চিন্তা ভাবনা

অনলাইনে প্রকাশিত চিন্তা-ভাবনা সমগ্র

আজ আমার শত্রুর মন খারাপ লিখলে কি তারে সাজা দেয়া হবে?

ফেসবুক যে এরকম ১০/১২ বছর আগের মেমরী মনে করিয়ে দেয়, এটা ফেসবুকের সবচাইতে ইন্টারেস্টিং একটা ফিচার। নষ্টালজিক!
আরো ২০/৩০ বছর যদি বেঁচে থাকি এবং ফেসবুক যদি ততদিন টিকে থাকে, তাহলে এসব মেমরী আরো দারুন লাগার কথা। ফ্লিকারে ২০০৫/০৬ এর ছবিগুলো যখন দেখি (যেগুলো এমনি কোথাও নেই), ভালো লাগে।
এই ব্যাপারটার জন্য হলেও ফেসবুক বা অনলাইনে লেখালেখ বা কিছু তুলে রাখা একটা দারুন ব্যাপার। বুড়ো বয়সে এসব মেমরীর মূল্য অনেক ইওয়ার কথা।

ভারতের আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত বলেছেন, আগামী ২০-২৫ বছরের ভেতরেই অখন্ড ভারত দেখতে পাওয়া যাবে।
সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা। ১৫ এপ্রিল। ২০২২

আমার প্রেডিকশন বলে উলটোটা। আগামী এক যুগের ভেতরেই ভারত ভেঙ্গে টুকরা টুকরা হওয়ার কথা। জিওপলিটিক্যাল কারণে আমি কখনো এই ভাঙনের পক্ষে ছিলাম না। কিন্তু, এখন এটা আসলে আমাদের স্বাধীনতার প্রশ্নে এসে দাঁড়িয়েছে। ভারত ভেঙ্গে যাক। নয়তো আমরা কেউ আর নিরাপদ নই।

সবচাইতে বড় চ্যারিটি হচ্ছে একজন ব্যক্তিরে স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করা। এর সুফল ঐ ব্যক্তির পরবর্তী প্রজন্ম পর্যন্ত বহমান থাকে।

এখন যদিও করোনার জন্য লক ডাউন নেই, কিন্তু লোকজনের অর্থনৈতিক অবস্থা আর বাজারের অবস্থা মিলে পরিস্থতি আরো খারাপ। ফলে, এবারো এই বিষয়টা মাথায় রাখতে পারেন। https://www.facebook.com/trivuz/posts/10157539616645916

আপনি যা নিয়া কথা বলবেন, সেটার কোন মূল্য না থাকলেও আপনার আলাপের কারণে একটা মূল্য সৃষ্টি হয়। আপনার কাছে যদি সেল করার মত কোয়ালিটি কিছু থাকে, তাহলে আলাপটা পজেটিভ না নেগেটিভ, তাতে কিছু যায় আসে না। তখন অল প্রেস আর গুড প্রেস। আমার ক্ষুদ্র সাইকোলজি জ্ঞানও তা বলে। অধিক সাইকোলজির জ্ঞানীরা কী বলবেন জানি না। বরং কিছু উদাহরণ দেখাই।

পৃথিবীর নাম্বার ওয়ান ব্রান্ড হচ্ছে অ্যাপেল। অ্যাপল দেখবেন মাঝে মাঝে হাস্যকর কিছু প্রাইস ট্যাগ বসায়। একবার মনিটরের স্ট্যান্ডের দাম দিলো ১ হাজার ডলার। এরপর ম্যাক প্রো-র জন্য চাকা রিলিজ করলো, ৭০০ ডলার। এই এক হাজার ডলারের মনিটর স্ট্যান্ড আর ৭০০ ডলারের চাকা নিয়ে ইন্টারনেটজুড়ে হিউজ ট্রল হলো। অ্যাপল হেটারস ও এন্ড্রয়েড কমিনিউটিগুলোতে ঈদের আমেজ বিরাজ করলো এসব নিয়ে।

