প্যারেন্টিং - ৫৩
আমি আর তাতিন আজকে আলাপ শুরু করেছিলাম একটা বই নিয়ে। তাতিন বইটা পড়ে শুনাচ্ছিলো আমাকে। যেসব যায়গা ও বুঝতে পারছিলো না সেগুলো জিজ্ঞেস করছিলো। আমি ওকে এক লাইন ধরিয়ে দিয়ে চিন্তা করার সময় দেই, ও নিজেই বাকীটা বের করে। এটা ওকে চিন্তা করতে শেখায়।
তারপর সেই আলাপ ওর স্কুলের গল্পে পরিনত হলো।
সময় পেলেই আপনার বাচ্চার সাথে গল্প করবেন এবং গল্প করার সময় তাদের কথা বেশী শুনবেন। আপনি তাদেরকে জ্ঞান দেয়ার চাইতে ওদেরকে নিজে চিন্তা করে জ্ঞান প্রডিউস করতে দিবেন। এতে বাচ্চাদের চিন্তা-শক্তি বাড়বে এবং বেশী শিখবে। আপনি নিজেই সব বলতে থাকলে আর ব্যাখ্যা দিতে থাকলে ওরা শিখবে কম মুখস্ত করবে বেশী। আর শেখার আনন্দটা হারিয়ে যাবে।
এবং আলোচনা ওদের মত করে চলতে দিবেন। পড়ালেখা থেকে সেটা স্কুল বা বন্ধুদের গল্পে যেতে থাকলে যেতে দিন। এসব আলাপের সঞ্চালক আপনি হবেন না, আপনার বাচ্চাকে হতে দিন।
কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।