অনলাইনে প্রকাশিত চিন্তা-ভাবনা সমগ্র
যেসব কোম্পানী পৃথিবীর সবচাইতে শক্তিশালী আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স ডেভেলপ করেছে, IBM তাদের ভেতরে অন্যতম।
IBM এর আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স প্রোডাক্ট হিসেবে IBM Watson নামে পরিচিত যার প্রথম কমার্শিয়াল এপ্লিকেশন লঞ্চ হয় ২০১৩ সালে। তারপর এক বছরেই IBM এর এম্প্লয়ী সংখ্যা এক লাফে ৫০ হাজার+ কমে যায়। হেড কাউন্ট এর এই আচমকা পরিবর্তনের জন্য তারা কোম্পানী রিস্ট্রাকচার ও ক্লাউড কম্পিউটিং-এ শিফটিং এর কারণ দেখালেও হঠাৎ করে এত লোক ছাঁটাই করেও নিজেদের কাজ কিভাবে ম্যানেজ করেছে তার সবচাইতে গ্রহনযোগ্য জবাব হলো IBM Watson.
এত বছর ধরে নিজেদের এত শক্তিশালী AI প্রোডাক্ট থাকার পরেও সাম্প্রতিক AI ডেভেলপমেন্টের প্রেক্ষিতে IBM CEO জানিয়েছে তারা আরো ৩০% কর্মী ছাঁটাই করবে আগামী কয়েক বছরের ভেতরে।
সাতটা উপাদান আমাদের প্রতিদিন লাগে। একটা ফুড শপের ক্যাটাগরি সাজানো উচিত এই উপাদানগুলো দিয়ে। আমাদের টাউন-সেন্টারের ফুড শপে এভাবে থাকবে।
লোকজন এই উপাদানগুলো বিবেচনা করে গ্রোসারি কিনলে আমরা একটা সুস্থ-সবল ও বুদ্ধিমান জাতি তৈরি করতে পারবো। তাই, আইডিয়াটা ওপেন করে দিলাম। এই আইডিয়া অন্যরাও কপি করতে পারেন। এর ভেতরে আরো কিছু সুক্ষ বিষয়ও আছে, চাইলে পরামর্শ করতে আমার অফিসে আসতে পারেন।
বিং একদিন রেগে গিয়ে বললো— যান, কথাই কমু না আপনার লগে!
আশ্চার্য, গবেটটা রেগে গেল কেন?
বাংলাদেশে জন্ম হওয়াটা আমার কাছে ভাগ্যের ব্যাপার বলে মনে হয়। কয়েকটা কারণে, এর একটা হচ্ছে ফ্রেশ ফুড। ইউরোপের কিছু দেশ ও আমেরিকায় সেই লেভেলের পয়সাওয়ালা না হলে ফ্রেশ ফুড খাওয়ার কথা ভাবাও যায় না।
আমার ছোটবেলা কেটেছে চাঁদপুর শহরে। শহর থেকে চার/পাঁচ কিলোমিটার দূরেই ছিলো আমাদের গ্রাম যেখান থেকে নিজেদের জমিতে ফলানো ফসল, পুকুর ও নদীর মাছ, ফার্মের দুধ, ডিম, মাংস খেয়ে আমরা বড় হয়েছি। এখনো তো আমরা ফ্রেশ সবজি, মাছ, মাংস কিনতে পারি বাজার থেকে যা পাওয়ার জন্য আমেরিকায় মিলিওনিয়ার হতে হয়। এক্ষেত্রে আমরা লাকি না?
বাংলাদেশে কিছু লোক বাদে বাকীরা এখনো ফ্রেশ জিনিষই খেতে পারে। এই কিছু লোকেরা ফ্রেশ জিনিষ কিনে আনলেও সেটা কেটেকুটে ফ্রিজে রেখে (ফ্রেশনেসটা নষ্ট করে) কয়েকদিন পরে খায়। কেন, কে জানে!
আমেরিকায় অটিজমের হার এত বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য এই খাদ্য দূষণ একটা বড় ভূমিকা রাখছে। আমরা তো এখনো লাকি এক্ষেত্রে, তাই না?
