অতৃপ্তি মানুশের মানুশের চিন্তা-ভাবনারে আটকে দেয়। এই যেমন, যার টাকা পয়সার অভাব তার সবকিছু টাকা-পয়সা উপার্জন কেন্দ্রিক হয়ে যায়। সে আটকে যায়, সবকিছুর ভেতরেই একটা ফাইন্যান্সিয়াল বেনিফিট খুঁজতে শুরু করে। চাওয়া-পাওয়ার ব্যবধান তার ভেতরে এইটা তৈরি করে। এইভাবে অতৃপ্তি মানুশের উন্নতির পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। আর এই বাঁধাটা তৈরি হয় তার মনের ভেতরে। অতৃপ্তি তারে বেঁধে রাখে। পরের লাইন চিন্তা করতে দেয় না।
এই অতৃপ্তির সাথে ডিল করতে হয় মনের ভেতরে। নিজের সাথে। মানসিক শান্তিই আসলে সবকিছুর আউটকাম। একটা দামী ফোন কিনতে পারছেন না বলে যে অতৃপ্তিতে ভুগছেন সেটা নিজের সাথে আলোচনায় বসলেই দূর করা সম্ভব। দামী পোষাক পড়তেই হবে বা দামী রেস্টুরেন্টে খেতে যেতেই হবে, এমন তো না।
আরো কিছু টাকার মালিক হতে পারলে খুব ভালো থাকতেন, এরকম না ভেবে যেটুকু আছে সেটুকুতে কিভাবে ভালো থাকতে হয় খুঁজে বের করেন। মানসিক শান্তি অর্জিত হবে। আর মনে শান্তি থাকলে দেখবেন উন্নতিও হইতেছে। তবে, এই উন্নতি হওয়ারে টার্গেট করা যাবে না। ন্যাচারালি হতে দেন।
আবার, উন্নতি বলতে কী বুঝেন সেটা নিয়াও একটু ভাবেন। উন্নতি মানে বাড়ি-গাড়ির মালিক হওয়া বুঝা মানে হচ্ছে আপনি আটকে গেছেন। উন্নতির বহু ডাইমেনশন আছে। এই মাল্টি ডাইমেনশনে ঢুকতে হলে অতৃপ্তিরে ডিল করতে হবে আগে।
কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।