আচ্ছা, অ্যাপল কি তাদের হেটার গ্রুপ সম্পর্কে অজ্ঞ? নাকি জানতো না যে ট্রল হবে? বিশেষ করে হাজার ডলারের মনিটর স্ট্যান্ড রিলিজ করে এত ট্রল খাওয়ার পর আবার ৭০০ ডলারের চাকা কেন রিলিজ করলো? ওরা জেনে বুঝেই এটা করছে। কারণ, ওদের হেটার্স গ্রুপ যে পরিমানে আলাপ করেছে অ্যাপল নিয়ে (হোক সেটা নেগেটিভ), তাতে তাদের পরিচিতি আরো বেড়েছে। একই উদাহরণ আপনি রাজনৈতিক দলগুলোতেও দেখতে পাবেন। আরো অনেক কিছুতেও।

যাস্ট মাথায় রাখেন, অল প্রেস আর গুড প্রেস! কোনকিছু নিয়ে আপনি যত আলাপ করবেন, সেটার প্রসার তত বাড়বে। সেই আলাপ যত নেগেটিভই হোক না কেন।



আমি যা নিয়ে কাজ করছি, তার সামারি আছে এই ছবিতে। দশ বছর ধরে এই পুরো ব্যাপারটা নিয়ে গবেষণা ও ডেভেলেপমেন্ট চালিয়ে যাচ্ছি যা এখন ইমপ্লিমেন্টেশন ফেজে আছে। এটা শুধুমাত্র বাংলাদেশ ভিত্তিক উদ্যোগ না, পুরো পৃথিবীজুড়ে চলবে এর কার্যক্রম। এই প্লাটফর্ম থেকে একদিন বিলিয়ন বিলিয়ন লোকের উপকার হবে। লোকজন তাদের ব্যক্তিগত জীবন, একাডেমিক জীবন, ক্যারিয়ার এবং জীবিকা অর্জনে সাহায্য পাবে এই প্লাটফর্ম থেকে।

সেই বিলিয়নের হিসাব বাদ দিয়ে যদি শুধুমাত্র বাংলাদেশের কথাই বিবেচনা করি এবং কমপক্ষে এক কোটি লোক যদি এর থেকে সরাসরি উপকার পায়, তাহলেও আমার জীবন স্বার্থক। আর এই এক কোটি লোকের উপকারে আসতে যদি আরো বিশ বছরও লেগে যায়, তাহলে আজকে থেকেই প্রতিদিন গড়ে ১৩৬৮ জনের বেশী লোকের উপকার হচ্ছে।

মানে, আমি যদি আর বিশ বছর বেঁচে থাকি এবং আমার কাজ থেকে কমপক্ষে এক কোটি লোকেরও উপকার হয় তাহলে এখন থেকে আমার প্রতিদিনের বেঁচে থাকার অর্থ হচ্ছে ১৩৬৮ জন লোকের উপকার হওয়া। নিজের জীবনকে এবং নিজেকে আমি এভাবেই মূল্যায়ণ করি।

তোমার মনে বসত করে ছয়জনা!

প্লাস্টিক নিয়ে পৃথিবী বিপদে আছে। প্লাস্টিক রিসাইকেল করে প্রফিট করা অসম্ভব ব্যাপার, তাই প্লাস্টিক রিসাইকেল ইন্ড্রাস্ট্রিও দাঁড়ায় না। চায়নাতে কিছু ছিলো, চাইনিজ সরকার সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছে কারণ কোম্পানীগুলো যে সামান্য লাভ করতো, তারচাইতে সরকারের খরচ বেশী ছিলো এর পরিবেশগত ঝুঁকি নিউট্রাল করতে গিয়ে। এবিষয়ে একটা ভিডিও শেয়ার করেছিলাম ইনস্পায়ার টু লার্ন গ্রুপে। লিংক দিলাম কমেন্টে।