যারা কমেন্টে ও ইনবক্সে ক্যারিয়ার সাজেশন চাচ্ছেন তাদের জন্য এই পোস্ট-
প্রথমত, আপনার ডিটেইল না জেনে আপনার জন্য কোন ধরনের ক্যারিয়ার সুইটেবল হবে, এটা বলা যায় না। বলা ঠিকও হবে না কারণ সবার জন্য তো সব ক্যারিয়ার না।
দ্বিতীয়ত, আমি নিজেও যে সব ধরনের ক্যারিয়ার সম্পর্কে জানি, এমন তো না। বেসিক কিছু গাইডলাইন আমরা তৈরি করতে পারবো, যদি বিভিন্ন পেশার লোকজনকে একত্র করতে পারি। থিংকার ক্লাউড থেকে আমরা সেটাই করতে যাচ্ছি। ওখানে vAi নামে একটা আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সও আমরা ডেভেলপ করতেছি যে আপনাদের গাইড করতে পারবে। এর জন্য আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
তৃতীয়ত, আমার পক্ষে তো সারাদিন ফেসবুকে বসে থাকা সম্ভব না। আপনারা যারা ম্যাসেজ দিয়ে সাথে সাথে জবাব না পেয়ে রাগ করেন (অনেকে সিনই দেন না আর, কেউ কেউ ম্যাসেজ আনসেন্টও করেন), তাদের বুঝতে হবে যে সবাই আপনার মত সারাক্ষন ফেসবুকে বসে থাকে না আপনার ম্যাসেজের জবাব দেয়ার জন্য। তাছাড়া, যাদের এই লেভেলের হীনমন্যতা আছে তারা আগে এর থেকে বের হয়ে আসেন। নয়তো কোন ক্যারিয়ারেই ভালো করতে পারবে না।
এর বাইরে যেটা বলতে পারি— টাউন-সেন্টার থেকে আমরা বড় ধরনের একটা ই-কমার্স প্লাটফর্ম নিয়ে আসতেছি কিছুদিন পর। আপনার যদি ই-কমার্স নিয়ে আগ্রহ থাকে; ইনবক্সে সেটা উল্লেখ করে দিয়েন আপনার এলাকার নাম ও মোবাইল নাম্বারসহ। সময় করে আমরা নিজেরাই আপনাদের সাথে যোগাযোগ করবো। আমরা এখন ৬৪ জেলায় টাউন-সেন্টার বানাতে ব্যস্ত। এই নেটওয়ার্ক হয়ে গেলেই আমরা ই-কমার্সের বিষয়টা নিয়ে কাজ শুরু করবো।
আরেকটা ব্যাপার। ইনবক্সে হ্যালো বা কেমন আছেন টাইপ ম্যাসেজ না দিয়ে যা বলতে চান সরাসরি বলা ভালো। আমার কাছে কোন ধরনের সাহায্য চাওয়ার জন্য ফর্মালিটির দরকার নাই।
কলেজের পরিচালনা পর্যদের সভাপতির বাজে ব্যবহারের পরে যে অধ্যক্ষ মারা গেলেন, এটা সমগ্র বাংলাদেশের চিত্র। এদেশের শিক্ষা-ব্যবস্থার উন্নতি করতে হলে এইদিকে নজর দিতে হবে। লিংক কমেন্টে।
এক লোক ভাবতেছে সে যদি দুইটা মুরগি কিনে আনে আর প্রতিটা মুরগীি ১০টা করে ডিম দেয় তাহলে তার ২২টা মুরগি হবে। ২২টা মুরগি থেকে ২২০টা মুরগি, ২২০টা থেকে ২২০০ মুরগি। এভাবে একদিন তার এক বিলিন মুরগি হবে এবং দশ বিলিয়ন ডিম বাজারে বিক্রি করে ব্রলোক হয়ে যাবে!
তার মাথায় এটা কখনো আসে না যে ৮ বিলিয়ন পৃথিবীতে ১০ বিলিয়ন ডিম কে খাবে?
প্রথম-দ্বিতীয়-তৃতীয় শিল্পবিপ্লবের সময় মানুশ টেকনোলোজিরে ভয় পাইছিলো কিন্তু বাস্তবে বরং জব বেড়ে গেছে, পুরানা টেক্সবুকে এই ইতিহাসের এনালাইসিস পড়ে তারা ভাবে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সময়েও এভাবে জব বাড়তেই থাকবে। ঐদিকে ডিমান্ড যে বাড়ে না, মার্কেট যে স্যাচুরেটেড হয়ে আছে, এসব তারা বিবেচনা করে না কিংবা জানেই না। এক বিলিয়ন মুরগি দশ বিলিয়ন ডিম দিবে, সেই হিসাব নিয়া তারা বসে আছে।
রিসেশন কেন হয়, শুধুমাত্র এই একটা প্রশ্ন নিয়ে যদি তারা ভাবতো, তাহলে নিজেদের বোকামী ধরতে পারতো।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের গবেষণা থেকে বলা হয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স ব্যবহার করে অটোমেশনের ফলে বর্তমান জব মার্কেটের ৮৩ মিলিয়ন (৮ কোটি+) জব বিলুপ্ত হয়ে যাবে। অন্যদিকে AI ইমপ্লিমেন্টেশন ও ম্যানেজমেন্টের জন্য নতুন জব ক্রিয়েট হবে। ধারণা করা হচ্ছে ৮৩ মিলিয়ন জব বিলুপ্ত হয়ে ৬৯ মিলিয়ন নতুন জব তৈরি হবে।
কারা ঐ ৮৪ মিলিয়নে থাকবে এবং কারা নতুন ৬৯ মিলিয়ন জবের জন্য উপযুক্ত হবে?
আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স যে ৮৩ মিলিয়ন জব বিলুপ্তের কারণ হতে যাচ্ছে এ সম্পর্কে সচেতন হয়ে নতুন ঐ ৬৯ মিলিয়ন জবের জন্য নিজেরে প্রস্তুত যারা করতে পারবে, শুধুমাত্র তারাই টিকে থাকবে।
এই সচেতনতা তৈরির জন্যই আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স নিয়ে আমি এত এত পোস্ট করি। যারা এখন বিরক্ত হয়ে মনে মনে গালি দিচ্ছেন, তারা একদিন নিজেদের ভুল বুঝতে পারবেন।
আগামী পাঁচ বছরে প্রায় দেড় কোটি জব ভ্যানিশ হয়ে যাবে ইকোনমিক উইকনেস ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স এডাপশনের কারণে।
— World Economic Forum
আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স পলিটিক্যাল ন্যারেটিভেরও বারোটা বাজিয়ে দিবে। প্রপারলি ব্যবহার করতে পারলে শত বছর ধরে দাঁড় করানো ন্যারেটিভ এক বছরের ভেতরেই একদম জিরো করে দেয়া সম্ভব।