না দেন, সেটা আবার ক্ষতিকর। আপনি কী, আপনার কী আছে এবং সেটার মূল্য কেমন, এই জ্ঞান থাকা জরুরী।

সামনে খুব ভয়াবহ দিন আসতেছে। এমনি অটোমেশনের কারণে ধীরে ধীরে অনেক পেশা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে তার ভেতরে পড়ালেখার মান কমে যাওয়াতে যথেষ্ঠ যোগ্য হওয়ার পথ কঠিন হয়ে যাচ্ছে এদেশে। ফলে কী হবে জানেন? দেখবেন প্রতিটা বড় বড় প্রতিষ্ঠানের বড় বড় পোস্টে সব বিদেশীরা কাজ করতেছে। আমেরিকায় যেটা হয়েছে... আমেরিকানরা পড়ালেখা বাদ দিয়ে ফূর্তিতে ব্যস্ত হয়ে গেল ঐদিকে তাদের সব ভালো ভালো জব বিদেশীরা দখল করে নিলো। ট্রাম্প নির্বাচনে জেতার সবচাইতে বড় কারণ ছিলো এটা। ট্রাম্প বলছিলো, বিদেশীদের সব তাড়ায়া দিয়া তোমাদের জব তোমাদেরকে ফেরৎ দেব। পারছে? পারে নাই। কারণ, যোগ্যদের তাড়িয়ে দিলে আমেরিকা চলবে না। বাংলাদেশে যেদিন সব জব বিদেশীদের হাতে চলে যাবে, সেদিন কেউ তাদের তাড়াতে পারবে না। প্রতিষ্ঠানগুলো টিকে থাকার জন্যই তাদের রাখতে বাধ্য হবে।

আচ্ছা, আমাকে শুধু একটা ব্যপার বলুন আপনারা। কোন প্রতিষ্ঠানের মাথা কি এতটাই খারাপ যে তারা দেশে যোগ্য লোক থাকতে বিদেশ থেকে তিন/চারগুন স্যালারি দিয়ে লোক আনবে? খুব ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখেন ব্যপারটা। আনতে বাধ্য হচ্ছে কারণ আমাদের এখানে ওসব পোস্টে নেয়ার মত লোক পাওয়া যায় না। কেন যায় না? কী করে আমাদর এত এত বেকার ও জবে থাকা পাবলিকেরা? সিরিয়াসলি... কী করে?

তাই ভাইয়েরা... সিরিয়াস হয়ে যান। প্রতিষ্ঠান নির্ভর হইয়েন না। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা গোল্লায় যাক.. আপনি নিজেরে ঠিক রাখেন। অনলাইন ভর্তি রিসোর্স। আপনি নিজেকে যোগ্য করতে চাইলেই হবে। শুধু চাইতে হবে!

বাগান তত্ত্ব - ৮

একটা নতুন ধারণা একটা বীজের মত। সেই বীজ থেকে চিন্তার গাছ তৈরি হয়। গাছটায় আপনি যত পানি (মনোযোগ) ঢালবেন, সে ততই ডালপালা মেলে বড় হতে থাকে। এই গাছে একসময় ফুল ও ফল হয়, সেই ফলে নতুন চিন্তার বীজ তৈরি হওয়ার সম্ভবনা থাকে। নির্ভর করতেছে আপনার বাগানে আরো কত ধরনের গাছ আছে তার উপরে। মনে করেন আপনার বাগানে দশ রকমের চিন্তার বীজ থেকে দশ রকমের গাছ হইছে। দশ রকমের গাছে দশ ধরনের ফুল ফুটল। দশ ধরনের ফুল একে অপরের সাথে পরাগয়ান ঘটাইলে যেকোন গাছে নতুন ধরনের কোন বীজ তৈরি হইতেও পারে। সেই বীজ থেকে আবার ধরেন নতুন একটা গাছ হইলো। এইভাবে আপনার চিন্তার বাগান গড়ে ওঠে।

আপনি কত ধরনের চিন্তার সাথে পরিচিত এবং সেগুলো থেকে কত গাছ হইলো এই সেইসব গাছে কতটুকু পানি ঢাললেন, তার উপরে আপনার বাগানের বৈচিত্রতা নির্ভর করতেছে। সব বীজের গাছই যে ফুল-ফল দেয়া পর্যন্ত সার্ভাইভ করতে পারবে, এমনও না। দেখা গেল কোন একটা গাছে আপনি পানি ঢালা বন্ধ করে দিলেন, সেটা মইরা গেল। কিংবা.. সে ফুল ও ফল দেয়ার মত পুষ্টি পাইলো না। তাহলে সেই চিন্তা থেকে হওয়া গাছের ফুল হলো না, অন্য গাছের ফুলে সেটার প্রভাবও পড়লো না।

