ChatGPT-র কারণে ট্রেডিশনাল বই জিনিষটা হারিয়ে যাবে বা যাওয়ার উপক্রম হবে। কিভাবে তা ঘটবে বলি—
প্রথমত, ChatGPT ব্যবহার করে যেকোন বিষয়ে বিশাল বই লিখে ফেলা যায় রাতারাতি। অলরেডি আমাজন এটা নিয়ে বিপদে পড়েছে। এই ফেব্রুয়ারীতে এক সপ্তাহে আমাজনে ২০০+ বই সাবমিটেড হয়েছে যা ChatGPT দিয়ে লেখা। আমেরিকার একটা ম্যাগাজিন লোকজনের কাছ থেকে লেখা নেয়া নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে একই কারণে, ChatGPT দিয়ে লেখা ৫০০+ আর্টিকেল সাবমিট হয়েছে এক সপ্তাহের ভেতরে।
দ্বিতীয়ত, শিক্ষার্থী ও পাঠকরা ChatGPT থেকে এত সহজে তথ্য পাচ্ছে এবং সামনে যখন আপডেটেড তথ্য পাওয়া শুরু করবে (যার একটা নমুনা Bing ইতিমধ্যে তাদের সার্চ ইঞ্জিনে দেখিয়েছে), তখন আপনার লেখা (মোটামুটি ব্যাকডেটেড) বইগুলো কেউ পড়বে না। আগামী বছরের ভেতরে লেখকরা টের পাবে এই বিষয়টা।
তাহলে উপায় কী?
উপায় হচ্ছে বইরে বইয়ের চাইতে বেশী কিছু করা। কয়েক বছর আগে আমি চতুর্থ শিল্প-বিপ্লবের উপযোগী বইয়ের একটা কনসেপ্ট দাঁড় করিয়েছি। আমার প্যারেন্টিং বিষয়ক বইটা এধরনের নতুন প্রজন্মের বইয়ের একটা উদাহরণ হতে যাচ্ছে। এবছরের ভেতরেই পাবলিশ করবো এটা, তারপর বিস্তারিত জানাবো।
তবে, যারা আমার সাথে একইসাথে এধরনের বই পাবলিশ করতে আগ্রহী, তারা একদিন চলে আসেন থিংকারের অফিসে। এবছর আমরা অনেকগুলো বই পাবলিশ করতে পারবো তাহলে।
আমার এই ফ্রেমওয়ার্ক ChatGPT-র সাথে ফাইট করে টিকে থাকার উপযোগী করে তৈরি করা। একইসাথে এটা লেখকদের জন্য একটা নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
পুনশ্চঃ এই বই একইসাথে হার্ডকপি ও সফটকপি হতে পারে। ফলে, হার্ডকপির ক্ষেত্রে আপনার পরিচিত পাবলিশারের সাথেও কাজ করতে পারবেন। তবে, ডিজিটাল কপির কপিরাইট আপনার হাতে রাখতে হবে। যারা থিংকার থেকে ডিজিটাল কপি রিলিজে আগ্রহী, শুধুমাত্র তারা আসবেন।
কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।