মানসিকভাবে ভালো না থাকা
আমার এক বন্ধুর সাথে তার বউ এমন ধরনের অন্যায় করতো যে আপনি শুনলে বলবেন তার তো এতদিনে সুইসাইড করে ফেলার কথা। ঐ বন্ধু প্রায়ই আমার কাছে তার দুঃখের কথা বলতো। আমি মনে করি দুই জনের সম্পর্কে তৃতীয়জনের কোন পরামর্শ দেয়া উচিত না, ফলে এসব ব্যাপারে চুপচাপ শুনতে থাকি। কোন ধরনের কমেন্ট করি না, পরামর্শ দেয়া তো দূরের কথা।
একদিন ঐ বন্ধু এসে বললো এবার সে এসপার-ওসপার কিছু একটা করেই ফেলবে। অথবা সুইসাইড করবে। তখন ভাবলাম— এবার কিছু পরামর্শ দেয়া যাক। ওরে বলেছিলাম,
মনে কর তুই একটা ম্যাসে আছিস। ফ্ল্যাট ভাড়া করে যে ধরনের ম্যাসে লোকজন থাকে। আর মনে কর তোর বউ হচ্ছে তোর ফ্ল্যাট মেট। ফ্ল্যাট মেটের সাথে কিভাবে মানিয়ে চলতে হয় সেই অভিজ্ঞতা তো তোর আছে। অভিজ্ঞতা কাজে লাগা।
বন্ধু আমার পরামর্শ শুনেছিলো। এখন আর তার কোন প্যারা নাই।
মরাল অব দ্য স্টোরিঃ আপনি প্যারা নিতে না চাইলে জগতের কারো সাধ্য নাই আপনারে প্যারা দেয়।
পুনশ্চঃ এই লেখার দ্বিতীয় পর্ব লিখলে সেই অন্যায়-অত্যাচারের কিছু নমুনা নিয়ে লিখবো।
কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।