অনলাইনে প্রকাশিত চিন্তা-ভাবনা সমগ্র
SCRIBD একটা অসাধারণ প্লাটফর্ম। গত বছরের প্রথম দিকে আমার রেফারেল লিংক শেয়ার করেছিলাম, সেখানে ১৬ জন সাইন আপ করায় ১৬ মাস ফ্রি পেয়েছিলাম। গত তিন মাস ধরে মাসে দশ ডলার করে পে করে ব্যবহার করছি। এটা এত চমৎকার একটা প্লাটফর্ম যে দশ ডলার আসলে কিছুই না সেই তুলনায়। এর সাথে CuriosityStream-সহ আরো চারটা প্লাটফর্ম এর ফ্রি একসেস পাওয়া যায়।
রেফারেল লিংক থেকে জয়েনের সুবিধা হচ্ছে প্রথম দুই মাস (৬০ দিন) ফ্রি পাবেন। ভাবলাম কারো যদি দরকার হয়, সাথে আমিও আরো কিছুদিন ফ্রি পেলাম।
আমার রেফারেল লিংক - https://www.scribd.com/g/2wuovx
বাংলাদেশের লেখকরা বই বিক্রি হয় না বলে হা-হুতাশ করে। কিন্তু তাদেরকে বই বিক্রি বাড়ানোর জন্য কিছু করতে দেখা না সচরাচর; বরং সাধারণের বোধগম্যতার বাইরে লেখালেখি করতে পারারে এদেশে স্টাবলিশ করেছে যা তাদের পাঠক আরো কমিয়ে দিয়েছে। গত ৫০ বছরে সেবা প্রকাশনী ও হুমায়ূন আহমেদ কিছু পাঠক তৈরি করতে পেরেছে। আমাদের 'এলিট' ইন্টেলেকচ্যুয়ালরা আবার সেবা এবং হুমায়ূন, কাউকেই দেখতে পারে না।
একাডেমিক বইয়ের বাইরে এদেশে সবচাইতে বেশী বিক্রি হয় ইংরেজী বই। এই পাঠকদের অধিকাংশই ইংলিশ মিডিয়ামের স্টুডেন্ট ও হাই প্রোফাইল ব্যক্তিরা। ইংলিশ মিডিয়ামের কথা বিশেষ করে উল্লেখ করলাম কারণ, আমাদের এখানে পাঠক তৈরি না হওয়ার জন্য দায়ী আমাদের এডুকেশন সিস্টেম। একটা মুখস্ত-বিদ্যা সিস্টেমের ভেতর দিয়ে যাওয়া এবং ৯টা-৫টা সরকারী চাকুরী করার স্বপ্ন নিয়ে গড়ে ওঠা জনগনকে বই পড়ানো কঠিন। এডুকেশন সিস্টেম বদলাতে পারলে এখানে প্রচুর পাঠক তৈরি হবে।
আমি ফ্লিম-মেকার হলে একটা টিভি সিরিজ বানাতাম যেটার প্লট হতো এরকম-
পোস্ট এপক্যালিপ্টিক এরা। পৃথিবীর কোন ইলেক্ট্রনিক্স আর কাজ করছে না। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে, নগর সভ্যতার পতন ঘটেছে। Revolution টিভি সিরিজটায় যেরকম দেখায় আরকি। কিন্তু, Revolution-এ যা দেখায় সেটা বাস্তব ভিত্তিক না। ভ্যালিড সায়েন্টিফিক ফ্যাক্ট আছে, এরকম ঘটার সম্ভবনা নিয়ে, সেটা দেখাতাম।
তো, যেহেতু যোগাযোগ নাই, নগর সভ্যতা নাই, মানুশ ফিরে গেছে কৃষি সভ্যতায়। কৃষি সভ্যতায় যাওয়াতে পৃথিবীর সবচাইতে সমৃদ্ধ এলাকা হয়ে উঠতে শুরু করেছে উর্বর পলল-ভূমির অঞ্চলগুলো। ফলে, বাংলাদেশ হয়ে গিয়েছে বসবাসের জন্য সবচাইতে উপযোগী ভূমি।
এখন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যে মাইগ্রেন্ট বাঙালিরা আছে, তারা বাংলাদেশে ফেরার স্বপ্ন দেখছে। অস্ট্রেলিয়ার, আমেরিকার অনুর্বর ভূমিতে অনেক কষ্ট করে কৃষি কাজ করে আর বাংলাদেশে স্মৃতিচারন করে। দেশে কিভাবে ব্যাক করা যায় সেই পরিকল্পনা করে। এদের ভেতরে একদল সাহসী লোক গাছ কেটে জাহাজ বানিয়ে রওনাও দিয়ে দেয়।
এরকম অনেককিছু নিয়ে অনেক ইন্টারেস্টিং সব ঘটনাবহুল একটা সিরিজ। মেকিং স্টাইলটা হলিউড টাইপ হবে। Revolution, LOST সিরিজগুলোর মত অ্যাকশন ড্রামা টাইপ।
যারা নাটক-সিনেমা-সিরিজ তৈরি করেন, তারা চাইলে এই প্লট-টা ব্যবহার করতে পারেন। আরো ডিটেইলস আইডিয়া ও ফ্যাক্ট লাগলে যোগাযোগ করতে পারেন। এরকম একটা সিরিজ দরকার আসলে।
নেটওয়ার্কিং - ১০
পার্টনার ও কম্পিটিটরের ভেতরে পার্থক্য আছে। যে আপনাকে কম্পিটিটর ভাবে, তাকে কখনো সাজেশন দিতে যাবেন না, উপদেশ তো দূরের কথা। সাধারণ ফানেও সে অফেন্ডেড হতে পারে। কেয়ারফুল!
