চিন্তা ভাবনা

অনলাইনে প্রকাশিত চিন্তা-ভাবনা সমগ্র



এরকম একটা চিন্তা করছিলাম কয়েক বছর আগে। এধরনের ফ্রিজগুলোর অনেক দাম, তাই আর আগানো হয় নাই। টাউন-সেন্টার একটু বড় হয়ে উঠলে প্রতি জেলায় অন্তত একটা এরকম ফ্রিজ সেটাপ করবো ইনশা'আল্লাহ!



AI জেনারেটেড টেক্সট ধরার অনেকগুলো টুলই তো আসলো কিন্তু এখন পর্যন্ত একটা টুলও ঠিকঠাক কাজ করেনি। আমি একটা অ্যালগরিদম ডেভেলপ করেছি যেটা শতভাগ কাজ করে। প্যাটেন্ট করার চেষ্টা করতেছি।

থিংকার কিডস-স্কুল-ভার্সিটিয়ানে এটা ইমপ্লিমেন্ট করবো।



আমরা একটা অদ্ভুত প্রজন্ম। আমরা রেডিও থেকে ইন্টারনেট ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের যুগ পর্যন্ত দেখছি। পাল তোলা নৌকা থেকে হাইড্রোফয়েল, গরুর গাড়ি থেকে ম্যাগলেভ ট্রেইন ও স্টারশিপ। গত ৩০/৪০ বছরে পৃথিবী যত দ্রুত পরিবর্তন হয়েছে এর আগে কখনো তা হয়নি। আমরা এই সময়টার সাক্ষী।

ইউটিউবে মির্জা গালিবের 'আহ কো চাহিয়ে' শুনতেছিলাম। খুব ছোটবেলা পালতোলা নৌকায় চড়ার স্মৃতি আমার মনে আছে। এটা আমারে সেই সময়ে ফিরিয়ে নিয়ে গেল। বাকিটুকু এখানে...



Only Potato is REAL



আসিতেছে… মহাসমারোহে!

কত কম সময়ে কত বেশী শেখানো যায় সেটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। তার জন্য আবার ChatGPT টাইপ জেনারেটিভ AI থেকে সরাসরি তথ্য নিলেও সমস্যা। কারণ, এতে আপনার শেখায় গ্যাপ তৈরি হবে। জ্ঞানের কোন শর্টকার্ট নাই।

গাইডলাইন ছাড়া AI টুলগুলো ব্যবহার করা নতুন শিক্ষার্থীদের জন্য বিপদজনক। এজন্য AI ব্যবহার করার নিরাপদ উপায় সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা এখন সময়ের দাবী। সবার আগে শিক্ষকদেরকে ট্রেইনিং দিতে হবে এই বিষয়ে।

এই কাজ তো সরকারের করতে হবে। বেসরকারী পর্যায়ে আমরা Town-Center থেকে দেশব্যাপি ফ্রি প্রশিক্ষন কর্মশালা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। কনটেন্ট ও গাইডলাইন তৈরি হচ্ছে এখন। আগামী মাসে এর একটা রুপরেখা প্রকাশ করবো।

এসংক্রান্ত আপডেট Revolution 4.0 গ্রুপ ও আমার টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশ করা হবে। আগ্রহীরা সাবস্ক্রাইব করে রাখতে পারেন।

যাস্ট রাখলাম এখানে...



Pavel Durov আর Lex Fridman, এই দুই রাশানরে আমার খুবই ভালো লাগে। আমার দেখা টেক জিনিয়াসের ভেতরে পাভেল অন্যতম এবং আমার দেখা সকল ইন্টারভিউয়ারের ভেতরে লেক্স সেরা। লেক্স পাভেলের ইন্টারভিউ কবে নিবে, সেই অপেক্ষায় আছি।



এই স্ক্রিনশটের শেষের কমেন্টটা দেখেন। এটা এখন এদেশের অলমোস্ট সকল শিক্ষার্থীদের মনের ভাবনা। মেধা পাচারের সর্বোচ্চ চুড়ায় আছি আমরা।

এই ধরনের চিন্তার জন্য আমি তাদেরকে দোষ দিতে চাই না, পরিস্থিতি সেরকমই। কিন্তু, এই অবস্থার পরিবর্তন করা না গেলে এদেশের ভবিষ্যত অন্ধকার!

এই ছোট জীবনে আমার পড়া বইয়ের সংখ্যা সম্ভবত হাজার দুয়েক বা তারচাইতে একটু বেশী হবে। এর ভেতরে প্রথম এক হাজার সম্ভবত স্কুল লাইফে পড়া গল্প-উপন্যাস (ইনক্লুডিং তিন গোয়েন্দা, মাসুদ রানা, ওয়েস্টার্ন, অনুবাদ)। কলেজ থেকে সিরিয়াসলি নন-ফিকশন পড়া শুরু।

এই যে এত বই পড়ার পরেও আমার আফসোসের শেষ নাই। কারণ আমার উইশলিস্টে এখনো পাঁচ হাজার+ বইয়ের নাম আছে যেগুলো পড়ে শেষ করে যাওয়া সম্ভব না এই ছোট জীবনে। তাহলে উপায় কী?

একটা উপায় আছে।

২০১০ সালের দিকে এসে আমার মনে হয়েছিলো আগে পড়া সকল বই যদি রিভিশন দেয়া সম্ভব হতো! ট্রেডিশনাল স্টাইলে করলে বেশ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই কিছু টুল ডেভেলপ করার কথা ভাবলাম। যারা থিংকার ক্লাবের পেইড সাবস্ক্রিন ব্যবহার করছেন, তারা যে স্টাডি টুলগুলো দেখছেন— এগুলোর শুরু মূলত এই চিন্তা থেকেই। জেটেলকাস্টেন মেথডের সাথে পরিচিত হওয়ার পর এটারে আরো রোবাস্ট করেছি।

আমি যেটা ভেবেছিলাম তার সার কথা হলো— একটা বই ও কোন বিষয়রে যদি সামারি করে ফেলা যায়, তাহলে পরবর্তীতে বই বা বিষয়টা রিভিশন দিতে সময় লাগে না আর। এর সাথে Mnemonic peg সিস্টেম কাজে লাগানো গেলে তো আরো ভালো।

গত ২০ বছর ধরে আমি যা পড়েছি, সেগুলো সব জেটেলকাস্টেন মেথড ও Mnemonic peg সিস্টেমে সংরক্ষণ করেছি। এগুলো একদিন সকলের জন্য পাবলিক করে দেয়ার ইচ্ছা আছে যাতে অন্যরা খুব সহজে জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।

পাওয়ার ও পলিটিক্স নিয়ে ম্যাকিয়াভেলি স্টাডির একটা পিডিএফ শেয়ার করলাম। একই কাজ যদি শত শত লোক মিলে করা যায়, তাহলে কী হতে পারে ভাবেন!

ক্যারিয়ার প্লাটফর্মটার স্টেবল রিলিজের পর থিংকার কিডস, টাউন-সেন্টার ডেপ্লয়ের পাশাপাশি একটা থিংক ট্যাংক প্লাটফর্ম নিয়ে কাজ শুরু করবো। আগ্রহীরা ইনবক্সে টোকা দিয়েন।

Trivuz Alam

Trivuz Alam

কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।

সাম্প্রতিক লেখা

যেসব টপিক নিয়ে লেখালেখি করছি