মানব জীবনের সবচাইতে বড় ট্রাজেডি হচ্ছে সারা জীবনের অর্জিত জ্ঞান নিয়া পৃথিবী থেকে চলে যাওয়া। বই-টই লিখে তার খুব সামান্যই রেখে যাওয়া যায়।
বই একটা পুরানো কনসেপ্ট। এর চাইতে বেটার কিছু দরকার। চতুর্থ শিল্প-বিপ্লবের যুগে শুধু বই আর ভিডিওই যথেষ্ঠ না। আরো বেটার জিনিষ দরকার যা অল্প সময়ে অনেক বেশী জ্ঞান অর্জনে সাহায্য করতে পারবে। আবার বই লেখার চাইতেও বেটার মাধ্যম দরকার, সারাজীবনের অর্জিত জ্ঞানের যতটা সম্ভব অংশ অন্যদের জন্য রেখে যাওয়ার জন্য। এই বেটার কিছু নিয়াই কাজ করতেছি গত দশ বছর ধরে।
ইলন মাস্কও এই জিনিষ নিয়ে কাজ করতেছে, তবে তিনি সরাসরি ব্রেইনে তথ্য ট্রান্সফার করার পথ ধরেছেন। সেটা একটা মুখস্ত বিদ্যা টাইপ ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে বলে আমার মনে হয়।
শুধু তথ্য দিয়া আসলে কিছু হয় না। চিন্তা ক্ষমতা না থাকলে তথ্য কোন কাজে লাগে না। বাংলাদেশের মুখস্ত বিদ্যা নির্ভর এডুকেশন সিস্টেম এর সবচাইতে বড় উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আমাদের সামনে।
কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।