প্লাস্টিক যেহেতু রিসাইকেল সম্ভব না, ফলে প্লাস্টিক উৎপাদন বন্ধ না করলে একদিন পৃথিবীর অধিকাংশ মানুশ না খেয়ে মারা যাবে খাবারের অভাবে। কারণ, প্লাস্টিক আমাদের মাটির উর্বরতা নষ্ট করে দিচ্ছে এবং পানি দূষণ বাড়াচ্ছে। টুডে অর টুমরো প্লাস্টিক থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবেই। কিন্তু, এর ভেতরে যে পরিমান প্লাস্টিক পৃথিবী তৈরি করে ফেলেছে, এগুলোর ক্ষতি তো বয়ে বেড়াতে হবে। এই ক্ষতি থেকে বাঁচার একটা আইডিয়া মাথায় ঘুরতেছে। জানি না কতটুকু ফিজিবল। আইডিয়াটা এরকম-

বর্জ্য প্লাস্টিকগুলো রিসাইকেল করে কৃত্তিম দ্বীপ কিংবা ভাসমান ভিলা তৈরিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এমনকি পণ্য পরিবহনের জন্য জাহাজ বা Raft টাইপ কিছু বানানো যেতে পারে। প্রচলিত মেটাল বডি জাহাজগুলো সমুদ্রের লোনা পানির কারণে খুব দ্রুতই এক্সপায়ার হয়ে যায়। প্লাস্টিকের তৈরি জাহাজা বা Raft এর ক্ষেত্রে সেটা হবে না।
বাড়ি ও দ্বীপ তৈরির ক্ষেত্রে ইউনিবডি স্ট্রাকচার না তৈরি করে মডিউলার স্ট্রাকচার ব্যবহার করা যেতে পারে। চারকোনা বড় বড় বক্স। হাজার হাজার বক্স মিলে একটি দ্বীপ। কয়েক ডজন বক্স দিয়ে একটা ভাসমান ভিলা।

আবার যেসব অঞ্চলে হাজার হাজার মাইল জুড়ে জলাভূমি, চাষের জমির অভাব, সেখানে এসব প্লাস্টিকের বক্স দিয়ে কৃত্তিম ফসলের জমি তৈরি সম্ভব। এটা অবশ্য ওসব এলাকার পরিবেশের উপরে কিছুটা বিরুপ প্রভাব তৈরি করবে, কিন্তু চাষের জমি বাড়বে পৃথিবীতে।

প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এসব প্রজেক্টের রিটার্ন অব ইনভেস্ট খুবই স্লো হবে, ফলে সরকারী বা আন্তর্জাতিক উদ্যোগে করা যেতে পারে। এতে অন্তত প্লাস্টিক উৎপাদন বন্ধ হওয়ার আগে পর্যন্ত যে কোটি কোটি টন প্লাস্টিক পৃথিবীর পরিবেশ ধ্বংসের জন্য দায়ী হতে যাচ্ছে, সেটা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

আমাকে বই লিখতে দেখে তাতিয়ানারও ইচ্ছে হয়েছে সে একটা বই লিখবে। আমি বললাম— তাহলে প্রতিদিন কিছু না কিছু লিখতে হবে তোমাকে। গল্প লিখতে পারো।

তাতিয়ানা এখন গল্প লেখা শুরু করেছে। এই পাতাটা ওর একটা গল্পের প্রথম অংশ। আমি ভাবছি, এরকম একটা এপোক্যালিপ্টিক প্লট ওর মাথায় কিভাবে আসলো? আমরা তো ওরে বড়দের কনটেন্ট দেখতে দেই না। গল্পের সাথে ছবির রিলেশনটাও ধরতে পারতেছি না।

বাচ্চাদের মনোজগৎ খুবই ইন্টারেস্টিং...

Trivuz Alam

Trivuz Alam

কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।

সাম্প্রতিক লেখা

যেসব টপিক নিয়ে লেখালেখি করছি