অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করেছে— “আপনি ভার্সিটিয়ানের মত এমাজিং একটা আইডিয়া হোল্ড করে রাখছেন কেন?”
কেউ কেউ ইনভেস্ট করতেও চেয়েছিলো।
কেন হোল্ড করে রেখেছি তার উত্তর এডুটেকগুলোর বর্তমান অবস্থা দেখলে বুঝবেন। প্রচুর গ্রাউন্ড ওয়ার্ক দরকার এই জিনিষের জন্য। আর যথাযথ পরিবেশ। সেটা না খেয়াল করে হুট করে যারা লার্জ স্কেলে ইনভেস্ট করে ফেক্ষেছে, তারা সকলেই এখন ব্যাকফুটে আছে।
২০১২ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ৬ বছর RnD করার পর ২০১৯ থেকে ভার্সিটিয়ানের মূল ডেভেলপমেন্ট শুরু করেছি। ৬ বছরের গবেষণার ফল পর্যালোচনা করে আমার মনে হয়েছে ২০৩০ নাগাদ এই জিনিষের বড় মার্কেট তৈরি হবে। প্যান্ডেমিকের কারণে হুট করে মার্কেট তৈরি হলেও ২০২৫ এর আগে লার্জ স্কেলে মার্কেটে নামা বোকামী মনে হয়েছে, ফলে ভার্সিটিয়ানের গ্রাউন্ড প্লাটফর্ম থিংকার ক্লাউডেই বেশী সময় দিচ্ছি। টাউন-সেন্টার এই গোটা প্রজেক্টের মার্কেটিং প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।
টেন মিনিট স্কুল বা শিখো টাইপ স্টার্টাপগুলো আমাদের কম্পিটিটর হতে যাচ্ছে না বরং তাদের তৈরি কনটেন্ট ও সেবা আমাদের প্লাটফর্ম ব্যবহার করে আরো দ্রুত ছড়িয়ে দিতে পারবে। এধরনের স্টার্টাপ আরো দরকার এদেশে। আমরা এধরনের স্টার্টাপ তৈরিতে গবেষণা ও কারিগরি সহায়তা দিতে প্রস্তুত। সেই সাথে মার্কেটিং প্লাটফর্মও দিতে পারবো আগামী বছরের মাঝামাঝি থেকে।
এডুটেক নিয়ে যারা এখন কাজ করছেন বা করতে যাচ্ছেন, তারা কনটেন্টের দিকে বেশী ফোকাস দেন। বিশেষ করে একাডেমিক টেক্সট। ভালো একাডেমিক টেক্সটের অভাব এদেশের এডুকেশন সিস্টেমের একটা বড় দুর্বলতা। এটা কাটাতে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। আরো অনেক ইনিশিয়েটিভ লাগবে। আমরা এধরনের সকল উদ্যোগের সফলতা কামনা করি এবং আমাদের গবেষণা ও প্লাটফর্ম দিয়ে সাপোর্ট দেয়ার জন্যই কাজ করে যাচ্ছি।
কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।