আবার ধরেন, আপনার বাগানে একটা বিষাক্ত গাছ আছে। সেটাতে আপনি বেশী বেশী পানি ঢালতেছেন। সেইখানে বিষাক্ত বিষাক্ত সব ফুল ফুটতেছে। আপনার বাদবাকী সুন্দর গাছগুলোর ফুলের সাথে সেই বিষাক্ত গাছের ফুলের পরাগয়ান ঘটতে পারে। তা থেকে যে বীজ উৎপাদন হবে, সেখানে সেটা কিছুটা বিষাক্ত তো হবেই। ঐদিকে বিষাক্ত গাছটায় যেহেতু বেশী পানি ঢালতেছেন সেহেতু সেইটার বীজ বেশী ছড়াইতেছে। এইভাবে আপনার বাগান ধীরে ধীরে একটা বিষাক্ত গাছের বাগানে পরিনত হইতেছে। আপনি এইসব বিষাক্ত বীজ অন্যের সাথে শেয়ার করতেছেন। তাদের সুন্দর বাগানে আপনার বাগান থিকা একটা বিষাক্ত গাছ গিয়া পড়লো। কেউ কেউ হয়তো সেই বীজের গাছে পানি কম দিলো, তাতে সে বাঁইচা গেল আপনার বিষাক্ততা থিকা।

কিন্তু যাদের এই বিষ ভালো লাগবো, তারা সেই বীজের গাছে বেশী বেশী পানি দিয়া নিজের বাগানরে বিষাক্ত করে ফেললো। তার বাগান থিকা সেও বীজ অন্যরে দিতেছে। এইভাবে হাজার হাজার লাখ লাখ মানুষের বাগান বিষাক্ত হইলো। বিষাক্তদের পরিমান একদিন এমনভাবে বেড়ে গেল যে, সুন্দর চিন্তার বাগানের মালিক একেবারে হাতে গোনা হয়ে রইলো। এই হাতে গোনা কয়েকটা সুন্দর বাগান থেকেও এসময় অনেক বাগান হয় আবার। কারণ, বিষাক্তরা তো একসময় নিজের বিষে নিজেই মইরা যায়, বাকী বিষাক্তদেরও মাইরা ফেলে। তখন টিকে থাকে শুধুমাত্র কিছু সুন্দর বাগানের মালিকেরা। তবে, এইটা খুব দীর্ঘমেয়াদী ঘটনা। ততদিনে কতজন সাফার করে ফেললো।

সহজ জীবন - ১০

ক্রিয়েটিভ আর ইনোভেটিভ হওয়ার জন্য-
- নিজের কাজকে ভালোবাসতে হবে।
- প্রতিযোগীতার মনোভাব থেকে মুক্ত থাকতে হবে।
- হীনমন্যতা মুক্ত হতে হবে (তাহলে অহংকারও কাজ করবে না)।
- হিংসা-বিদ্বেষ আপনার ভেতরে যত কম কাজ করবে, তত ভালো।
- কে আপনাকে নিয়ে কী ভাবছে, এই চিন্তা থেকে মুক্ত হতে হবে।
- অন্যের কোন কাজ কিংবা আচরণ আপনাকে যত কম প্রভাবিত করবে, তত ভালো।

এসব অর্জনের জন্য সবার আগে আপনাকে আত্মনির্ভরশীল হতে হবে। আত্মনির্ভরশীল আপনি দুইভাবে হতে পারেন।
১) প্রচুর উপার্জন করে,
২) চাহিদা কমিয়ে দিয়ে।
যেটা আপনার জন্য সুবিধাজনক হয়।

তবে, এধরনের মানুষকে লোকে অসামাজিক বলে। কিন্তু মজার ব্যপার হলো, এধরনের লোকদের সফলতা অর্জনের হার বেশী এবং সফল হওয়ার পর 'অসামাজিক' খেতাব দেয়া সমাজই আবার এদের পেছনে পেছনে ছোটে। তাই, সমাজরে এত পাত্তা দেয়ার কিছু নাই। নিজের কাজ করে যান।

Trivuz Alam

Trivuz Alam

কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।

সাম্প্রতিক লেখা

যেসব টপিক নিয়ে লেখালেখি করছি