নির্বোধরা যদি আপনাকে নিজের লোক ভাবতে শুরু করে, তারপর আপনি যত অন্যায়ই করেন না কেন তারা আপনারেই ডিফেন্ড করবে।
মাথা নিচু করে কখনো আকাশ দেখা যায় না। আকাশ না দেখলে আপনি উড়তে পারবেন না।
যেখানে মাথা নিচু করে থাকতে হয়, সেই স্থান ত্যাগ করেন।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের পক্ষে কোনদিনই রাজনীতি বুঝা সম্ভব হবে না। রাজনীতি বুঝতে হলে মানুশ বুঝা জরুরী। আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স কখনোই মানুশ বুঝতে পারবে না।
পাবলিক হিসাব করে—
কার পেছনে কত খরচ করলো বা কাকে কত টাকা দিলো। অথচ হিসাব করা উচিত কার পেছনে কত সময় ব্যয় হলো বা কাকে কত সময় দিলো।
মমতা = ইন্টেলেক্ট + ইনটুইশন
সুখ-দুঃখ শুধুমাত্র লজিক দিয়ে বুঝা যায় না, ইনটুইশন লাগে। যার ইন্টেলেক্ট + ইনটুইশন লেভেল যত হাই সে অন্যের দুঃখ কষ্ট তত ভালো বুঝতে পারে। এজন্য দেখবেন যার ভেতরে মমতা যত বেশী সে অন্যরা কষ্ট পেতে পারে এরকম সকল বিষয় থেকে দূরে থাকে।
একটা 74km (45 mile) গতির ঝড়রে সুপার সাইক্লোন/সিডরের চাইতে ভয়ংকর ঝড় বলে প্যানিক সৃষ্টি করা লোকজনের হয়তো মন খারাপ হয়ে যাবে এই নিউজ দেখে।
পাবলিক প্যানিক সৃষ্টি করতে পছন্দ করে। ব্যাড নিউজ স্পেড করা অনেকের কাছেই একটা বিনোদন। খেয়াল করলে দেখবেন— কোথায় কে মারা গেল, কার সর্বনাশ হয়ে গেল, এইসব নিউজ জনে জনে বলে বেড়াতে ভালোবাসে অনেকে। বিশেষ করে কাজের বুয়াদের খুব প্রিয় টপিক এগুলো। হিউম্যান সাইকোলজি নিয়ে হালকা স্টাডি করলেই এর ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।
একাডেমিক স্টাডি বাদ দিলেও এই ব্যাপারটা নিয়া দেশী বিদেশী বহু লেখকের গল্প-উপন্যাসে আলাপ পাবেন। আমাদের হুমায়ূন আহমেদের একটা গল্পে এরকম কাহিনী ছিলো যে— একটা মেয়ে সুইসাইড এটেম্প নেয়ার পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। মেয়েটা মারা যায়নি দেখে আত্মীয়-স্বজনদের মন খারাপ হয়ে গেছে… এরকম একটা বর্ণনা।
অনেক ঐতিহাসিক বিষয়েও এর বহু নজীর দেখতে পাবেন। এই যেমন বারোমুডা ট্রায়াঙ্গল। এখনো বহু লোক বিশ্বাস করে বারোমুডা ট্রায়াঙ্গল সত্যিকার জিনিষ। এটা নিয়া আমার একটা লেখা আছে, লিংক কমেন্টে।
যাহোক, এই পাবলিক সাইকোলজি সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরী। কোন বিষয় বিশ্লেষন করা, ইতিহাস স্টাডি থেকে শুরু করে ব্যাক্তিগত জীবনে স্ট্রেস কমানোতেও এই সচেতনতা কাজে লাগে।
হিরো আলম
হিরো আলম একটা বিপ্লব।
ইডিওসিঙ্ক্রাটিক আরবান বাঙাল মিডল ক্লাসের গালে সশব্দ চটকানা।
একজন লোকের সাসটেইন করার জন্য পাঁচ একর জমি লাগে। বাংলাদেশে সম্ভবত আরো কম লাগে যেহেতু আমাদের জমির উর্বরতা বেশী ও আমরা ভাত খাই।
