চিন্তা ভাবনা

অনলাইনে প্রকাশিত চিন্তা-ভাবনা সমগ্র

That's my life now. Personal time is only 30 hours a month (sometimes less than an hour a day). That monthly 30 hour includes personal peace time & social media activities. And, social media is a huge distraction, you know. Hardly give peace. So, I do not use social media every day. Probably an hour a week from now.
[photo]

Can’t manage time for Facebook. Please don't mind if I can't reply.

অনেকেই আমাকে বলে— ভাই আপনি আমেরিকা চলে যাচ্ছেন না কেন?

আমেরিকা বা দেশের বাইরে যাওয়াটা এদেশের পাবলিকের কাছে একটা স্বপ্নের মতন ব্যাপার। কিন্তু, বাস্তবতা সেরকম নয়। ধরেন, আমি যদি আমেরিকা চলে যেতাম, তাহলে ভার্সিটিয়ানের মত প্রজেক্ট আমার করা হতো না। জীবন নিয়েই দৌড়ের উপরে থাকতাম।

আপনি ভাবছেন— ভালো জব করে প্রচুর উপার্জন করলে সম্ভব হতো? নাহ! আমার ভাই ঘন্টায় ২৫০ ডলার ইনকাম করে। ব্যস্ততার কারণে উনার পক্ষেও ভার্সিটিয়ানের মত প্রজেক্ট দাঁড় করানো সম্ভব না। উনি আমার প্ল্যান শুনে হাসতো, বলতো এত বিশাল জিনিষ না বানিয়ে ছোটখাটো কিছু বানাতে। দেশেও সফল অনেকে আমাকে একই উপদেশ দিয়েছে। ছোটখাটো কিছু তো ক্লায়েন্টদের জন্য সবসময়ই বানাচ্ছি। বড় কিছু বানানো তো একটা স্বপ্নের ব্যাপার। স্বপ্নের সাথে তো আর কম্প্রোমাইজ চলে না।

কয়েক বছর আগে পরিচিত এক ভাই আমেরিকা চলে গেলেন। উনারও এধরনের প্রজেক্ট করার স্বপ্ন ছিলো। ভাবছিলেন আমেরিকা গেলে অনেক সুযোগ পাবেন। হয়েছে উলটা। এখন আমাকে বলে— 'ভাই, সময়ই নাই আর। কোনকিছু করার সময় নাই। আমার সব স্বপ্ন শেষ।'

দেশে ফিরে আসতে বললে বলে— "এটা সম্ভব না। বাংলাদেশ থেকে দেশের বাইরে যাওয়াটা হচ্ছে ওয়ান ওয়ে টিকেট। যাওয়া যায়, ফেরা যায় না।"

হ্যাঁ, চলে গেলে অনেক ভালো থাকবো হয়তো। কিন্তু ভার্সিটিয়ানের স্বপ্নটা আর বাস্তবে আসবে না। তাছাড়া, দেশে বসেই তো আমি আমেরিকার অফিস চালাচ্ছি। আমাকে যেতে হবে কেন? রিমোট রিক্রুটমেন্ট, রিমোট অফিস ম্যানেজমেন্ট, রিমোট প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট আমাদের অন্যতম কয়েকটা প্রোডাক্ট। আমাকেই যদি আমেরিকার অফিস আমেরিকায় গিয়ে চালাতে হয়, তাহলে এসব বানাচ্ছি কেন?

এমন না যে আমেরিকা বা দেশের বাইরে যাবো না। ভার্সিটিয়ানের জন্য আমাকে আমেরিকা ও ইউরোপ ঘুরতে হবে। যখন সময় আসবে যাবো।

আমরা যখন পড়ি তখন বই/লেখা থেকে খুবই ধীরগতিতে তথ্য নিতে পারি। এভাবে তথ্য গ্রহণ করার ব্যান্ডউইথ এতই কম যে আমাদের এই ছোট জীবনে খুব বেশী কিছু শেখা সম্ভব না। কিন্তু দেখবেন কিছু লোক ঠিকই এই ছোট জীবনেও বহুকিছু শিখে ফেলছে বা করে ফেলছে। ইলন মাস্কের কথাই ধরুন, মাত্র ৫০ বছরেই কতগুলো ইন্ড্রাস্ট্রিতে মাস্টার হয়ে বসে আছেন।

তারা এটা কিভাবে করে?

