যাপিত জীবন নিয়ে বিক্ষিপ্ত চিন্তা-ভাবনা ও অভিজ্ঞতা
জানুয়ারীর ৩ তারিখে ফেসবুক থেকে প্রায় ছয় হাজার দুই'শ পোস্ট ত্রিভুজ ডট নেটে ইমপোর্ট করে ফেলেছিলাম। গত ৮ মাসে আরো প্রায় ৪০০ পোস্ট করেছি দেখা যায়। এগুলোর বেশীরভাগই এখনো শর্ট করা হয়নি। আজকে সাইডবারটা যুক্ত করলাম। প্রতিদিন গড়ে ২০০ করে পোস্ট শর্ট করা গেলে আগামী এক মাসের ভেতরে সব পোস্ট ক্যাটাগরিতে পাওয়া যাবে।
ফেসবুকে পুরানো পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায় না সহজে। এখানে সব বিষয়ভিত্তিক সাজানো থাকবে।
মাত্র ১৫ বছর আগে ব্লগে এই একই কথা বলার জন্য আমারে 'মৌলবাদী' ট্যাগ দিয়েছিলো 'প্রগতিশীল' ব্লগাররা। আমি বলেছিলাম- 'কোন মেয়ে হিজাব পড়তে চাইলে সেটায় বাধা দিলেও তো তার অধিকার ক্ষুন্ন করা হয়।' এখন দেখেন Amnesty International-ও একই কথা বলে।
ক্যারিয়ার ও জীবনের কয়েকটা মেজর সিদ্ধান্ত নিলাম আজকে।
১) বর্তমানে হাতে থাকা দু'টো ক্লায়েন্টের কাজ আগামী অক্টোবর নাগাদ শেষ হবে। এরপর আর নতুন কোন ক্লায়েন্ট নেব না আমরা।
২) ২০২৩-২৪ সাল কাটাবো বাংলাদেশের জেলায় জেলায় ঘুরে। সপ্তাহে একটা জেলায় গেলে দেড় বছরের ভেতরে পুরো বাংলাদেশ কাভার করা সম্ভব।
৩) নভেম্বর-ডিসেম্বর ফ্যামিলির সাথে ঘুরতে বের হবো। ফলে, আমার যাযাবর জীবনের শুরু হতে যাচ্ছে আগামী নভেম্বর থেকে।
এই ঘুরাঘুরির সময়টা কাজের পাশাপাশি বইগুলো লিখে শেষ করবো সব। সেই সাথে একটা ইউটিউব চ্যানেল শুরু করবো বাংলাদেশের উপরে। ৬৪ জেলায় ঘুরতে ঘুরতে জেলাগুলোর উপরে প্রামান্যচিত্র তৈরি করবো।
দেখা যাক কী হয়। আল্লাহ ভরসা!
যেসকল পোর্টাল/সাইট বা মিডিয়া ক্লিক বেইট করে, তাদের প্রতি আমার কোন রেসপেক্ট নাই। এদের বুদ্ধিবৃত্তিক দৈন্যতা কাটুক, এইটুকই চাওয়া।
পাবলিকের খারাপ দিন আসতেছে শুনে যারা আনন্দ পাচ্ছে, এরকম সকলকে ফ্রেন্ড লিস্ট থেকে রিমুভ করলাম এবং ফলোয়ার লিস্ট থেকেও রিমুভ করলাম।
প্যারেন্টিং - ৫১
চতুর্থ শিল্প-বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে কার্যকরী কিছু লিখতে চাচ্ছি, তাই এত সময় লাগছে প্যারেন্টিং বইটা লিখতে। তাছাড়া এই টপিকের প্রায় সব গবেষণা ও বই লেখা হয়েছে পশ্চিমাদের প্রেক্ষাপটে। আমাদের সাথে ওদের বাস্তবতার অনেক অমিল আছে। তাই, একই ধরনের প্যারেন্টিং আমাদের এখানে কম ইফেক্টিভ হবে।
প্যারেন্টিং নিয়ে এখন পর্যন্ত বাংলা ভাষায় প্রকাশিত যে কয়টা বই পড়লাম, সব কয়টাই দেখলাম ইংরেজী বইগুলোর কপি-পেস্ট। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট মিসিং ওখানে। চতুর্থ-শিল্প বিপ্লবের বাস্তবতাও উপেক্ষিত। এরকম কপি-পেস্ট টাইপ কিছু লিখতে চাচ্ছি না। ফলে একটু অপেক্ষা করতে হবে আপনাদের।
নানা কারণে মনটা বিক্ষিপ্ত হয়ে ছিলো। এসময় হঠাৎ এই গাছটা এসে হাজির। ইটস অ্যা ওয়ান্ডারফুল গিফট! থ্যাংকস অ্যা লট!!
