চিন্তা ভাবনা

অনলাইনে প্রকাশিত চিন্তা-ভাবনা সমগ্র

পুরাই প্রেমে পড়ে গেছি রে ভাই! তোমাকে ছাড়া আমি আর বাঁচবো না টাইপ প্রেম :(

ইউটিউবে বা কোন সাইটে ভালো একটা কনটেন্ট দেখা/পড়ার সময় যদি এমন কোন বিজ্ঞাপণ দেখায় যেটা আসলে আমার দরকার, তখন ঐ বিজ্ঞাপণে ক্লিক করি। যেমন— হয়তো একটা ডোমেইন কিনবো ভাবতেছিলাম কয়েকদিন ধরে। এসময় একটা ভালো কনটেন্টে ডোমেইন কোম্পানীর বিজ্ঞাপণ দিলো। আমি তখন ঐ বিজ্ঞাপণে ক্লিক করে ডোমেইনটা কিনে ফেলি। তবে অকারণে বিজ্ঞাপণে ক্লিক করি না কারণ এতে এডভারটাইজারের ফান্ড নষ্ট হয়। সেটা করলে একজনরে পেট্রোনাইজ করতে গিয়ে আরেকজনের ক্ষতি করা হবে।

কোন কনটেন্ট থেকে বিজ্ঞাপণে ক্লিক করে কিছু পারচেজ করলে কী হয় জানেন? যে লোকটা কষ্ট করে ভিডিওটা বানিয়েছে বা আর্টিকেলটা লিখেছে, সে কিছু এক্সট্রা টাকা পায়। আমি তো এমনিতেই ডোমেইনটা কিনতাম। ঐসময় কিনলে কনটেন্ট ক্রিয়েটররে একটু হেল্প করা হলো, অর্থনৈতিক ভাবে।

কষ্ট করে কনটেন্ট বানিয়ে ফ্রি দিচ্ছে যারা— তাদের জন্য এইটুক তো করাই যায়, তাই না?

ওয়েস্টে লোকজন এমনকি সরাসরি টাকাও পাঠায়। এধরনের সাপোর্ট দেয়ার জন্য বেশ কিছু জনপ্রিয় সার্ভিসও গড়ে উঠেছে। আমি এক ট্রাভেলারকে চিনি যার পুরো বিশ্ব ভ্রমণের খরচ অনলাইনে তার ইউটিউব সাবস্ক্রাইবাররা বহন করে। বাংলাদেশেও এই কালচার গড়ে তুলতে পারলে আমাদের এখানে ভালো কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৈরি হতো অনেক।

৬৪ জেলায় ট্যুর দেয়ার সময় অন্তত ৬৪ জন লেখক খুঁজে বের করার চেষ্টা করবো যাদের লেখা পড়ার জন্য পাবলিক বছরে ১০০ টাকা দিয়ে তাদের সাবসক্রাইব করতে রাজী হবে। অন্তত তিন হাজার লোক যদি একজন লেখকরে সাবক্রাইব করে, সেই লেখকের মাসিক আয় দাঁড়ায় ২৫ হাজার টাকা। একজন ভালো লেখকরে এই আয় কিছুটা রিলাক্স করবে এবং আমরা আরো বেশী ভালো ভালো লেখা পাবো।

এরকম আরো অনেক প্ল্যান আছে।

দেশের চারটি বিভাগে একযোগে ব্লাক-আউট! কাজ কর্ম সব বন্ধ!

চমৎকার!
ভাজা যাক দুই-একটা খৈ এবার!

"ধর্ম যার যার নিরাপত্তা পাবার অধিকার সবার"
- তারেক রহমান

এটা হচ্ছে আসল কথা। এর আগে কেউ বলতে পারে নাই এভাবে।

ইলিয়াস হোসেনের প্রতিবেদনের কারণে কিছু নিরপরাধ লোকের জীবন বেঁচে যাবে হয়তো। কিন্তু তারচাইতেও বড় উপকার হবে যদি আম জনতা মিডিয়া ট্রায়ালে অংশ নেয়া বন্ধ করে। বহু লোকরেই দেখতেছি নিজের ভুল বুঝতে পেরে অনুতপ্ত হতে। গুড সাইন!

