যাপিত জীবন নিয়ে বিক্ষিপ্ত চিন্তা-ভাবনা ও অভিজ্ঞতা
জন্মদিনে যারা শুভেচ্ছা জানাইছেন এবং জানান নাই কিন্তু আমারে ভালোবাসেন, তাদের সকলরেই ধন্যবাদ দিতে চাই। কিন্তু সেটা শুধুমাত্র লিখিত বা মৌখিক ধন্যবাদ জানিয়ে না বরং কাজের মাধ্যমে। এই কাজের একটা হচ্ছে থিংকার টাউন সেন্টার। মনে আছে, কত কত আইডিয়া শেয়ার করেছি গত পাঁচ/ছয় বছর ধরে?
- গরীব লোকদের ডাটাবেস, যেখান থেকে দান করার মত কাউকে খুঁজে বের করতে পারবেন এরকম প্লাটফর্ম
- গরীব ছাত্রদের কম্পিউটার কিনতে হেল্প করা বা আপনাদের বাসা পড়ে থাকা পুরানো কম্পিউটার পার্টস ডোনেট করে সুবিধা বঞ্চিত কাউকে বিনামূল্যে একটা কম্পিউটার বিল্ড করার প্লাটফর্ম
- প্রাকৃতিক দূর্যোগে এক হয়ে কাজ করার একটা প্লাটফর্ম
- একে অপরের বিপদে এগিয়ে আসার প্লাটফর্ম
- প্রশ্নের উত্তর ও তথ্য দিয়ে সাহায্য করার প্লাটফর্ম
- লোকজনকে কিছু আয়-রোজগারের ব্যবস্থা করে দেয়ার প্লাটফর্ম
এবং এরকম আরো অনেকগুলো আইডিয়াই তো শেয়ার করেছিলাম। বিচ্ছিন্নভাবে এসব প্লাটফর্ম তৈরি করা সম্ভব হলেও সাসটেইন করা খুব কঠিন। কিন্তু যদি এরকম হয় যে, অন্য কোন সাসটেইনেবল প্লাটফর্মের ভেতরে এড-অনস হিসেবে এই সেবাগুলো থাকে, তাহলে কিন্তু সম্ভব। আর Thinkr এর এই Town Center জিনিষটা ঠিক তাই। থিংকার প্লাটফর্মের জন্য তৈরি করা বিভিন্ন মডিউল ও কমিউনিটি ফিচারের সমন্বয়ে এটা তৈরি।
৬৪ জেলা ক্যাম্পেইন যখন শুরু করবো তখন প্রতিটা জেলায় কমপক্ষে একটা করে টাউন সেন্টার সেটাপ করে আসবো। প্রতিটা টাউন সেন্টারের একজন লিডার থাকবে (মেয়রের মতন) আর কিছু কেন্দ্রীয় সদস্য। টাউন সেন্টারে ঐ এলাকার লোকজন জড়ো হবে, পাঠচক্র তৈরি করবে, সাহিত্য চর্চা করবে, একাডেমিক হেল্প পাবে, তথ্য পাবে, এবং কমিউনিটির সাহায্য নিয়ে নিজের ভালো কাজগুলোকে ছড়িয়ে দিতে পারবে। ব্যবসা বানিজ্য নিয়েও কিছু ব্যাপার আছে। পাশাপাশি কমিউনিটির সদস্যরা মিলে উপরের চ্যারিটি কার্যক্রমগুলোতেও সহায়তা করতে পারবে।
এই কেন্দ্রের নাম 'Town Center' না দিয়ে আরো ভালো কী দেয়া যায়, সেটা নিয়েও ভাবছি। এখন পর্যন্ত টাউন সেন্টারই যথার্থ মনে হচ্ছে।
Happy New Year,
Trivuz
ব্যাকগ্রাউন্ডে কেমন ছবি দেয়া যায়, আধা ঘন্টা ধরে স্টক ফটো ঘাঁটাঘাটির পর মনে হলো থিংকার অফিসের সামনের রোডের ফটো দিয়া দেই। ভাল্লাগতেছে খুব! আমি তো এমনি এমনি হ্যাপি!!
কষ্টে আছে
দুঃখরা— সব
উপেক্ষাতে
নিমজ্জিত।
কষ্টরা থাক
একলা বসে
নিজের রাজ্যে
নিজের মত।
ত্রিভুজ
উত্তরা, ঢাকা।
কারেং আসছে!