সহজভাবে বললে— চিন্তা করার ক্ষমতাকে ব্যবহার করে। কল্পনা (imagination) + চিন্তা (thought) আপনার শেখার গতি বাড়িয়ে দেয়।

চিন্তা আমাদের ব্রেইনে তথ্যকে বিবর্ধিত করে। যখন আপনি চিন্তা করতে শেখেন, তখন দুই লাইন পড়লে ব্রেইনে সেটা গিয়ে কয়েক গুন হয়ে যায়। সাথে ইমাজিনেশনন যোগ হলে আরো কয়েক গুন হয়। যার চিন্তা করার ক্ষমতা যত বেশী, ইমাজিনেশন যত ভালো, তার এই তথ্য বিবর্ধনের হার তত বেশী।

জীবিকা টেনশন দূর করে দিতে পারলে প্রচুর ভালো লেখক-চিন্তক আমরা তৈরি করতে পারবো। অনলাইনে কত ধরনের আয়ের উপায় আছে। ইংরেজীতে দক্ষতার অভাবে এদেশের লোকজন সেগুলোর খোঁজ পায় না কিংবা পেলেও ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারে না।

ভালো করে ইংরেজী শিখেন। নয়তো আমরা আপনাদের সেসব পথ দেখিয়ে দিলেও আসলে লাভ হবে না তেমন।

কারো বাড়িতে আগুন লেগে গেলে প্রতিবেশীরা সেই আগুন নেভাতে যাওয়াটা গ্রামের জন্য ভালো ব্যাপার, কারণ ওখানে ফায়ার ব্রিগেড নেই কিংবা প্রশাসনিক ও সরকারী সুবিধা অপর্যাপ্ত। শহরের জন্য এটা ভালোর চাইতে খারাপ, কারণ এরা সরকারী বাহিনী ও ফায়ার ব্রিগেডের কাজে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়।

এই ব্যাপারটা বুঝতে পারা জরুরী।

কোথাও কেউ নেই।

একটি প্রকৃত দোয়েল পাখি। ছবি তুলতে দেখ সে আরো কছে এসে ইটের উপর দাঁড়িয়েছে। মনে হলো পোজ দিচ্ছে।

কলেজ লাইফে থাকতে একটা হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বানিয়েছিলাম। ডিস্ট্রিবিউটেড এপ্লিকেশন ছিলো। ঐসময় এধরনের এপ্লিকেশন এদেশে নতুন জিনিস ছিলো ফলে দক্ষ লোকজন পাওয়া যেত না সাপোর্টের জন্য। কম্পিউটার কেনা, নেটওয়ার্কিং করে দেয়া, ক্লায়েন্ট-সার্ভার সেটাপ করা থেকে শুরু করে ট্রেইনিং পর্যন্ত আমাকেই করতে হতো। এই সুবাদে অনেকগুলো জেলায় ভ্রমণ করা হয়েছে, থাকা হয়েছে দিনের পর দিন। ভালোই লাগতো। এইসব কাজ এবং ভ্রমণ মিলে ৪১টা জেলায় যাওয়া হয়েছে। আর ২৩টা জেলার জন্য ৬৪ জেলা কভার করা হয়নি।

থিংকার পয়েন্ট তৈরির জন্য ৬৪ জেলায় ক্যাম্পেইনের যে পরিকল্পনা নিয়েছি, বেঁচে থাকলে এবার হয়ে যাবে ইনশা'আল্লাহ। এই ৬৪ জেলা ক্যাম্পেইন আগামী বছর শুরু করার প্ল্যান। আপাতত আনঅফিশিয়ালি কয়েকটা জেলায় ঘুরে আসবো ভাবছি। আজকে থেকে শুরু করলাম।

এটা পুরোপুরি আন-অফিশিয়াল ট্যুর। দু'টো উদ্দেশ্যে এই ভ্রমণ শুরু করেছি।
- প্রি-ক্যাম্পেইন একটিভিটিস এবং
- এলাকা বদল করলে প্রোডাক্টিভিটি কেমন বাড়ে, সেটা দেখা।

যদি ঢাকার বাইরে এভাবে ঘুড়ে বেড়ানোতে কোন সমস্যা না হয় এবং প্রোডাক্টিভিটি বাড়ে, তাহলে ঢাকায় আর স্থায়ী অফিস নেব না। আম্রিকান অফিসরে বলবো বাংলাদেশের দুই বছরের অফিস ভাড়া ও ইন্টেরিয়র করার টাকা একবারে পাঠিয়ে দিতে। সেই টাকা দিয়ে একটা RV কিনে ভ্রাম্যমাণ ট্রেলার অফিস বানাবো। অফিস ঘুড়ে বেড়াবে বাংলাদেশময়, সাথে আমরাও।

কোথায় যে সব
হারিয়ে যাওয়ার ইচ্ছেগুলো
হারিয়ে গেল।

Trivuz Alam

Trivuz Alam

কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।

সাম্প্রতিক লেখা

যেসব টপিক নিয়ে লেখালেখি করছি