চিন্তা ভাবনা

অনলাইনে প্রকাশিত চিন্তা-ভাবনা সমগ্র

আমেরিকনরা লজিকরে বেশী প্রাধান্য দেয় আর এশিয়ানরা ইনটুইশন। এই পর্যবেক্ষন স্টিভ জবস দিয়েছিলেন। আরো বলছিলেন যে— উনি লজিক + ইনটুইশন ব্যবহার করেছেন অ্যাপলের প্রোডাক্টগুলো ডেভেলপ করতে গিয়ে।

জবস জাপানিজ আর জেন ফিলোসফি দ্বারাও প্রভাবিত ছিলেন। জাপানিজদের থেকে পারফেকশন, জেনদের থেকে মিনিমালিজম আর আমেরিকানদের থেকে লজিক্যাল চিন্তা ও টেকনোলজির এক অদ্ভুত কম্বিনেশন ছিলেন। আবার জন্ম সূত্রে মুসলিম ছিলেন।

এই বৈচিত্রময়তা উনার ইউনিকনেসের একটা কারণ হয়তো।

স্টিম থেকে একটা গেম ডেভেলপার গ্রুপের সাথে পরিচয় হলো। ওদের আপকামিং গেমের আইডিয়া শুনে আমার ড্রিমার ওয়ার্ল্ডের কথা বললাম। ওদের গেমটা হচ্ছে একটা শহরে আপনি ফুড কার্ট সেটাপ করে মার্কেট এনালাইসিস করে বার্গার ড্রিংকস এসব বিক্রি করবেন। আমার DW-র বিভিন্ন সিটিতে এধরনের ছোটখাটো বিজনেস করা যাবে, টাকাটুকা কামানোর জন্য। তো ওদেরকে বললাম চলো ডেভেলপমেন্ট পার্টনার হই। ওরাও আগ্রহ দেখালো। তারপর বললো ওদের গেমটা মার্কেটে রিলিজ দেয়ার আগে আলফা ভার্সন খেলে ওদেরকে সাজেশন দিতে পারবো কিনা। রাজী হয়ে গেলাম।

তারপর আজকে আলফা কপি পাঠিয়েছে। ঘন্টাখানেক ডিসকোর্ডে স্ট্রিমিং করলাম। সাথে ভয়েসে ওরাও কানেক্টেড ছিলো। খেলতে খেলে গেমস ডেভলপমেন্ট নিয়ে নানা ধরনের কথা হলো, ইমপ্রুভের সাজেশন দিলাম। আমার সাজেশনরে খুব গুরুত্বের সাথে নিলো এবং যা যা সাজেশন দিয়েছি ওগুলো ইমপ্লিমেন্ট করবে বললো। সব মিলিয়ে ঘন্টা খানেক বেশ ভালোই সময় কাটলো বকবক করে আর গেম খেলে।

ওদের গেমটার গ্রাফিক্স, গেমপ্লে ও ডেপথ বেশ ভালো। সিমুলেশন গেমগুলো যেমন হয়, রিয়েল লাইফের অনেক কিছুই ইমপ্লিমেন্ট করছে। মানে এধরনের একটা ব্যবসা করার জন্য যা যা কনসিডার করতে হয় আরকি (স্ক্রিনশটে খেয়াল করেন)। এসব গেম খেললে আপনি ব্যবসা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন। গেমের লিংক দিলাম, আগ্রহীরা উইশলিস্টে যোগ করে রাখতে পারেন। কিছুদিন পর রিলিজ দিবে।

ওভারঅল বেশ চমৎকার একটা অভিজ্ঞতা বলা যায়।

খেয়াল করে দেখেন, স্কুল লাইফের পরে বন্ধু পাওয়া কত কঠিন! বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্বার্থ চিন্তা বাড়ার ফলে এটা ঘটে। প্রফিট না দেখলে যে সমাজে বন্ধু বানায় না অধিকাংশ লোক, সেখানে আপনি একা নিঃস্বার্থ হয়েও বন্ধু পাবেন না।

What if our brain is just a CPU? What if all the knowledge we earned, all the info we learned, is stored in some remote location?