তো, এইটুক জমি আপনার যদি না থাকে, আপনার ভবিষ্যত কখনোই সিকিউর না।
আপডেটঃ এ বিষয়ক যে কয়টা স্টাডি পড়েছি, সেগুলোর কোনটাই আমাদের দেশের না, ফলে আমাদের মাটির উর্বরতা ও জলবায়ুর ক্ষেত্রে কতটুকু জমি, সেটা আমার জানা নেই। কয়েকজনের কমেন্ট পড়ে বুঝলাম অনেক কম হবে এখানে। একজন নিজে উৎপাদন করে দেখেছেন বললেন।
আরেকটা ফ্যাক্ট হচ্ছে— বাংলাদেশের অধিকাংশ জমিতে বছরে তিনবার ফসল ফলানো যায়, যেটা পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই সম্ভব হয় না। ফলে, এই ৫ একরের হিসাব আমাদের জন্য প্রযোজ্য না। আমাদের জন্য কতটুকু জমি প্রয়োজন, সেটা আমার জানা নেই। কয়েকজন দাবী করেছেন ১ বিঘা ও পাঁচ বিঘা। কিন্তু, তাদের এই হিসাবের পক্ষে কোন রিসার্চ দেখাতে পারেননি বিধায় সেটাকে আমি মূল পোস্টে তথ্য হিসেবে যোগ করলাম না। একজন নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন, কিন্তু সেটা প্রোটিন বাদে। ফলে, সেটাও যথার্থ নয়।
এক্ষেত্রে আরেকটা বিষয়ও মাথায় রাখা উচিত। শুধু ভাত-মাছই যথেষ্ঠ না। ব্যালেন্স ডায়েটের জন্য অনেক ধরনের খাবার লাগে। এগুলো সব ফলানোর জন্য যথেষ্ঠ জমি প্রয়োজন।
ইউটিউবে বা কোন সাইটে ভালো একটা কনটেন্ট দেখা/পড়ার সময় যদি এমন কোন বিজ্ঞাপণ দেখায় যেটা আসলে আমার দরকার, তখন ঐ বিজ্ঞাপণে ক্লিক করি। যেমন— হয়তো একটা ডোমেইন কিনবো ভাবতেছিলাম কয়েকদিন ধরে। এসময় একটা ভালো কনটেন্টে ডোমেইন কোম্পানীর বিজ্ঞাপণ দিলো। আমি তখন ঐ বিজ্ঞাপণে ক্লিক করে ডোমেইনটা কিনে ফেলি। তবে অকারণে বিজ্ঞাপণে ক্লিক করি না কারণ এতে এডভারটাইজারের ফান্ড নষ্ট হয়। সেটা করলে একজনরে পেট্রোনাইজ করতে গিয়ে আরেকজনের ক্ষতি করা হবে।
কোন কনটেন্ট থেকে বিজ্ঞাপণে ক্লিক করে কিছু পারচেজ করলে কী হয় জানেন? যে লোকটা কষ্ট করে ভিডিওটা বানিয়েছে বা আর্টিকেলটা লিখেছে, সে কিছু এক্সট্রা টাকা পায়। আমি তো এমনিতেই ডোমেইনটা কিনতাম। ঐসময় কিনলে কনটেন্ট ক্রিয়েটররে একটু হেল্প করা হলো, অর্থনৈতিক ভাবে।
কষ্ট করে কনটেন্ট বানিয়ে ফ্রি দিচ্ছে যারা— তাদের জন্য এইটুক তো করাই যায়, তাই না?
ওয়েস্টে লোকজন এমনকি সরাসরি টাকাও পাঠায়। এধরনের সাপোর্ট দেয়ার জন্য বেশ কিছু জনপ্রিয় সার্ভিসও গড়ে উঠেছে। আমি এক ট্রাভেলারকে চিনি যার পুরো বিশ্ব ভ্রমণের খরচ অনলাইনে তার ইউটিউব সাবস্ক্রাইবাররা বহন করে। বাংলাদেশেও এই কালচার গড়ে তুলতে পারলে আমাদের এখানে ভালো কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৈরি হতো অনেক।
What if our brain is just a CPU? What if all the knowledge we earned, all the info we learned, is stored in some remote location?
Just a thought!