অনলাইনে প্রকাশিত চিন্তা-ভাবনা সমগ্র
একবার একজন আমারে ইনবক্স করলো-
কিছু মনে করবেন না একটা প্রশ্ন করি। আপনি কি নিজেরে অনেক বড় কিছু মনে করেন?
আমি বললাম-
মনে করেন আপনি ক্রিকেট খেলছেন। ক্রিকেট নিয়ে আমার কোন আগ্রহ নাই এবং কোনদিন খেলতেও যাবো না। আপনি কি খেলার মাঠ থেকে দৌড়ে এসে আমাকে প্রশ্ন করে বসবেন- 'ভাই, আপনি কি নিজেরে অনেক বড় বোলার/ব্যাটসম্যান মনে করেন?'
বুঝলাম না
কে বড় কে ছোট এইসব মাপামাপির যেসব রুলস আপনারা ফলো করেন, আমি ঐ খেলাতে নাই। আমি কারো সাথে প্রতিযোগীতা করি না। ফলে এগিয়ে আছি না পিছিয়ে আছি, এই প্রশ্ন অপ্রাসঙ্গিক।
তাহলে আপনি মনে করেন যে আপনিই ঠিক আমরা ভুল?
আমি এমনকি দর্শকের গ্যালারিতেও নাই। ফলে আপনাদের খেলা ভালো না খারাপ, এই মন্তব্যও তো করা সম্ভব না আমার পক্ষে। আপনাদের আর আমার পথ ভিন্ন, এইটুকুই শুধু বলতে পারি।
অতৃপ্তি মানুশের মানুশের চিন্তা-ভাবনারে আটকে দেয়। এই যেমন, যার টাকা পয়সার অভাব তার সবকিছু টাকা-পয়সা উপার্জন কেন্দ্রিক হয়ে যায়। সে আটকে যায়, সবকিছুর ভেতরেই একটা ফাইন্যান্সিয়াল বেনিফিট খুঁজতে শুরু করে। চাওয়া-পাওয়ার ব্যবধান তার ভেতরে এইটা তৈরি করে। এইভাবে অতৃপ্তি মানুশের উন্নতির পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। আর এই বাঁধাটা তৈরি হয় তার মনের ভেতরে। অতৃপ্তি তারে বেঁধে রাখে। পরের লাইন চিন্তা করতে দেয় না।
এই অতৃপ্তির সাথে ডিল করতে হয় মনের ভেতরে। নিজের সাথে। মানসিক শান্তিই আসলে সবকিছুর আউটকাম। একটা দামী ফোন কিনতে পারছেন না বলে যে অতৃপ্তিতে ভুগছেন সেটা নিজের সাথে আলোচনায় বসলেই দূর করা সম্ভব। দামী পোষাক পড়তেই হবে বা দামী রেস্টুরেন্টে খেতে যেতেই হবে, এমন তো না।
আরো কিছু টাকার মালিক হতে পারলে খুব ভালো থাকতেন, এরকম না ভেবে যেটুকু আছে সেটুকুতে কিভাবে ভালো থাকতে হয় খুঁজে বের করেন। মানসিক শান্তি অর্জিত হবে। আর মনে শান্তি থাকলে দেখবেন উন্নতিও হইতেছে। তবে, এই উন্নতি হওয়ারে টার্গেট করা যাবে না। ন্যাচারালি হতে দেন।
আবার, উন্নতি বলতে কী বুঝেন সেটা নিয়াও একটু ভাবেন। উন্নতি মানে বাড়ি-গাড়ির মালিক হওয়া বুঝা মানে হচ্ছে আপনি আটকে গেছেন। উন্নতির বহু ডাইমেনশন আছে। এই মাল্টি ডাইমেনশনে ঢুকতে হলে অতৃপ্তিরে ডিল করতে হবে আগে।
বাগান তত্ত্ব - ৬ এবং সহজ জীবন - ১৮
মনে করেন মনোযোগ হচ্ছে এক বালতি পানি যা আমাদেরকে প্রতিদিন দেয়া হয় এবং আপনার চিন্তা-ভাবনা-কাজ বা জীবন হচ্ছে একটা বাগান। সমালোচক হচ্ছে তারা, যারা নিজেদের বালতির পানি আপনার বাগানে ঢালছে। পানিটা কাজে লাগানোই বু্দ্ধিমানের কাজ।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে একটা ভালো সাইড ইনকামের উপায় হবে লেখালেখি। ফ্রি আর্টিকেল পড়ার সাইটগুলো থাকবে না আর।
বিশ বছর আগে একদিন।
বামের ছবিটা বাসায়, ডানেরটা অফিসে। স্কুল থেকেই আমার ক্যারিয়ার শুরু। Time flies....
পিজা আর আগের মত ভালো লাগে না রে। আগে ৮ পিস পিজা খেতাম, এখন ৩ পিস খাই।
আশরাফ গানি কলম্বিয়া ইউনি থেকে এন্থ্রপোলজিতে পিএইচডি করেছেন। ইউসি বার্কলে আর জন হপকিনসের এন্থ্রপলজির শিক্ষকও ছিলেন। গুগল স্কলারে তার একাডেমিক লেখালেখিও আছে বিস্তর। এত "জ্ঞান" নিয়া লোকটা হইলো দালাল এবং অবশেষে পলাতক কাপুরুষ।
একজন মানুশের সাথে আপনার সম্পর্ক গড়ে উঠে হয়তো তার বিষয়ে আপনার ধারণার উপর ভিত্তি করে। কিন্তু টিকে থাকে আপনার প্রতি তার ধারণার উপরে।
কিছুদিন আগে ফেসবুকে বুদ্ধিজীবি নিয়া অনেক কাহিনী হলো। তখন একজনরে বলতেছিলাম— যে দেশে প্রায় ৫০০ দিন টানা স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকলেও সেটা নিয়ে খুব বেশী লোকরে চিন্তিত হতে দেখা যায় না, সেই দেশে বুদ্ধিজীবি খুঁজে লাভ নাই।
আজকে তিনি ম্যাসেজ দিয়ে বললো- আফগানিস্থানের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়াও তারা সবাই পেরেশান, আর আপনি বলেন কেউ চিন্তিত না!
বুঝলাম, ভঙ্গুর আফগানিস্থানে আমাদের কী রপ্তানী করতে হবে!
আফগানিস্তান নিয়া জিওপলিটিক্স বুঝতে এই ভিডিওটা আপনাকে সাহায্য করবে কিছুটা।