পার্টনারশীপ - ৮
মানবজীবনের আরেকটা বড় ট্রাজেডি হচ্ছে কাছের/আপন মানুশ কম থাকা বা একেবারেই না থাকা। তিন ভাবে কেউ আপন হতে পারে—
১) ফ্যামিলি থেকে
২) বিয়ের মাধ্যমে
৩) বন্ধুত্ব থেকে
এর মাঝে তিন নাম্বারটা অনিশ্চিত। বন্ধুদের মাঝ থেকে কাছের মানুশ পাওয়াটা আপনার নিজের আচরণ ও ভাগ্যের উপরে নির্ভর করে। সাথে, যে সোসাইটিতে আপনি বাস করছেন সেখানকার কালচারের উপরেও নির্ভর করে অনেকটা। ফলে বন্ধুরা যে আপন হবে, এর কোন নিশ্চয়তা নেই।
বিয়ে থেকে কাছের মানুশ পাওয়ার কথা থাকলেও বর্তমান সময়ে এটা ভাগ্যের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি আপনার বাচ্চারাও আপনার কাছের মানুশ না হওয়ার সম্ভবনা আছে। এর সাথে আপনার নিজের আচরণ ও যে ফ্যামিলিতে বিয়ে করেছেন তাদের কালচার নির্ভরশীল। সেই সাথে আপনার সোসাইটি তো আছেই।
বাকী রইলো নিজের ফ্যামিলি। প্রথমে ফ্যামিলি অংশটা নিয়ে বলি।
নিজের ফ্যামিলি বলতে প্রথমে আসে বাবা-মা ও ভাই-বোনরা। এরপর মামা-মামী, চাচা-চাচী ও কাজিনরা। এরপর আরো দূরের যারা আছে। আপনার ম্যারেজ যদি ভালো হয়, তাহলে শশুরবাড়ির দিক থেকেও পার্টনারের ভাই-বোন, কাজিন ও আত্মীয়-স্বজনরা যোগ হবে।
তাহলে একজন মানুশের কতগুলো কাছের মানুশ থাকার কথা? একদম মিনিমাম একটা হিসাব করি চলেন—
১) আপনারা যদি মাত্র দুই ভাইবোনও হয়ে থাকেন, তাহলে ভাই/বোন+বাবা+মা = ৩ জন
২) আপনার যদি নূন্যতম একজন ফুফি, চাচা, মামা ও খালা থাকে, তাহলে = ৪ + ৪ = ৮ জন (তাদের লাইফ পার্টনার সহ)
৩) সেই ফুফি, চাচা, মামা, খালাদের যদি মিনিমাম দুজন করেও বাচ্চা থাকে, তাহলে = ৮ জন ফার্স্ট কাজিন। সেকেন্ড, থার্ড কাজিন ও দূরের আত্মীয়দের ধরলাম না আপাতত।
মোট (৩ + ৮ + ৮) = ১৯ জন (কমপক্ষে)। তাদের সবার যদি একটা করে বাচ্চা থাকে, তাও ১১ জন হয়। এর নিচে কিন্তু না। বাস্তবতা হচ্ছে এই সংখ্যাটা ২০ থেকে ৩০ এর উপরে থাকে সাধারণত। গড়ে আমরা ১৫জন ধরে নেই আপাতত।
৪) ভালো ম্যারেজ হলে উপরের সংখ্যাটা দ্বিগুনের বেশী হবে (লাইফ পার্টনারসহ)। লাইফ পার্টনার + শশুর-শাশুড়ি মিলে সংখ্যাটা কমপক্ষে ৩৩ হয়।
৫) আপনি যদি ভালো প্যারেন্ট হন আর লাইফ পার্টনার যদি ভালো হয়, তাহলে আপনার বাচ্চারাও কাছের মানুশ হবে।
তাহলে দেখা যাচ্ছে— কমপক্ষে ১৫ থেকে ৪০ জনের একটা ফ্যামলি আপনার থাকার কথা, যাদের কাছের বা আপন মানুশ হওয়ার সম্ভবনা তৈরি হয়।
কিন্তু, কতজন কাছের মানুশ আছে আপনার? যদি না থাকে, কেন নাই? থাকলে কী হতো বা কেন থাকা উচিত? আর সেটা আপনার জীবনে কেমন প্রভাব ফেলতে পারতো? এইসব নিয়ে আরো আলাপ হবে পরের পর্বে।
কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।