কিছুদিন ধরে গভীর রাতে ঘুম ভেঙ্গে যাচ্ছিলো। এটা ঘুরিয়ে ভোর ৬টার দিকে নিয়ে আসলাম। এই সময়টা ঘুম ভাঙার জন্য বেস্ট মনে হয় আমার কাছে। যদি ৩০ বছর আগের নিজেকে ম্যাসেজ পাঠাতে পারতাম তাহলে বলতাম- খোকা, ডেইলি ৬টায় ঘুম থেকে উঠবা।
ছয়টার আগে ঘুম থেকে উঠার পর এক ঘন্টা কাটে ব্যক্তিগত কিছু কাজে। এর ভেতরে একটা হচ্ছে ব্রেকফাস্ট বানানো। ব্রেকফাস্ট বানাতে বানাতে সাধারণত ঐ দিনের টাস্কলিস্ট নিয়ে ভাবি। আজকে ভাবছিলাম একটা ড্রিম নিয়ে। আমি সাধারণত ড্রিম দেখি না খুব একটা। কিন্তু যখনই দেখি, সেটা খুব ইন্টারেস্টিং ড্রিম হয়। আজকে দেখলাম নিজের দাঁত পড়ে যেতে। এই স্বপ্নের প্রচলিত ব্যাখা দুই রকম। হয় হঠাৎ করে ধনী হয়ে যাবো অথবা কাছের কেউ মারা যাবে। হঠাৎ ধনী হওয়ার কোন সম্ভবনা নেই কিন্তু কাছের কেউ মারা যাওয়ার সম্ভবনা তো সবসময়ই থাকে। স্বপ্নের এইসব ব্যাখ্যা নিয়ে আমি কখনো ভাবি না। স্বপ্ন জিনিষটার যদি আসলেই কোন গুরুত্ব থেকে থাকে, সেটা নির্ভর করে ব্যক্তির গুরুত্বের উপরে। আমার স্বপ্নগুলো যদি এতই মিনিংফুল হতো তাহলে আমি সম্ভবত পৃথিবীর সবচাইতে গুরুত্বপূর্ন কেউ হতাম। কারণ, প্রায়ই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রেসিডেন্টদের স্বপ্নে দেখি। গত সপ্তাহেও ওবামার সাথে কোথায় যেন যাচ্ছি দেখলাম। কিন্তু আমি অত গুরুত্বপূর্ন কেউ না। ফলে, দাঁত পড়ে যাওয়ার স্বপ্ন নিয়েও ভাবার কিছু নেই। তাও ভাবছিলাম। এবং খেয়াল করলাম, এটা আমাকে কেমন যেন স্যাড করে দিচ্ছে। মানুশের মন আসলে খুবই অদ্ভুত!
যাহোক, প্রতিদিনের মত আজকেও এক কাপ চা নিয়ে বসলাম। টুডে ইজ নট যাস্ট এনাদার ডে, টু-ডে আই উইল ক্রিয়েট সামথিং বিউটিফুল। লেটস দ্য ডে বিগিন! হ্যাভ অ্যা গ্রেট ডে এভিওয়ান।
কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।