Just a thought!

মেঘ দেখে ভাল্লুক
মনে হয়
নাকি তুমি দেখনি
(অঞ্জন)

তিন দিনে ৬৫৮১ টা পোস্টের ভেতরে ৫৩০ টা পোস্ট শর্ট করলাম। নিজের পুরানো পোস্ট পড়তে ভালোই লাগে। তবে একইসাথে কয়েকটা বিষয় খেয়াল করলাম—

১) লেখালেখির ক্ষেত্রে ফেসবুক প্রচুর ডিসট্রাক্ট করে। তবে ফেসবুকের কারণেই এত বিচিত্র সব বিষয়ে লেখালেখি হয়।
২) ফেসবুকের লেখাগুলোর অধিকাংশই ছোট হওয়াতে ভবিষ্যতে কনটেক্সট না জানা থাকায় অর্থহীন গার্বেজে রুপান্তরিত হবে। তাই এখন থেকে আমার সাইটে প্রতিটা লেখার সাথে কনটেক্সট যুক্ত করে রাখবো।

এটা খুবই ভালো ব্যাপার যে ফেসবুক বন্ধ হয়ে গেলেও লেখাগুলো হারাবে না। কিন্তু মন্তব্যগুলো তো হারিয়ে যাবে। সাইটে মন্তব্যের অপশন যোগ করছি তাই। সেই সাথে প্রতিটা লেখার সাথে রিলেটেড থট, নিউজ লিংক ও অন্য সব ধরনের লিংক যোগ করে রাখবো। ভবিষ্যতে এগুলো বেশ কাজে দিবে।

Thinkr CMS দিয়ে যারা নিজের সাইট বানাবেন, তারাও এই অপশনগুলো ব্যবহার করতে পারবেন। আগামী মাসের শেষের দিকে Thinkr CMS পাবলিকের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। চেষ্টা করবো যতটা সম্ভব কম প্রাইসে দিতে।

জানুয়ারীর ৩ তারিখে ফেসবুক থেকে প্রায় ছয় হাজার দুই'শ পোস্ট ত্রিভুজ ডট নেটে ইমপোর্ট করে ফেলেছিলাম। গত ৮ মাসে আরো প্রায় ৪০০ পোস্ট করেছি দেখা যায়। এগুলোর বেশীরভাগই এখনো শর্ট করা হয়নি। আজকে সাইডবারটা যুক্ত করলাম। প্রতিদিন গড়ে ২০০ করে পোস্ট শর্ট করা গেলে আগামী এক মাসের ভেতরে সব পোস্ট ক্যাটাগরিতে পাওয়া যাবে।

ফেসবুকে পুরানো পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায় না সহজে। এখানে সব বিষয়ভিত্তিক সাজানো থাকবে।

এধরনের ভিডিও যারা বানাচ্ছেন ও শেয়ার দিচ্ছেন, আপনারা কি জানেন কত নিরপরাধ মেয়েদের নামে আপনারা অপবাদ দিচ্ছেন? এই পাপের ক্ষমা পেতে হলে এই প্রতিজন মেয়ের কাছে গিয়ে আপনাকে ক্ষমা নিয়ে আসতে হবে, নয়তো পার পাবেন না।

এই অন্যায় থেকে বিরত থাকেন।

প্রায় পনের মিনিট ধরে ফেসবুকের হোমপেজ স্ক্রল করে পড়ার মত একটা পোষ্টও পেলাম না। অনেকদিন ধরেই এই অবস্থা।

ফেসবুক মারা যাচ্ছে?

আমরা শাবানার কান্নাকাটি দেখলাম। শেষের মারামারিও দেখলাম।

এখন শুধু পুলিশ আসা বাকী!

Trivuz Alam

Trivuz Alam

কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।

সাম্প্রতিক লেখা

যেসব টপিক নিয়ে লেখালেখি করছি