অনলাইনে প্রকাশিত চিন্তা-ভাবনা সমগ্র
কোভিড হওয়ার পর থেকে কেমন যেন একটা অস্থিরতা কাজ করছে ভেতরে। এধরনের ব্যাপার আমার আগে কখনো ছিলো না। অস্থিরতার কোন কারণ ধরতে পারছি না। ধীরে ধীরে কাটছে যদিও, কিন্তু অনেকটাই রয়ে গেছে এখনো।
১০/১২ কিলোমিটার সাইক্লিং করলে বা প্রচুর হাঁটাহাটি করলে হেল্প হয়। টানা কাজে ডুবে থাকলেও কিছুটা বের হয়ে আসা যায়। আর কারো কি এধরনের কিছু হচ্ছে? এর প্রতিকার জানেন কেউ?
রবীন্দ্রনাথ ভাবলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে কী হয় দেখে আসি। আর সহকারী প্রক্টর ধরে তার চুল-দাঁড়ি সব সাইজ করে দিলেন!
Context
শুধুমাত্র উপার্জনের জন্য কাজ করা হচ্ছে কামলা খাটা। ক্যারিয়ার ভিন্ন জিনিষ।
নেটওয়ার্কিং - ৯
নেটওয়ার্কিং ঠিক রাখার জন্য বেস্ট পলিসি হচ্ছে ফেসবুকে একাউন্ট না রাখা। অথবা, সিরিয়াস নেটওয়ার্কের লোকজনকে ফেসবুকে এড না করা। ফেসবুকের কিছু ফিচারের জন্য আপনার সাথে অন্যের সম্পর্কের অবনতি ঘটতে পারে। এরকম কয়েকটি ফিচারের একটি হচ্ছে ফেসবুকের ইনবক্স সিস্টেম।
ফেসবুক ইনবক্সে কয়েকটা ব্যাপার ঘটে—
১) কেউ আপনাকে ম্যাসেজ দিলো, আপনি সীন দিয়ে রেখে দিলেন কিন্তু জবাব দিলেন না। এমনকি ব্যস্ততা শেষে দুই/একদিন পরেও দিলেন না। ঐ ব্যক্তির সাথে আপনার সম্পর্কের অবনতি হবে।
২) আপনি অনেক ব্যস্ত থাকেন কিন্তু অপর ব্যক্তি ভাবছে সে ম্যাসেজ দেয়ার সাথে সাথেই আপনার জবাব দেয়া উচিত যা আপনি পারলেন না বা আপনার পক্ষে সম্ভব না। সম্পর্কের অবনতি হবে।
৩) ফেসবুকে ম্যাসেজ দেয়ার পর একটা গোল বৃত্তের মাঝে টিক চিহ্ন দিয়ে বুঝানো হয় ম্যাসেজটা ফেসবুক সার্ভার পর্যন্ত গিয়েছে। আর গোল বৃত্তটা হালকা কালার দিয়ে ভরাট করা থাকা মানে ম্যাসেজটা ব্যক্তির ডিভাইস পর্যন্ত পৌঁছেছে। এক্ষেত্রে যা হয়- অনেকের ডিভাইস সারাদিন-রাত ফেসবুকে লগইন করা থাকে কিন্তু তারা আসলে ফেসবুকে নাই। হয়তো কোন কাজে ব্যস্ত, ফোন সাইলেন্ট করা। অথবা ঘুমাচ্ছেন। কিন্তু, যিনি ম্যাসেজ পাঠিয়েছেন তিনি ভাবছেন ম্যাসেজটা অপর ব্যক্তি দেখেছেন কিন্তু রিপ্লাই দিচ্ছেন না, এমনকি সীনও দিচ্ছে না ঘন্টার পর ঘন্টা। সম্পর্কের অবনতি হবে।
এরকম আরো বেশ কিছু বিষয় আছে যার কারণে সম্পর্কের অবনতি থেকে শুরু করে হেটার পর্যন্ত তৈরি হতে পারে ফেসবুক থেকে। অন্যদিকে, ফেসবুক থেকে সিরিয়াস বিজনেস নেটওয়ার্কিং হয় না ওভাবে। বিজনেস/ক্যারিয়ার নেটওয়ার্কিং এর ক্ষেত্রে এটা আপনাকে পজেটিভ তেমন কিছু দিতে পারছে না কিন্তু ক্ষতি করে যাচ্ছে ক্রমাগত।
যদি দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসা করতে চান তাহলে কাস্টমার বেজ দাঁড় করানো একটা বিজনেসের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ন। নিজেদের সাইট/প্লাটফর্ম না তৈরি করলে সেটা কখনো হবে না। ফেসবুক/শপিফাই গায়েব হয়ে গেলে যদি আপনার কাস্টমার বেজও গায়েব হয়ে যায়, তাহলে তো আপনার কিছুই দাঁড়াইলো না।