জাপানি একটা মুভি দেখলাম।
Survival Family (2016)
চমৎকার মুভি। সবার দেখা উচিত টাইপ মুভি।
সুখী মানুশদের সাথে থাকতেই আমার বেশী ভালো লাগে। তাই, আমার চারপাশের সবাই সুখী থাকুক এটাই আমার চাওয়া। এই চাওয়া থেকে তাদেরকে সুখী থাকতে সাহায্য করতেও ভাল লাগে। কিন্তু, কিছু মানুশ কখনোই সুখী হবে না। আমি তাদের থেকে দূরে থাকতে চাই।
নেটওয়ার্কিং - ১১
ভালো নেটওয়ার্কিং এর জন্য আপনাকে এই চারটা বিষয়ে সচেতন হতে হবে- Confidence, Appearance, Temperance & Sense of humor.
Confidence/আত্মবিশ্বাস, সবাই জানেন এটা কী এবং কিভাবে কাজ করে। কোন বিষয়ে আত্মবিশ্বাসের অভাববোধ করলে আত্মবিশ্বাসের ভান করাও কাজে দেয়।
Appearance/এপিয়ারেন্স এর ভালো বাংলা কী হতে পারে ভাবছিলাম। যাহোক, এপিয়ারেন্স কী তা তো মনে হয় জানেন আপনারা। এটা গুরুত্বপূর্ণ। বাংলা একটা প্রবাদও আছে এটা নিয়ে- আগে দর্শনধারী পরে গুণবিচারি। ফলে, এই বিষয়ে যত্নবান হওয়া লাগবে। এক্ষেত্রে অতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে বিপ্লবী হইতে যাইয়েন না (এই যেমন লুঙ্গি পড়ে ঢাকা ক্লাব বা ওয়েস্টিনে ঢুকে যাওয়া)। ঐটারে আত্মবিশ্বাস বলে না।
Temperance/মেজাজ নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এর বেশী আর বলার দরকার নেই মনে হয়।
Sense of humor/সেন্স অফ হিউমার ভালো থাকলে আপনি সহজে মিশতে পারবেন যেকোন জায়গায়। যে আপনাকে হাসাতে পারে তার সাথে সহজ হওয়া সহজ। তাকে মানুশ দ্রুত বিশ্বাসও করে। তাই রামগরুরের ছানা হওয়া যাবে না (বাংলাদেশে কলকাতার সাহিত্য পড়ে যারা রামগরুরের ছানা হয়েছেন, তারা একটু হিউম্যান সাইকোলজি নিয়ে পড়াশুনা কইরেন যে! আর ৬০ এর দশকের সাহিত্যিকদের দ্বারা এত প্রভাবিত হইয়েন না।)।
তো, এই আরকি। এসব নিয়ে একটু ভাইবেন। আপনার দ্বিমত থাকতেই পারে, অত সিরিয়াস হইয়েন না। চিল!
Embrace the new generation.
এসব ব্যাপার ভারতের অখন্ডতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। কয়েক বছর আগেও ভারতীয় মুসলিমরা নিজেদের ভারতীয় পরিচয় নিয়ে গর্ব করতো। এখন পরিস্থিতি খুব দ্রুত বদলে যাচ্ছে।
আমেরিকা এই পরিস্থিতিটা ঠেকানোর একটা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কারণ বৃহৎ ভারত তাদের দরকার (মূলত ভারতের বাজার)। কিন্তু পারবে না সম্ভবত ঠেকাতে। এর ভেতরে ভারত রাশিয়া থেকে S-400 নিয়ে আমেরিকার সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটিয়েছে। এখন আর আমেরিকা ভারতের অখন্ডতা আর চাইবে কিনা সেটাও ভাবার বিষয়। চায়নাও ভারতের জন্য একটা বড় হুমকি (যদিও ভারত চায়নার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছে)।
ভারত ভাঙলে একটা মুসলিম রাষ্ট্র তৈরি হতে পারে যেখানে ভারতের সব মুসলিমরা মাইগ্রেট করবে। ৪৭-এর মত।
যে জিনিষ মার্ক জাকার্বার্গ প্রথম থেকেই জানে সেটা গুগলের বুঝতে ১৬ বছর লাগছে। ১৬ বছর পর তারা রিয়েলাইজ করেছে যে ইউটিউব থেকে ডিসলাইক সরানো উচিত। যেহেতু পুরোপুরি সরাতে পারবে না, তাই কাউন্ট শো করা অফ করে দিচ্ছে।
আমি সবসময় বলি, ফেসবুকের জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে সবচাইতে বড় রিজনের একটা হচ্ছে ডিসলাইক বাটন না থাকা। মিলিয়ন মিলিয়ন পাবলিকের দাবীর মুখেও জাকারবার্গ ডিসলাইক এড করে নাই ফেসবুকে।
তো, যারা এটা নিয়া আমার সাথে এতদিন তর্ক করে আসলেন তারা এবার গুগলরে গিয়ে জিজ্ঞেস করেন, তারা কেন ডিসলাইক রিমুভ করতেছে।