ইন্টারনেটে পাওয়া একটা গল্প কিছুটা পরিবর্তন করে অনুবাদ করেছি। আমার মনে হলো এই গল্পটা আমাদের স্কুলের পাঠ্যবইয়ে স্থান পাওয়ার মত। সেটা না করলেও অন্তত টিচার্স ট্রেইনিং এ এই গল্পটা রাখা উচিত। গল্পটা পড়তে এখানে ক্লিক করুন

লিপস্টিক বিক্রি বৃদ্ধি পাচ্ছে মানে অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হতে যাচ্ছে, এরকম একটা ইন্টারেস্টিং ধারণা আছে ওয়েস্টে। এটাকে লিপস্টিক ইনডেক্স বলা হয়। এর পেছনের থিউরিটা এরকম— যখন মহিলাদের হাতে টাকা থাকে না তখন তারা লাক্সারি আইটেম কিনতে পারে না বলে লিপস্টিকের মত কমদামী জিনিষ বেশী কিনে। এটা ওরকম কোন ইকোনমিক থিওরি না তবে ব্যাপক আলোচিত ও পরিচিত টার্ম। Lipstick Index লিখে সার্চ দিলে আপনি এবিষয়ে ইন্টারেস্টিং সব তথ্য পাবেন।

তবে আমার এই পোস্টের উদ্দেশ্য ভিন্ন। লিপস্টিক ইনডেক্স নিয়া বিতর্ক থাকলেও এর পেছনের কারণটা কিন্তু সত্যি। মানুশের তো এন্টারটেইনমেন্ট লাগে। যখন সে টাকার অভাবে থাকে তখন সে স্বস্তায় বিকল্প কিছু খোঁজে, নিজেরে একটু হ্যাপি করার জন্য। এই ব্যাপারটা মাথায় রাখলে সম্ভবত মন্দার দিনে আপনি করার মত কোন ব্যবসা খুঁজে পাবেন। গুড লাক!

রিসেশনে কিভাবে সার্ভাইব করতে পারে পাবলিক, তা নিয়া ভাবতেছিলাম। আজকে বিপদের পূর্বাভাস দেয়ার পরিবর্তে এধরনের বিপদে করণীয় কী হতে পারে, তা নিয়ে কিছু নিয়ে কিছু ভাবনা শেয়ার করেছি ত্রিভুজ নেটওয়ার্কে। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন

ইউক্রেনের খেরসন, জাপোরিঝঝিয়া, দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল রুশ ফেডারেশনে অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দিয়ে পুতিন মূলত ইউক্রেনরে ল্যান্ড লকড কান্ট্রিতে রুপান্তরিত করতেছে, ফলে ইউক্রেনের বাকী অংশ এমনিতেই রাশিয়ার নিয়ন্ত্রনের বাইরে থাকতে পারবে না। রাশিয়ার এই ঘোষণার ফলে বিশ্ব-পরিস্থিতি আরো খারাপ দিকে যাবে।

ঐদিকে গ্যাস পাইপলাইনে স্যাবোটাজ চলমান অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতি আরো খারাপ করে দিচ্ছে যা ইউরোপের ইকোনমিতে বিশাল ধাক্কা তৈরি করতে যাচ্ছে।

বিশ্বের সামনে সময় খুবই খারাপ।

মূল বিষয় হচ্ছে যে অর্থনৈতিক মন্দার দিকে বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, সেটা আমরা কিভাবে মোকাবিলা করবো?

Trivuz Alam

Trivuz Alam

কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।

সাম্প্রতিক লেখা

যেসব টপিক নিয়ে লেখালেখি করছি