পার্টনারশীপ - ৬
পৃথিবীর সবচাইতে দামী জিনিষ হচ্ছে সম্পর্ক ও বন্ধুত্ব। কিছু কাছের মানুশ পাওয়া। কাছের মানুশ পাওয়াটা এখন ভাগ্যের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ম্যাটেরিয়ালিজমের ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও প্রসারের ফলে এটা ঘটেছে। যার অনেক আছে, তাকেও অভাবী বানিয়ে দেয় এই জিনিষ। যার কারণে একজন আরেকজনের সাথে সম্পর্ক করে কিছু না কিছু পাওয়ার জন্য। কোন একটা ম্যাটেরিয়ালিস্টিক গেইনের জন্য। ফলে, যেখানে লাভ নাই সেখানে সম্পর্কও থাকে না। অথচ, সম্পর্ক ও বন্ধুত্ব জিনিষটা এরকম জাগতিক চাওয়া পাওয়ার জিনিষ না।
একটা পর্যায়ে এসে অবশ্য অনেকে নিজের ভুলটা বুঝতে পারে। ম্যাটেরিয়ালিজমের প্রচার ও প্রসারে জীবন উৎসর্গ করে দেয়া লোকজনকেও এই রিয়েলাইজেশন স্বীকার করে যেতে দেখা গিয়েছে। বিদেশী অনেক বিখ্যাত ব্যক্তির এধরনের স্বীকারোক্তি আছে। বাংলাদেশেও কিছু উদাহরণ আছে। এদেশের জনপ্রিয় নায়িকা ও সাবেক সংসদ সদস্য কবরী একটা ইন্টারভিউতে বলেছিলেন- 'জীবনে একটা ভালো বন্ধু পেলাম না।'
এই ভালো বন্ধু তৈরি করতে হয় ইয়ং বয়স থেকেই। একটা বয়স পার হয়ে যাওয়ার পর ভালো বন্ধু তৈরি করা বা পাওয়া খুব কঠিন ব্যাপার।
ভালো বন্ধু ও কাছের মানুশ পাওয়ার একটা গুরুত্বপূর্ন সোর্স হচ্ছে ফ্যামিলি। কিন্তু ম্যাটেরিয়ালিজম এখানেও বাঁধা তৈরি করে রেখেছে। হিংসা-বিদ্বেষ, অহংকার (হীনমন্যতার মুখোশ), জাগতিক চাওয়া-পাওয়া ফ্যামিলির সদস্যদের কাছে আসতে দেয় না। এমনকি নিজের ভাই-বোনদের মাঝেও এটা দুরত্ব তৈরি করে দেয় (এটা কিভাবে ঘটে আমার জানা নাই। আমাদের ভাই-বোনদের ভেতরে যে বন্ডিং সেটা আমি বাইরের কোন ফ্যামিলিতে রেয়ারলি দেখতে পাই। এ বিষয়ে পরে আরো কথা হবে।)
পৃথিবীর সবচাইতে নিকৃষ্ট পলিটিক্স হচ্ছে ফ্যামিলি পলিটিক্স। সবচাইতে স্টুপিডও (স্টুপিড কেন সেটা নিয়ে পরে আরো কথা হবে)। এই ফ্যামিলি পলিটিক্সের মূলেও আছে বস্তুবাদ।
কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।