চিন্তা ভাবনা

অনলাইনে প্রকাশিত চিন্তা-ভাবনা সমগ্র

What.If by Hashem Al-Ghaili একটা পপুলিস্ট পেজ। রিসার্চ ছাড়াই যা ইচ্ছা বলে দেয় অরা। বিশেষ করে সায়েন্টিফিক বিষয়গুলোতে। তবে ওরা জানে, কী বললে অধিকাংশ লোক খাবে। একটা বিদিশি রেডিও মুন্না!

অনলাইনে দেখবেন সার্চ করলেই প্রচুর টিউটোরিয়াল, ব্লগ আর্টিকেল পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন বিষয়ে। সবচাইতে বেশী পাওয়া যায় আইটি নিয়ে। বিশেষ করে প্রোগ্রামিং বিষয়ক।

বলেন তো, প্রোগ্রামিং নিয়ে মানুষ কেন এত আর্টিকেল লিখে?

উত্তরটা খুব সহজ। একজন মানুষ যখন নিজের প্রোগ্রামিং নলেজ শেয়ার করে, তখন অন্যরা জানতে পারে ঐ বিষয়ে তার জ্ঞানের গভীরতা কতটুকু, স্কিল কতটুকু। এতে তার কাজ পাওয়ার পরিমান বেড়ে যায়। বাংলাদেশে অন্তত এক ডজন লোকরে আমি চিনি যারা শুধুমাত্র লেখালেখি করেই বিদেশী প্রচুর কাজ পেয়েছে, পাচ্ছে। কয়েকজন লেখালেখি করে বিদেশী কোম্পানীতে ভালো জবও পেয়েছে। এদের কাউকে কাউকে কোম্পানী হায়ার করে নিজেদের দেশে নিয়ে গেছে।

তাই লেখালেখি করবেন। নিজের মার্কেটিং এর জন্য লেখালেখি গুরুত্বপূর্ন। এটা আপনার স্কিল ও যোগ্যতা প্রমাণের মাধ্যম।

এমপিসাব যখন ছুটো আছিলেন, একদিন গাঁজা খাইলেন বন্ধুদের পাল্লায় পইড়া। তারপর তো টেনশনে পড়ে গেলেন! বাবা যেই কড়া.. কী জানি হয়!

খুব সাবধানে বাসায় ফিরেও লাভ হলো না। বাবা জেগে আছে। কিন্তু কিছু বুঝতে পারে নাই মনে হলো, ভাত খাইতে কইলেন।

ছুটো এমপিসাব ভাত নিলেন। তরকারী নিলেন। ডালও নিলেন। তারপর সুন্দর করে ভাত খাচ্ছেন। নিশ্চই বাবা কিছু ধরতে পারে নাই ভেবে ভয়ে ভয়ে একবার বাবার দিকে তাকায়া দেখেন- বাবা কটমট চোখে তাকায়া আছে।

"হারামজাদা, প্লেট কৈ তোর?"

হ্যাপিনেসের সবচাইতে সহজ ও স্বস্তা একটা রাস্তা হইতেছে নেগেটিভিটি। যদিও এটা খুব সামান্যই হ্যাপিনেস দেয়, তবুও নগদ প্রাপ্তির লোভে মানুষ এটা চর্চা করে থাকে। বেশীরভাগ মানুষ একারণেই এত নেতিবাচক হয়, এত পেসিমিস্ট হয়। এই নেতিবাচকতা পরবর্তীতে তার জীবন বিষিয়ে তোলে।

প্রায় কোন কিছুতেই অপটিমিস্টিক না হতে পারার কারণে সে ব্যর্থ হয় আর ব্লেইম করার জন্য কাউকে খুঁজতে থাকে এবং আরো বেশী নেতিবাচক হয়ে ওঠে।

তার দুর্দশার কারণ যে সে নিজে, সেটা কোনদিন ধরতে পারে না।

Usama Container Laden!

