চিন্তা ভাবনা

অনলাইনে প্রকাশিত চিন্তা-ভাবনা সমগ্র

#প্যারেন্টিং - ১০

বাচ্চাদের হাতে মোবাইল/ট্যাব যত কম দিবেন তত ভালো। একটানা ব্যবহার ক্ষতিকর।

Sarahah-তে একজন আমার ক্যারিয়ার সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। ক্যারিয়ার নিয়া আমি অত ভাবি না। আমি ভাবি আমার গোলগুলো নিয়ে। অনেক বড় বড় জায়গা থেকে বের হয়ে এসেছি শুধুমাত্র নিজের গোল/লক্ষ্য ধরে কাজ করার জন্য। অনেক জায়গায় অনেক ভালো ভালো অফার গ্রহণ না করে নিজের করে নিজের প্রতিষ্ঠানে কাজ করে যাচ্ছি, গোলগুলো বাস্তবায়নের জন্য। আমার জীবনে এধরনের বড় গোল তিনটা।


১) মানুষকে অনুপ্রানিত করার জন্য একটা প্রজেক্ট। এটা একই সাথে ব্যক্তিগত জীবন ব্যবস্থাপনা সিস্টেম ও বিজনেস প্লাটফর্ম। গত পাঁচ বছরে এটার RnD শেষ করেছি। এখন বাস্তবায়ন (implementation) ফেজে আছে।

২) এডুকেশন নিয়ে কাজ করা। এটা নিয়েও গত পাঁচ বছর রিসার্চ করেছি। এখন বাস্তবায়ন (implementation) ফেজে আছে।

৩) একটা চমৎকার সোসাইটি তৈরি করে যাওয়া। এটা নিয়ে বলতে গেলে সারাজীবন ধরে গবেষণা করছি। ৪০ এর পর কাজ থেকে অবসরে যাওয়ার পর এটা বাস্তবায়ন শুরু করবো (যদি বেঁচে থাকি)। এই প্রজেক্টটার নাম Green Blood. বছর তিনেক আগে এটার জন্য একটা ফেসবুক গ্রুপও তৈরি করেছিলাম, কিন্তু যেহেতু এখন সময় দিতে পারবো না তাই ঘোষণা দেইনি। (কমেন্টে গ্রুপের লিংকটা দেয়া হলো)


এই তিনটা প্রজেক্ট শেষ করে যেতে পারলে নিজেকে সফল ভাববো। ক্যারিয়ার বলতে আপনারা যা বোঝেন সেভাবে দেখতে চাইলে আমাকে একজন গবেষক ভাবতে পারেন।

বাঙালি খুব বিচিত্র। তাদের মোবাইলের বাজেট হইলো ৫ হাজার কিন্তু কোয়ালিটি খোঁজে আইফোনের। ডাক্তাররে ফি দিবো ৫০০ টাকা কিন্তু সার্ভিস চাইবো আম্রিকান। পকেটে আছে দশ হাজার, বানাইতে চায় আমাজন+গুগল+ফেসবুক।

এই দ্যাশে আপনে ব্যবসা করবেন কেমনে?

খবরঃ পৃথিবীতে মানুষের সময় ফুরিয়ে এসেছে : স্টিফেন হকিং

জলবায়ু বিপর্যয়, জনসংখ্যা বিস্ফোরণ, সম্ভাব্য অ্যাস্টরয়েড হামলাকে তিনি ভয় পাচ্ছেন। অ্যাস্টরয়েড হয়তো আমাদের আঘাত করবে না, জনসংখ্যাও নিয়ন্ত্রিত হয়ে যাবে (পুঁজিবাদের "কল্যাণে") কিন্তু জলবায়ু বিপর্যয় অনিবার্য। আরেকটা সমস্যা আছে, সেটা হচ্ছে পরিবেশ দুষন ও নির্বিচারে প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে ফুড চেইনসহ প্রাকৃতিক অনেক ধরনের চেইনের ভাঙন। ইকো সিস্টেম খুব গুরুত্বপূর্ন। নানাধরনের প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাওয়াতে যে ঘটনাটা ঘটতে যাচ্ছে তা হলো মৌমাছির মত গুরুত্বপূর্ন পতঙ্গের বিলুপ্তির সম্ভবনা। এক মৌমাছিই যদি শুধু বিলুপ্ত হয়ে যায় বা আশংকাজনক হারে হ্রাস পায় তাহলে পৃথিবী বড় ধরনের একটা দুর্ভিক্ষে পড়ে যাবে। সেটা পৃথিবীর ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ পর্যন্ত মানুষের বিলুপ্তির কারণও হতে পারে।

আর পুঁজিবাদ যে স্টাইলে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রন করবে, সেটা সবকিছুকে এমনভাবে ধ্বসিয়ে দিবে যে সকল মানুষ আবার কৃষিজীবি হয়ে যেতে বাধ্য হবে। অন্যগুলো হতে দেরী হলেও এটা খুব দ্রুতই হবে।

আমার বাচ্চাকে কৃষি কাজ শেখাবো। শুধু শেখাবোই না, সরাসরি কৃষির সাথে পরিচয় করাতে ফসলের মৌসুমে গ্রামের দিকে নিয়ে যাবো। সম্ভব হলে দুই/এক মাস থেকেও আসবো। ভবিষ্যত পৃথিবীতে শুধু তারাই টিকে থাকবে যারা কৃষিকাজ জানে। কারণটা আগের স্ট্যাটাসে বলেছি।

