২০৩০ সালের পর আপনার দহন-ইঞ্জিন গাড়ি আর বেচতে পারবেন না। রিসেল ভ্যালু একদম নাই হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ আসল ধাক্কাটা খাবে আর দুই বছর পরে, যখন এতদিনের তৈরি ঋণ ফেরত দেয়া শুরু হবে। কাগজে কলমে দরিদ্র দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হয়ার ফলে অনেক আন্তর্জাতিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে, যেটা পরিস্থিতি আরো খারাপ করে দিবে। ঐসময় যারাই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, পাবলিকের মাইর থেকে বাঁচা খুব কঠিন হবে। ফলে, বর্তমানে যে সংকট চলছে, এর থেকে বের হয়ে আসতে পারলেও লীগ মনে হয়না সেই সময়টাতে ক্ষমতায় থাকতে চাইবে। সামনের নির্বাচনে যারাই ক্ষমতায় আসবে, এরা হবে বলির পাঠা।
আগামী দশ বছরের ভেতরে স্মার্টফোনের হাইপ পুরোপুরি হারিয়ে যাবে। এরপর কিসের হাইপ তৈরি হতে পারে?
ফ্যাবলেট?
আমার মনে হয় সামনে যে ভয়াবহ খারাপ সময় আসতে যাইতেছে, তখন মুসলিমরা সার্ভাইব করে যাবে শুধুমাত্র যাকাত ব্যবস্থা আর দান-খয়রাতের জন্যই। মানে, এটলিস্ট না খেয়ে মারা যাবে না আরকি।
এনি আদার থট?
যারা স্মার্টফোনের বদলে বাটন ফোন ব্যবহার করছে, তাদের ক্যারিয়ারের ভবিষ্যত স্মার্টফোনের ব্যবহাকারীদের থেকে ভালো।
পোস্ট কোভিড এরা-তে রিমোট জব বাড়তেছে। আইটিতে তো আমরা এই সুবিধা পেয়ে আসতেছি এক যুগেরও বেশী সময় ধরে। অন্যরাও এখন পাবে।
রিমোট জব বাড়ার ফলে পৃথিবীতে একটা ব্যাপক পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। আপনাকে শহরে থাকতে হবে না বা বিদেশ যেতে হবে না নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী জব করার জন্য। এটা কোম্পানীগুলোর জন্য যেমন ভালো পাবলিকের জন্যও ভালো। বিকেন্দ্রীকরণ হবে। শহর কেন্দ্রীক সভ্যতার পরিবর্তন ঘটতে যাচ্ছে যা মানব সভ্যতার একটা বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসবে।
এসব ব্যাপার ভারতের অখন্ডতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। কয়েক বছর আগেও ভারতীয় মুসলিমরা নিজেদের ভারতীয় পরিচয় নিয়ে গর্ব করতো। এখন পরিস্থিতি খুব দ্রুত বদলে যাচ্ছে।
আমেরিকা এই পরিস্থিতিটা ঠেকানোর একটা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কারণ বৃহৎ ভারত তাদের দরকার (মূলত ভারতের বাজার)। কিন্তু পারবে না সম্ভবত ঠেকাতে। এর ভেতরে ভারত রাশিয়া থেকে S-400 নিয়ে আমেরিকার সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটিয়েছে। এখন আর আমেরিকা ভারতের অখন্ডতা আর চাইবে কিনা সেটাও ভাবার বিষয়। চায়নাও ভারতের জন্য একটা বড় হুমকি (যদিও ভারত চায়নার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছে)।
ভারত ভাঙলে একটা মুসলিম রাষ্ট্র তৈরি হতে পারে যেখানে ভারতের সব মুসলিমরা মাইগ্রেট করবে। ৪৭-এর মত।
আমেরিকায় গত এক বছরে ফ্যাক্টরিগুলোতে রোবটের ব্যবহার বেড়েছে ৩৭ শতাংশ। অটোমেশন ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের পেছনে ইনভেস্টমেন্টও বাড়িয়ে দিয়েছে ইন্ড্রাস্ট্রিগুলো।
সুনামির আওয়াজ কয়জন টের পাচ্ছে?
ঠিক এরকম একটা জায়গা পৃথিবীর কোথাও থাকলে ভালো হতো। এই গাছটার নিচে বইসা থাকতাম। এই পরিবেশটার VR সংস্করণ বানানোর প্ল্যান আছে। একটা Oculus Rift কেনা দরকার।
VR যখন অনেক উন্নত হবে তখন মানুশ তাদের প্রিয় প্রিয় পরিবেশ তৈরির কাষ্টম অর্ডার দিবে বলে আমার মনে হয়। ফেসবুক তো VR দিয়ে রিমোট অফিস মিটিং চালু করতেছে। এন্টারটেইনমেন্ট থেকে শুরু করে ট্রাভেল পর্যন্ত VR দিয়ে হবে একসময়। ব্রেইন চোখ থেকে ইনপুট নিয়ে আমাদেরকে যে বাস্তবতা দেখায়/উপলদ্ধি করায়, ঐ লেভেলের সিমুলেশন একসময় VR দিয়ে সম্ভব হবে। গায়ে বৃষ্টি-বাতাস লাগার অনুভূতি, ফুলের গন্ধ, এসবও কৃত্তিমভাবে ব্রেইনের ভেতরে তৈরি করা সম্ভব। তখন এই পরিবেশ বাস্তব থেকেও বেশী ভালো লাগবে আপনার। কারণ, বাস্তবে আপনার নাক, চোখ ও নার্ভ সিস্টেম অতটা ভালো না দুনিয়ারে পুরোপুরি ফিল করার জন্য।
পরিচিত বেশ কিছু ফ্যামিলি স্থায়ীভাবে দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করেছে। একজনের সাথে কথা হলো একটু আগে, তার পরিচিত ফ্যামিলিরাও দেশ ছাড়ার প্রসেসিং-এ আছে। এরা সব পয়সাওয়ালা ফ্যামিলি যাদের পক্ষে ইউরোপ/আমেরিকায় ৫/৬ কোটি ইনভেস্ট করে ওখানে ফুল ফ্যামিলি থাকার ব্যবস্থা করার ক্ষমতা আছে। কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক মন্দা এড়াতে উন্নত বিশ্বের দেশগুলো পয়সাওয়ালা ও ইনভেস্টরদের নানা ধরনের প্যাকেজ দিচ্ছে তাদের দেশে মাইগ্রেট করার জন্য। এসবের সুবিধা নিচ্ছে অনেকে। আগামী কয়েক বছর এসব সুবিধা নেয়া লোকের সংখ্যা জ্যামেতিক হারে বাড়তে পারে।
ঐদিকে মেধাবীদের দেশ ছাড়ার হার আগের থেকে বাড়ছে। উদ্যোক্তারাও এদেশে ভরসা পাচ্ছে না। এপেক্সের মালিক দেখলাম কয়েকদিন আগে বলছেন ব্যবসা গুটিয়ে নেয়ার কথা। অব্যবস্থাপনা কমানো না গেলে এবং সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি না হলে নতুন বিনিয়োগও কমে আসবে।
তো কোভিড পরবর্তী অর্থনৈতিক বিপর্যও ও এইসবের ইমপ্যাক্ট নিয়া ভাবতেছিলাম। পরিস্থিতি সবদিক থেকেই জটিলতর হচ্ছে।