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা হচ্ছে সার্টিফিকেট নির্ভর। জ্ঞান অর্জিত হোক বা না হোক, সার্টিফিকেট থাকলেই আপনাকে শিক্ষিত ধরে নেয়া হবে। পিএইচডির বেলায়ও তা-ই ঘটছে। কোনরকমে একটা PhD করে ফেলতে পারলে এই সার্টিফিকেট ভাঙিয়ে আপনি সারাজীবন খেতে পারবেন।

পিএইচডি করা মানে হইতেছে গবেষণা করতে শেখা। এরপর যদি কেউ গবেষণা না করে, তাহলে এই PhD তার কিংবা দেশের কোন কাজে আসলো না।

এই দেশে পিএইচডি করে নামের পেছনে ডক্টরেট লাগানো লোকগুলো সারা জীবনে কয়টা থিসিস করছে, কয়টা পেপার্স পাবলিশ করছে, একটু খোঁজ নিয়ে দেইখেন। এদের কোন প্যাটেন্ট তো হারিকেন দিয়েও খুঁজে পাবেন না।

#প্যারেন্টিং - ২৫

বাংলাদেশে বাচ্চাদের মানুষ করা খুব কঠিন কাজ। আপনি নিজের বাসায় তাদের সব ট্রেইন করবেন কিন্তু স্কুলে গিয়ে অন্যদের কাছ থেকে (অন্য বাচ্চা, এমনকি শিক্ষকদের কাছ থেকেও) খারাপ জিনিষ শিখে আসবে। উত্তরা থাকার সুবাদে পাশের বাসার ভাবি/আন্টি নামক বিভীষিকা থেকে সে বেঁচে আছে। এখানকার পরিবেশও ভালো। কিন্তু আত্মীয় স্বজনদের (বিশেষ করে দুর-সম্পর্কের আত্মীয় স্বজনদের) ব্যাড ইফেক্ট থেকে রক্ষা করা খুব কঠিন কাজ। এই কষ্টটা হতো না যদি বাচ্চাদের সাইকোলজি এবং প্যারেন্টিং সম্পর্কে সকলে জানতো।

এত সাবধানে মানুষ করার পরেও তাতিনের ভেতরে বিভিন্ন সময়ে নানারকম ভুল জিনিষ দেখা যেতে শুরু করেছে। বিশেষ করে স্কুলে যেতে শুরু করার পর এগুলো শুরু হয়েছে। এই যেমন আজকে পাশের রুমে লাইট বন্ধ ছিলো। সে বলছে- "এখানে লাইট বন্ধ কেন? দেখনা অন্ধকার!"
আপনার মনে হতে পারে... আরে, কী কিউট! এত ছোট বাচ্চা কী সুন্দর করে বললো!

উহু... কিউট না! এই আচরণটা খারাপ। এর পেছনের যে চিন্তা-ভাবনাটা কাজ করেছে, সেটা খারাপ।

'এখানে লাইট বন্ধ কেন?' - একটা অভিযোগ। খামোখা অভিযোগ একটা খারাপ জিনিষ। বাচ্চাদেরকে অভিযোগ করা শেখানো উচিত না।

আর 'দেখনা অন্ধকার?!' - এটা আরো বেশী খারাপ আচরণ।

এসব ক্ষেত্রে করণীয় কী?

করণীয়টা নির্ভর করছে আপনি কিভাবে বাচ্চাকে মানুষ করছেন এবং আপনার বাচ্চার বুদ্ধিমত্তা কতটুকু ভালো, তার উপরে। এই যেমন, তাতিনকে আমার কিছু বলতে হয়নি। আমি শুধুমাত্র ফারাহকে লো ভয়েসে জিজ্ঞেস করলাম- 'তাতিন এসব আচরণ কোথায় শিখেছে?' এটুকু শুনেই তাতিন আস্তে করে রুম থেকে বের হয়ে পাশের রুমে চলে গিয়েছে। এখন আর এটা নিয়ে ওকে কিছু বলতে হবে না। ও বুঝে গিয়েছে যে, এই আচরণটা ঠিক না। ওকে আমরা এভাবেই ট্রেইন করেছি। ও এখন নিজেকে ফিক্স করে ফেলবে। আর যদি পুরোপুরি ফিক্স করতে না পারে, তাহলে একদিন খেলতে খেলতে সুন্দরভাবে ওকে ব্যপারটা বুঝিয়ে বললেই হবে।

আপনার বাচ্চার সাথে আপনার সম্পর্ক কেমন, তার উপরে নির্ভর করছে আপনি তাকে কিভাবে বোঝাবেন। এদেশে অধিকাংশ বাবা-মা-ই মনে করে বাচ্চাদের ধমক ও তথাকথিত "শাসন" এর উপরে রাখতে হবে। এভাবে আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় বাচ্চা কথা শুনেছে, আসলে শুনে নাই। তার ভেতরে বিদ্রোহ দেখা দিতে থাকে। সে ধীরে ধীরে বেয়াদপ হতে থাকে। প্রকাশ্যে না হলেও ভেতরে ভেতরে সে বেয়াদপ হিসেবে বেড়ে ওঠে।

