এডুকেশন সিস্টেম কেমন হওয়া উচিত? (৪)

শিক্ষা পদ্ধতি হওয়া উচিত প্রশ্ন ভিত্তিক। টেক্সটবুকে সাজানো প্রশ্ন না, শিক্ষার্থীদের করা প্রশ্ন। যেকোন একটা বিষয় নিয়ে প্রথমে শিক্ষার্থী নিজে পড়বে এবং পড়তে গিয়ে যেসব প্রশ্ন তার মাথায় আসবে সেগুলো লিখে ফেলবে। প্রশ্ন মানে এরকমও হতে পারে যে- যা সে বুঝতে পারছে না সেগুলো লিখে ফেললো।

শিক্ষক প্রথমে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করবেন। সেই আলোচনা থেকে শিক্ষার্থীরা নিজেদের প্রশ্নগুলো কাটতে শুরু করবে। কাটাকাটি শেষে যেসব প্রশ্ন রয়ে যাবে সেগুলো হবে আলোচনার বিষয়। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রশ্নগুলো সংগ্রহ করে (সফটওয়্যার ব্যবহার করলে সহজ) সেগুলোর উত্তর দিতে শুরু করবেন শিক্ষক।

এখানে আপনার মনে হতে পারে, একটা ক্লাশে ৫০ জন শিক্ষার্থী থাকলে তাদের প্রত্যেকের ১০টা করে প্রশ্ন মানে তো ৫০ x ১০ = ৫০০ প্রশ্ন। ৫০০ প্রশ্নের জবাব দেয়া তো সম্ভব না। আসলে ব্যাপারটা এরকম না। দেখা যাবে এই ৫০০ প্রশ্নের অধিকাংশই একই ধরনের প্রশ্ন। দুই/তিনজনের ১৫-২০টা প্রশ্নের সমাধান দেয়ার পর দেখা যাবে ৫০০ প্রশ্নের প্রায় সবগুলোরই জবাব চলে এসেছে। সফটওয়্যার ব্যাবহার করা হলে শিক্ষার্থী ক্লাশ চলাকালীন সময়ে নিজেদের উত্তর পেয়ে যাওয়া প্রম্নগুলো টিক দিয়ে ফেলবে। ফলে শিক্ষক জানতে পারবেন আর কতটি প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। যদি প্রশ্নের সংখ্যা খুব বেশী হয় এবং ক্লাশের সময় শেষ হয়ে যায়, তাহলে শিক্ষক সেই প্রশ্নগুলো পরের ক্লাশে জবাব দেয়ার জন্য সংরক্ষন করে রাখবেন।

এই প্রশ্নগুলো শিক্ষকদের ক্লাশ লেকচার তৈরিতে সাহায্য করবে। দেশের সামগ্রীক একাডেমিক কনটেন্ট তৈরি ও পরিমার্জনেও সাহায্য করবে।

Trivuz Alam

Trivuz Alam

কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।