আপনি জীবনে কত কী অর্জন করলেন সেটা অত বড় কিছু না। আপনার মৃত্যুর পরপরই সেগুলো নিয়ে আপনি চলে যাবেন। আপনার কাজ থেকে পৃথিবীর কতজন মানুশ কতটুকু উপকৃত হলো এবং হচ্ছে, এটাই আসল ব্যাপার।
কত বড় বড় সাকসেসফুল মানুশ পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছে এবং তাদের কোথাও কোন অস্তিত্ব নাই। যেন তারা পৃথিবীতে কখনোই আসে নাই।
দ্রব্যমূল্য বেড়েই চলেছে। স্বল্প আয়ের লোকজন বাজার থেকে কিনতে পারছে না প্রয়োজনীয় খাবার। এরকম একটা অবস্থায় যদি আপনি ব্যালেন্স ডায়েট নিয়ে একটু স্টাডি করেন এবং আপনার জন্য যতটুকু যা দরকার গ্রহণ করেন, তাহলে আপনি যেমন অল্প খরচে ভালো থাকতে পারবেন অন্যের জন্যও ভালো হবে।
ব্যালেন্স ডায়েট সম্পর্কে আপনি যত জানবেন আপনার প্রতিদিনের খাবার খরচ তত বাঁচবে। কারণ, যেটুকু আপনার শরীরের জন্য দরকার, তার বেশী খেয়ে লাভ নেই বরং এটা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
তাই ব্যালেন্স ডায়েট সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন। তালিকা করে ফেলেন প্রতিদিন আপনার কতটুকু কী প্রয়োজন।
একজন প্রাপ্ত বয়স্ক লোকের প্রতিদিন কী কী উপাদান লাগে, তার একটা তালিকা দিলাম।
ইউটিউবের আইডিয়া আসে জাওয়েদ করিম নামের এক বাংলাদেশীর মাথায়। তারপর তিনি আরো দুইজনকে সাথে নিয়ে ইউটিউব প্রতিষ্ঠা করেন। খান একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সালমান খানও বাংলাদেশী। একাডেমিক ক্ষেত্রেও অনেক বড় বড় ফিগার পাবেন বাংলাদেশী। এদের সবার ভেতরে একটা কমন ব্যাপার হচ্ছে, এরা কেউই বাংলাদেশে বড় হয়নি, বাংলাদেশে পড়াশোনা করেনি।
জাতি হিসেবে বাংলাদেশীরা মেধাবী। এটা শুধুমাত্র আমার পর্যবেক্ষন না, অনেক বড় বড় মানুশের পর্যবেক্ষনও। কিন্তু এই মেধাবীরা এদেশে থাকলে কিছু করতে পারে না।
কেন?
আমি এর তিনটা কারণ খুঁজে পেয়েছি।
১) ব্যাড প্যারেন্টিং
২) ব্যাড এডুকেশন সিস্টেম
৩) ব্যাড এনভায়রমেন্ট / বাজে পরিবেশ
ব্যাড প্যারেন্টিং ও ব্যাড এডুকেশন সিস্টেম নিয়ে তো আগে অনেকবার বলেছি। আজকে এই বাজে পরিবেশটা নিয়ে কয়েকটা পয়েন্ট বলি-
উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে যাওয়া ঢাকাবাসীর জন্য উত্তরা গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে সমবেদনা।
রিলিফ পাঠাবো বাহে?
আপনার ট্যালেন্ট ফেসবুকে সমালোচনায় নষ্ট না করে কিছু টেক্সট লেখেন, যা আমাদের শিক্ষার্থী ও ক্যারিয়ারে থাকা লোকজনের কাজে লাগবে। এই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অন্যতম প্রধান দূর্বলতা হচ্ছে একাডেমিক টেক্সটের অভাব।