প্যারেন্টিং - ২৬
ইনডাইরেক্ট গাইড করা হচ্ছে বেস্ট গাইডিং সিস্টেম। 'এটা কর, ওটা কর, এটা করলি কেন, ওটা করা যাবে না' এসব যত কম বলতে পারবেন তত ভালো। আপনার বাচ্চাকে যতটা সম্ভব ন্যাচারালি বড় হতে দিন। আপনি শুধু খেয়াল রাখবেন সে কী করছে এবং তার কী করা উচিত।
'তার কী করা উচিত', এটা জানা ও বুঝতে পারা প্যারেন্ট হিসেবে আপনার প্রথম কাজ। দ্বিতীয় কাজ হচ্ছে এই জ্ঞানের উপরে ভিত্তি করে বাচ্চাকে গাইড করা। তৃতীয় ব্যপার হচ্ছে, সবচাইতে ইফেক্টিভ পদ্ধতিতে গাইড করা। এখন তৃতীয় ব্যপারটার পারফেক্ট কোন পদ্ধতি নাই। মানে, আমার বাচ্চাকে যেভাবে গাইড করলে সবচাইতে ইফেক্টিভ হবে আপনার বাচ্চার ক্ষেত্রে তা নাও হতে পারে। কারণ, এর সাথে আপনার বাচ্চার মেধা, আপনার বাসার পরিবেশ, আপনার সমাজ, দেশ, বর্তমান পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যপার জড়িত।
জেনারেশন গ্যাপ বলে একটা ব্যপার আছে যেটা প্যারেন্টিং এর সাথে গভীর ভাবে জড়িত। সুতরাং বই আর আর্টিকেল পড়ে আপনি ভালো প্যারেন্টিং শিখে যেতে পারবেন, এরকম না। বিশেষ করে, পুরানো বই থেকে। কারণ, সময় যত যাচ্ছে পারিপাশ্বিক বিষয়গুলো ততই পরিবর্তন হচ্ছে আর ইফেক্টিভ প্যারেন্টিং এর ব্যপার স্যপারগুলো বদলে যাচ্ছে। তবে, কিছু বেসিক থিওরী আছে আর কিছু ব্যপার সবসময় অপরিবর্তিত থাকে, সেসব আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে।
কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।