বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ
"ব্রলোকেরা হাজার কোটি টাকা লুটপাট করতেছে তাই আমার 'ছোট' অপরাধরে অপরাধ বলা যাবে না।"
এধরনের জাস্টিফিকেশন দেয় বাংলা সিনেমা। এই মানসিকতা বাঙালির ভেতরে কি বাংলা সিনেমা থেকে ঢুকছে নাকি বাংলা সিনেমা বাঙালিরে দেখে শিখছে, এটাই বুঝার চেষ্টা করে যাচ্ছি বহুবছর ধরে।
জীবিকা টেনশন দূর করে দিতে পারলে প্রচুর ভালো লেখক-চিন্তক আমরা তৈরি করতে পারবো। অনলাইনে কত ধরনের আয়ের উপায় আছে। ইংরেজীতে দক্ষতার অভাবে এদেশের লোকজন সেগুলোর খোঁজ পায় না কিংবা পেলেও ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারে না।
ভালো করে ইংরেজী শিখেন। নয়তো আমরা আপনাদের সেসব পথ দেখিয়ে দিলেও আসলে লাভ হবে না তেমন।
কারো বাড়িতে আগুন লেগে গেলে প্রতিবেশীরা সেই আগুন নেভাতে যাওয়াটা গ্রামের জন্য ভালো ব্যাপার, কারণ ওখানে ফায়ার ব্রিগেড নেই কিংবা প্রশাসনিক ও সরকারী সুবিধা অপর্যাপ্ত। শহরের জন্য এটা ভালোর চাইতে খারাপ, কারণ এরা সরকারী বাহিনী ও ফায়ার ব্রিগেডের কাজে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়।
এই ব্যাপারটা বুঝতে পারা জরুরী।
এডুটেকের যতটুকু বিকাশ ২০৩০ নাগাদ হওয়ার কথা, কোভিডের কারণে সেটা এখনি হচ্ছে। আমেরিকার এডুটেক মার্কেট নিয়ে আমরা গত দুই মাস ধরে ঘেঁটে যা বুঝলাম, ওখানে প্রচুর সম্ভবনা আছে আমাদের জন্য। আমরা যে কয়টা সার্ভিস স্টাডি করলাম, খুব সাধারণ সব সার্ভিসে মিলিয়ন মিলিয়ন পেইড সাবসক্রাইবার।
আমেরিকার এডুটেক মার্কেট বুমিং। ওখানকার স্কুল শুটিং এর ঘটনাগুলো প্যারেন্টসদের মনে যে ভীতি তৈরি করেছে, এটাও এডুটেকের উত্থানে প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে। বিশেষ করে গত সপ্তাহে যে ১৯টা বাচ্চাকে মেরে ফেললো, আমেরিকানদের উপরে সেটা মারাত্বক প্রভাব ফেলছে। ওখানকার স্কুলিং সিস্টেম পুরোপুরি অনলাইনে চলে আসলেই প্যারেন্টসরা খুশী, এমন একটা অবস্থা।
বাংলাদেশে যারা এডুটেকে ইনভেস্ট করতেছেন, আপনারা আমেরিকার দিকে নজর দেন। এত বিশাল মার্কেট, আমরা ১০০ টা স্টার্টাপ দিয়েও পুরো মার্কেট কাভার করতে পারবো না। ভারতীয়রা ঐ মার্কেটটা খেয়ে ফেলার আগেই আসেন আমরা ধরতে শুরু করি।
নন-ফিকশনের ক্ষেত্রে বাংলা বইয়ের চাইতে ইংরেজী বইয়ের মার্কেট বড় এদেশে। মুখস্ত-বিদ্যা নির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা এর জন্য দায়ী।
ফেসবুকে আমার দুইটা জিউশ ফ্রেন্ড আছে। দুইজনেই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। একজনের সাথে পরিচয় হয়েছিলো অনলাইনে গেম খেলতে গিয়ে, আরেকজনের সাথে একটা প্রজেক্টে কাজ করতে গিয়ে। এরা যে কোন লেভেলের জিনিয়াস! বন্ধুত্বটা এজন্যই হয়েছে মূলত।
এই দুই জিনিয়াসের সাথে মোটামুটি সব টপিকেই চমৎকার আলোচনা করা যায়। আর এদের পোলাইটনেসও এক্সট্রা অর্ডিনারি লেভেলে। এদের IQ যেমন হাই, EQ-ও তেমন।
তো, এদের একজন গতকাল 'ই-য-রা-ইল একটা টে/রোরিস্ট নেশন' লিখে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিছে। ঐখানে তার অন্য জিউ ফ্রেন্ডরা এসে আর্গুমেন্ট করতেছে। সেই আর্গুমেন্টও দেখার মত। আর্গুমেন্ট আসলে কিভাবে করতে হয়, অন্যের প্রতি কতটা রেসপেক্ট দেখানো সম্ভব একটা তর্কের মাঝে, এগুলো আমি এই ছেলের অতীতের বিভিন্ন আর্গুমেন্টেও দেখেছি। ভালো লাগে দেখতে।
আমার দীর্ঘদিনের একটা পর্যবেক্ষন এরকম— 'যে মানুশ যত বুদ্ধিমান সে অন্যের প্রতি তত সম্মান দেখাতে পারে।' এদেরকে দেখে আমার এই ধারণাটা আরো শক্ত হয়।
বেয়াদবরা কখনো নিজেদের বেয়াদবি ধরতে পারে না। কারণ, বেয়াদব মানেই হচ্ছে আদব জ্ঞানের অভাব। এরা বুঝতে পারে না কেন এদের কথা বলার ভঙ্গি, টোন, ভাষা খারাপ। তার ভেতরে যদি একগাদা লোক এসে সমর্থন দিতে শুরু করে, তাহলে সেটা কালচারে পরিনত হয়। তখন এর থেকে এরা আর বের হতে পারে না। কালচারাল ট্রেইট সহজে বদলায় না।
যে নিজেরে অলওয়েজ রাইট ও অনেক বড় মনে করে, সে গ্রেটার গুডের জন্য কাজ করছে না। সে নিজের ইগোরে স্যাটিসফাই করতেছে শুধু।
গতকাল ক্ষমতাচ্যুত হওয়া মাহিন্দা রাজাপক্ষ শ্রীলংকায় জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। যোগ্যতার অভাব থাকলে জনপ্রিয়তা যে কোন কাজে আসে না, সেটার একটা উদাহরণ হয়ে থাকবেন তিনি।
পৃথিবীর সবচাইতে শিক্ষিত জাতিগুলোর ভেতরে শ্রীলংকা একটা। এডুকেশন রেট ৯৫% এর উপরে থাকে সবসময়। ওদের এডুকেশন সিস্টেম আমাদের থেকে অনেক উন্নত। এত শিক্ষিতের একটা দেশে এরকম একজন অযোগ্য ও দূর্নীতিবাজ লোক এত জনপ্রিয় হওয়ার রহস্য কী বলেন তো?
যাদের ভেতরে হিংসা আছে আপনি চাইলেও তাদেরকে আপন ভাবতে পারবেন না।