Happiness is swimming in a pond!
চাইনিজ ফোন আমার রং ফর্সা করে আর আম্রিকান ফোন চুল।
ভ্রমণের সময় এমনিতেই মাথায় নানা ধরনের চিন্তা-ভাবনা ঘুরতে থাকে যা ঢাকায় বসে থাকলে আসে না। বিশেষ করে গভীর রাতের ভ্রমণে ভাবনাগুলো আরো গভীরে চলে যায়। তো, ভাবছিলাম জীবন-মৃত্যু নিয়ে। মানুশ কেন বেঁচে থাকতে চায়? এই বিষয়টা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভেবে আমি দু'টো বিষয় পেয়েছি—
১) মানুশ আসলে নিজের জন্য বাঁচে না, সে বেঁচে থাকে অন্যের জন্য। পৃথিবীতে আর কেউ না থাকলে সে বেঁচে থাকার চেষ্টা করতো না হয়তো।
২) অস্তিত্বহীনতার চিন্তা খুব ভয়াবহ ব্যাপার। বিশেষ করে যারা পরকালে বিশ্বাস করে না, তাদের জন্য মৃত্যুর মাধ্যমে নিজের অস্তিত্ব হারিয়ে যাওয়ার যে ভাবনা, এটা থেকে সে পালাতে চায়। এজন্য নিজেকে অমর/স্বরণীয় করে রাখতে চায়। এটা নিজের অস্তিত্বহীনতার চিন্তা থেকে বাঁচার একটা প্রয়াস মাত্র।
অস্তিত্বহীনতার চিন্তা যে কতটা ভয়াবহ, এটা বুঝার জন্য আপনাকে শুধুমাত্র এই ব্যাপারটা ভাবতে হবে—
'আমাকে যদি সৃষ্টি করা না হতো' কিংবা 'আমি যদি জন্ম না নিতাম'
ভেবে দেখেন। দুই দিন সময় দিলাম ????
বিশ্বাসীদের ক্ষেত্রে মৃত্যু ভয়াবহ কিছু না। কারণ, মৃত্যুর মাধ্যমে তার অমরত্বের শুরু। তবে, এই লেভেলের ঈমানদার রেয়ার।
আমি নিজে কি মৃত্যুকে ভয় পাই? মোটেও না। বরং মৃত্যুর পরের জগত নিয়ে আমার ভেতরে খুব ছোটবেলা থেকেই অনেক আগ্রহ। অনেক ভেবে দেখলাম, আমি মারা গেলে আমার নিজের তেমন কোন ক্ষতি নেই (কিছু লোকের কাছ থেকে ক্ষমা চাওয়া বা পাওয়ার নিশ্চয়তাটা না থাকা বাদে)। আমি মারা গেলে মূলত আমার নিজের জন্য ভালো। খারাপ হচ্ছে আমার ফ্যামিলি ও প্রিয়জনদের জন্য। আরেকটা খারাপ হচ্ছে আমার অসম্পূর্ন প্রজেক্টগুলোর জন্য, যেগুলো একসময় কোটি কোটি লোকের উপকার করবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস আছে।
এছাড়া আর কী?
আর তেমন কিছু নেই আসলে। এই জগতে জীবনের আলটিমেট লক্ষ্য হচ্ছে মৃত্যু। ব্যক্তির জন্য মৃত্যু একটা ভালো ব্যাপার।