রোদে একটু চাঙা হওয়ার জন্য ছাদে রেখে এসেছিলাম। একটু আগে পানি দিতে গিয়ে দেখি এই অবস্থা। প্রথমে কাঁচি দিয়ে কেটেছে, তারপর সিগারেট দিয়ে পুড়িয়েছে।
গাছটার অবস্থা দেখে যতটা না খারাপ লেগেছে তারচাইতে বেশী খারাপ লাগছে এদেশের লোকজনের মানসিকতা দেখে। আমি উত্তরার যে বাড়িটায় থাকি, এখানে একসেস পাওয়া লোকেরা দেশের টপ ১০% প্রিভিলিজড সোসাইটির। এদের ভেতরেও এরকম মানসিকতার লোক আছে ভাবতেই আরো মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
তবে এদেশ নিয়ে আমি এখনো আশাবাদী। এই পরিস্থিতির উন্নতি আমরা করবো, ইনশা'আল্লাহ।
থিংকার থেকে ৬৪ জেলা ট্যুর শুরু করার সময় যে ইউটিউব চ্যানেল চালু করার প্ল্যান, সেটার কনটেন্টে ভয়েস দেয়ার জন্য ভয়েস আর্টিস্ট নেব কিনা ভাবছিলাম।
সমস্যা হলো আমাদের ট্যুরগুলো তো প্রায় দেড় বছর ধরে চলবে। এমনকি আবহাওয়ার ও নানা প্রতিকূলতার কারণে দুই বছর ধরেও চলতে পারে। সেক্ষেত্রে এত লম্বা সময় ধরে একজন আর্টিস্টকে ধরে রাখা কঠিন। ট্রাভেল সিরিজের ভিডিওগুলোতে একটা নির্দিষ্ট ভয়েস রাখা মনে হয় ভালো। তাই নিজেই ভয়েস দেয়ার কথা ভাবছি।
আরো নানা ধরনের যেসব প্রতিবেদন বানাবো, সেগুলোর জন্য আলাদা আলাদা ভয়েস আর্টিস্ট নিতে পারি। এই যেমন— দেশের কবি-সাহিত্যিকদের উপরে একটা সিরিজ ভিডিও করার প্ল্যান আছে। সেখানে সাধারণ বর্ণনার পাশাপাশি সাহিত্যের আলাপ, কবিতা আবৃতি এসব থাকবে। আমি তো আবৃত্তিকার না। ফলে, ওসব ভিডিওতে ভয়েস আর্টিস্ট নিতেই হবে।
মূলত নিজের ভয়েস ও টোন টেস্ট করার জন্য এই ভিডিও। কারো কোন মতামত থাকলে দিতে পারেন। আমার হাতে আরো ৩ মাস আছে এগুলো প্রাকটিস ও ইমপ্রুভ করার জন্য।
লিংক এখানে।
পুরাই প্রেমে পড়ে গেছি রে ভাই! তোমাকে ছাড়া আমি আর বাঁচবো না টাইপ প্রেম :(
স্টিম থেকে একটা গেম ডেভেলপার গ্রুপের সাথে পরিচয় হলো। ওদের আপকামিং গেমের আইডিয়া শুনে আমার ড্রিমার ওয়ার্ল্ডের কথা বললাম। ওদের গেমটা হচ্ছে একটা শহরে আপনি ফুড কার্ট সেটাপ করে মার্কেট এনালাইসিস করে বার্গার ড্রিংকস এসব বিক্রি করবেন। আমার DW-র বিভিন্ন সিটিতে এধরনের ছোটখাটো বিজনেস করা যাবে, টাকাটুকা কামানোর জন্য। তো ওদেরকে বললাম চলো ডেভেলপমেন্ট পার্টনার হই। ওরাও আগ্রহ দেখালো। তারপর বললো ওদের গেমটা মার্কেটে রিলিজ দেয়ার আগে আলফা ভার্সন খেলে ওদেরকে সাজেশন দিতে পারবো কিনা। রাজী হয়ে গেলাম।
তারপর আজকে আলফা কপি পাঠিয়েছে। ঘন্টাখানেক ডিসকোর্ডে স্ট্রিমিং করলাম। সাথে ভয়েসে ওরাও কানেক্টেড ছিলো। খেলতে খেলে গেমস ডেভলপমেন্ট নিয়ে নানা ধরনের কথা হলো, ইমপ্রুভের সাজেশন দিলাম। আমার সাজেশনরে খুব গুরুত্বের সাথে নিলো এবং যা যা সাজেশন দিয়েছি ওগুলো ইমপ্লিমেন্ট করবে বললো। সব মিলিয়ে ঘন্টা খানেক বেশ ভালোই সময় কাটলো বকবক করে আর গেম খেলে।
ওদের গেমটার গ্রাফিক্স, গেমপ্লে ও ডেপথ বেশ ভালো। সিমুলেশন গেমগুলো যেমন হয়, রিয়েল লাইফের অনেক কিছুই ইমপ্লিমেন্ট করছে। মানে এধরনের একটা ব্যবসা করার জন্য যা যা কনসিডার করতে হয় আরকি (স্ক্রিনশটে খেয়াল করেন)। এসব গেম খেললে আপনি ব্যবসা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন। গেমের লিংক দিলাম, আগ্রহীরা উইশলিস্টে যোগ করে রাখতে পারেন। কিছুদিন পর রিলিজ দিবে।
ওভারঅল বেশ চমৎকার একটা অভিজ্ঞতা বলা যায়।
মেঘ দেখে ভাল্লুক
মনে হয়
নাকি তুমি দেখনি
(অঞ্জন)