সহজ জীবন - ৫

আপনার নিজের সুখ যদি অন্যের উপরে নির্ভরশীল হয়ে থাকে, তাহলে আপনি কিভাবে সুখী হবেন? পরনীর্ভরশীলতা যত কম থাকে তত ভালো। সুখের বেলায় একেবারেই না হওয়া বেশী ভালো।

একটা ছোট উদাহরণ দেই। আপনার কোন কাজের উদ্দেশ্য যদি থাকে এরকম যে— কাজটা দেখে অন্যেরা খুশী হবে বা এপ্রিশিয়েট করবে এবং তা দেখে আপনি সুখী হবেন, তাহলে সুখী হওয়াটা আপনার জন্য কঠিন হয়ে যাবে। আপনি নিজেকে নিজে যদি এপ্রিশিয়েট করতে শিখে যান এবং সেটা থেকে সুখ তুলে নিতে পারেন, তাহলে সুখী হওয়াটা অনেক সহজ।

সুখী হওয়ার জন্য নিজেকে নিজের স্কেলে মাপতে শিখুন। আর উন্নতির জন্য স্কেলের মাপ বাড়াতে থাকুন।

একদিন এক জঙ্গলে একটা ইদুর ভাল্লুককে বিড়ি খেতে দেখে বললো - "ছেড়ে দাও ভাই নেশা, আমার সাথে চলো। দেখো জঙ্গলটা কত সুন্দর!"

ইদুরের কথা শুনে ভাল্লুক তার পিছে পিছে গেল।

যেতে যেতে দেখল একটা হাতি ড্রাগস নিচ্ছে। ইঁদুর হাতিকেও ড্রাগস ছেড়ে সুন্দর জঙ্গলের স্বপ্ন দেখালো। হাতি ড্রাগস ফেলে দিয়ে ইঁদুরের সাথে চলল।

আরেকটু সামনে যেতেই দেখা গেল একটা বাঘ হুইস্কি খাচ্ছে। ইঁদুর তাকেও একই কথা বলতে গেল। বাঘটা গ্লাস রাখলো। তারপর ইদুরকে কষে কয়েকটা থাপ্পর লাগালো!

"একি করছো? মারছ কেন?", হাতি অবাক হয়ে জানতে চাইলো।

বাঘ বললো— "এই বেটা গতকালও গাঁজা খেয়ে আমাকে পুরা জঙ্গল ঘুরাইছে!"

বিনয় হইতেছে অহংকারের রাজনৈতিক রুপ।

স্বপ্নে দেখলাম জার্মানী, যুক্তরাজ্য এবং আরেকটা কোন দেশের যেন প্রেসিডেন্ট সহ বইসা মোবাইলে গেম খেলতাছি। গেমে একজন আরেকজনরে সাইজ করে আর হাসতে হাসতে কুটি কুটি। ওবামারে (আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ওবামারেই দেখলাম) ফোন দিলাম, শুইনা সেও কয় আইতাছি।

এরকম একটা স্বপ্ন দেখার কারণ বুঝলাম না (স্বপ্নটা আসলেই দেখলাম, স্যাটেয়ার না)। বাস্তবে একটা রাষ্ট্রের সাথে আরেকটা রাষ্ট্রের এইরকম বন্ধুত্ব আসলে সম্ভব না। আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় রাষ্ট্র কখনো রাষ্ট্রের বন্ধু হইতে পারে না। যারা ভাবে পারে, তারা হয় জানে না অথবা মিথ্যা বলে। এই কারণে আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থাটা আমার পছন্দ না। শত্রু শত্রু খেলা বিরক্তিকর। মানুষ মানুষের শত্রু হবে কেন?

কালের কণ্ঠে একটা আর্টিকেল ছেপেছে- 'চাকরি জোটে না উচ্চশিক্ষায়ও'। আর্টিকেল লেখক কর্মবাজারের সঙ্গে সংগতিহীন শিক্ষাব্যবস্থাকে দায়ী করেছেন। বলতে চেয়েছেন প্রয়োজনের চাইতে বেশী লোক উচ্চ শিক্ষিত হচ্ছে বলেই চাকরী পাচ্ছে না লোকে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, বাংলাদেশে যোগ্য লোকের প্রচুর অভাব। যোগ্যতার অভাবেই লোকজন চাকরী পাচ্ছে না। চারদিকে লাখ লাখ বেকার দেখবেন কিন্তু ভালো কোন পোস্টে রিক্রুট করতে গেলে পাবেন না একজনও। এজন্য প্রতিষ্ঠানগুলো পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে দুই/তিনগুন বেশী বেতন দিয়ে লোক রাখতে বাধ্য হচ্ছে। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা যেভাবে ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে, ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে। এভাবে চলতে থাকলে একটা সময়ে দেখা যাবে উপরের পদগুলো সব ভারতীয়রা দখল করে ফেলেছে। বাঙালিরা পাবে শুধুমাত্র দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর পদগুলো। এমনকি উপরের দিকের পোস্টে সব ভারতীয়রা ঢুকে গেলে দ্বিতীয়/তৃতীয় শ্রেণীও বাঙালি পাবে না। ভারতীয়রা সবসময় নিজের দেশ থেকে লোক আনতে উৎসাহী। বাঙালির কপালে হয়তো বহু কষ্টে চতুর্থশ্রেণী জুটবে।

সুতরাং সমস্যার গোড়ায় তাকান হে...

Trivuz Alam

Trivuz Alam

কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।

সাম্প্রতিক লেখা

যেসব টপিক নিয়ে লেখালেখি করছি