বাচ্চাদেরকে শেখানো এবং বোঝানোর আর্ট আছে। এই আর্ট রপ্ত করতে হলে বাচ্চাদের সাইকোলজি নিয়ে আপনার পড়াশোনা থাকতে হবে। এবং বাচ্চাকে পর্যবেক্ষন করার সময় বের করতে হবে। সবচাইতে বড় ব্যপার হচ্ছে, বাচ্চাকে প্রচুর কোয়ালিটি টাইম দিতে হবে।

অহংকার হচ্ছে হীনমন্যতার বাইপ্রোডাক্ট। যে নিজেরে চিনে, নিজের বিশালত্ব জানে, তার হঠাৎ 'মুই কী হনুরে!' মনোভাব আসার চান্স নাই। কারণ, সে আগে থেকেই জানে, সে কী! একটু জনপ্রিয় হয়ে কিংবা ভালো একটা ক্যারিয়ার গড়তে পারার কারণে সে অহংকারী হয়ে ওঠে না। বরং সে ভাবতে থাকে, 'আমি যতটা বড়/যেটুকু ডিজার্ভ করি, ততটা এখনো অর্জন করতে পারিনি।' অথবা, বর্তমানে আমি যেখানে এসেছি আমি এই লেভেলেরই, প্রথম থেকেই। এতদিন প্রমাণ করতে পারিনি, এখন পেরেছি। নতুন করে সে কিছু হয় নাই। সুতরাং অহংকারের কিছু সে খুঁজে পায় না।

একটা ছেলে বা মেয়ে গ্রাজুয়েশন শেষ করেই চাকরি/ক্যারিয়ার নিয়ে যে প্রেশারটায় পড়ে, এটা তার অনেক সম্ভবনা নষ্ট করে দেয়। যদি কলেজ থেকেই তারা ক্যারিয়ার নিয়ে কাজ শুরু করতো তাহলে এই সমস্যাটা হতো না। কমপক্ষে ভার্সিটি প্রথম বর্ষ থেকে।

আবার, এই ক্যারিয়ার নিয়ে সচেতন হওয়া ও কাজ শুরু করার ফলে পড়ালেখাও তার কাছে অর্থবহ হতে শুরু করে। ধরুন, একজন একাউন্টসের স্টুডেন্ট। সে যদি কোন প্রতিষ্ঠানে পার্ট টাইম একাউন্টেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করে, তখন সে পাঠ্যবইয়ের পড়ায় আরো বেশী মনোযোগ দিতে পারবে। তার কৌতুহল বাড়বে নিজের সাবজেক্ট নিয়ে। এদেশের স্টুডেন্টরা অযথা প্রচুর সময় নষ্ট করে। এই প্রবনতা কমে আসবে।

আমাদের প্রথম সমস্যা হচ্ছে, অধিকাংশ স্টুডেন্টরা জানে না যে ক্যারিয়ার নিয়ে এত আগে কাজ করতে হয়।
দ্বিতীয় সমস্যা হচ্ছে, কী করবে... কিভাবে করবে, এই গাইডলাইন নাই।
তৃতীয় সমস্যা, কাজ বা ব্যবসা করার জন্য যে লিংক ও যোগাযোগ দরকার, সেগুলোও অধিকাংশের নাই।

ভার্সিটিয়ানে এই তিনটি সমস্যারই সমাধান করা হয়েছে। এবছরের ভেতরেই আমরা স্টুডেন্টদের সচেতনতা, গাইডলাইন ও যোগাযোগ সমস্যা কাটিয়ে ওঠার কাজগুলো শুরু করবো।

#প্যারেন্টিং - ২২

ক্রিয়েটিভ ও প্রোডাক্টিভ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য মানুষকে একটা পজেটিভ, আনন্দপূর্ন, নির্ভয় পরিবেশে রাখতে হয়। পরিবেশটা একই সাথে কোলাহল ও বিদ্বেষ মুক্ত হতে হবে। আপনার বাচ্চার জন্য এরকম পরিবেশ নিশ্চিত করুন।

Trivuz Alam

Trivuz Alam

কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।

সাম্প্রতিক লেখা

যেসব টপিক নিয়ে লেখালেখি করছি